বায়রা সদস্যদের ওপর হামলার ঘটনায় দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবি

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সি—বায়রা সদস্যদের ওপর হামলার ঘটনায় দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার সিন্ডিকেট বিরোধী সাধারণ সদস্যদের পক্ষে বিবৃতিতে দিয়ে এই দাবি জানানো হয়। এতে সই করেন— সাবেক সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট রিয়াজ উল ইসলাম, বায়রার সিনিয়র সদস্য খন্দকার আবু আশফাক, সাবেক যুগ্ম মহাসচিব-১ মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম, সাবেক যুগ্ম মহাসচিব আকবর হোসেন মঞ্জু, সাবেক সহ-সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন এবং ইসি সদস্য জহিরুল হক।
এর আগে সোমবার বায়রার সংবাদ সম্মেলনে হামলার ঘটনা ঘটে। এতে ১০ থেকে ১২ জন আহত হন।
বায়রার সদস্যদের দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘গত ১৯ মে বায়রার সাবেক জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি রিয়াজ উল ইসলাম, সাবেক যুগ্ম মহাসচিব- ১ মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম, প্রবীণ নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন ও প্রবীণ নেতা মোস্তফা মাহমুদের নেতৃত্বে সিন্ডিকেটমুক্ত সকল বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সির জন্য মালয়েশিয়া শ্রমবাজার উন্মুক্তের দাবিতে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সিন্ডিকেটের মাস্টার মাইন্ড খ্যাত ক্যাথারসিস ইন্টারন্যাশনালের কর্ণধার পলাতক রুহুল আমিন স্বপনের পালিত সন্ত্রাসীদের বর্বরোচিত হামলায় মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম, নজরুল মনির, জহিরুল ইসলাম সহ ১০-১২ জন বায়রার সদস্য আহত হন। রুহুল আমিন স্বপনের সন্ত্রাসী বাহিনী রিপোর্টার্স ইউনিটির গুরুত্বপূর্ণ কক্ষসমূহে ভাঙচুর চালিয়ে শেষ পর্যন্ত কর্তৃপক্ষকে ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা জরিমানা প্রদান করে।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘আমরা বায়রা সদস্যদের পক্ষ থেকে এই ন্যাক্কারজনক হামলার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি। একইসঙ্গে দায়ী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় নিয়ে এসে যথাযথ শাস্তি প্রদানের জোর দাবি জানাচ্ছি।’
আসন্ন মালয়েশিয়া-বাংলাদেশের জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে বায়রা সদস্যদের দাবিসমূহ নিম্নরূপ:
১. সরকারের পক্ষ থেকে সিন্ডিকেটকে সরাসরি না বলতে হবে সম্প্রতি যেমনটি নেপালের মন্ত্রী করেছিলেন, তাহলে দুষ্কৃতকারীগণ ভবিষ্যতে আর সিন্ডিকেটের মতো হীন কর্মে জড়াতে সাহস পাবে না।
২. আগামীকালের জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ মিটিংয়ে দুই দেশের সাথে সম্পন্ন হওয়া পূর্বের সমঝোতা স্মারক এর পৃষ্ঠা নং ২৮-এর (c)-এর (v) ধারা বাতিল/সংশোধন করে অন্যান্য সোর্স কান্ট্রির ন্যায় মালয়েশিয়ান সরকারের পরিবর্তে সেখানকার নিয়োগকর্তা কর্তৃক বাংলাদেশের রিক্রুটিং এজেন্সি নির্ধারণের ব্যবস্থা করতে হবে।
৩. মালয়েশিয়ান শ্রমবাজার কোনো বিশেষ ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর জন্য নয় বরং সকল বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সির জন্য উন্মুক্ত করতে হবে। বায়রার সদস্যরা মনে করেন ফ্যাসিবাদী আমলে সৃষ্ট সিন্ডিকেটের মূলোৎপাটন করার এখনই মোক্ষম সময়।
৪. সিন্ডিকেটের মূল হোতাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করতে হবে, যাতে করে বিপ্লবী সরকারের প্রতি জনগণের আস্থা অক্ষুন্ন থাকে।
(ঢাকাটাইমস/২০মে/এসএস/এমআর)

মন্তব্য করুন