ফারিয়া গ্রেপ্তারের ঘটনা গণহত্যার বিচার প্রক্রিয়াকে লঘু করছে: এনসিপি

চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়া গ্রেপ্তারের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। সংগঠনটি মনে করে, এ ধরনের মামলা ও গ্রেপ্তারের ঘটনা বিচার প্রক্রিয়াকে লঘুর করার প্রবণতা তৈরি করছে।
সোমবার (১৯ মে) রাতে এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন সিফাতের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে এনসিপির পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, “জুলাই অভ্যুত্থানে গুলি চালানোর মতো গুরুতর অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ সম্প্রতি কোনো বাধা ছাড়াই দেশত্যাগ করেছেন। সেই অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে সেনানিবাসে আশ্রয় নেওয়া ৬২৬ জন ব্যক্তির পরিচয় আজও প্রকাশিত হয়নি।”
বিবৃতিতে দাবি করা হয়, “জুলাই গণহত্যার সাথে সরাসরি জড়িত ব্যক্তিরা এখনো জনপরিসরে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় রয়েছে, যা বিচার প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।”
ফারিয়া গ্রেপ্তারের প্রতি ইঙ্গিত করে বিবৃতিতে বলা হয়, জুলাই গণহত্যার সাথে সরাসরি জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় না এনে এ ধরনের লোকদেখানো ও ঢালাওভাবে আসামি করা মামলায় গ্রেফতার ও জামিন না দিয়ে কারাগারে প্রেরণের ঘটনা গণহত্যার বিচার প্রক্রিয়াকে লঘু করে দেখানোর প্রবণতা সৃষ্টি করছে।
সংগঠনটি অভিযোগ করে, রাষ্ট্রকাঠামোর ভেতরে থাকা একটি চক্র এই বিচার প্রক্রিয়াকে ধ্বংস করতে সচেষ্ট। তারা বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও এখনো তার বাস্তবায়নে কোনো সরকারি প্রজ্ঞাপন জারি হয়নি।
এনসিপি আগামী জুলাই মাসের মধ্যেই ‘জুলাই গণহত্যা’র বিচার প্রক্রিয়ায় দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখতে চায়। সেই লক্ষ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানায় সংগঠনটি।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, “হরেদরে মামলা ও মামলা-বাণিজ্য এখন উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। তাই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে মামলা গ্রহণের ক্ষেত্রে অধিকতর সতর্ক হতে হবে।”
এর আগে রবিবার সকালে থাইল্যান্ডে যাওয়ার সময় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে নুসরাত ফারিয়াকে আটক করে ইমিগ্রেশন পুলিশ। পরে তাকে ভাটারা থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর থানা থেকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়। সোমবার হত্যাচেষ্টা মামলায় চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়াকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
(ঢাকাটাইমস/১৯মে/এলএম/মোআ)

মন্তব্য করুন