নওগাঁয় জেঁকে বসছে শীত, বিপাকে খেটে খাওয়া মানুষ

ডিসেম্বর মাসের শুরুর দিক থেকেই নওগাঁর বদলগাছীতে বেড়েছে শীতের দাপট। কুয়াশার সাথে যোগ হয়েছে হিমেল হাওয়া। নেই রোদের দেখা। শীতের এমন দাপটে বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে জনজীবন। ভোর এবং রাতে ঘর থেকে বের হওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। বেশি বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া ও ছিন্নমূল মানুষ। বিশেষ করে ধান কাটা শ্রমিকরা পড়েছে বেশি বেকায়দায়।
রবিবার ভোর ৬ টায় বদলগাছী আবহাওয়া অফিসে তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে গতকাল ৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। এ অঞ্চলের উপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এছাড়া এ মৌসুমে গতকাল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল।
জানা গেছে, গত কয়েকদিন থেকেই নওগাঁর বদলগাছীতে তাপমাত্রা থাকছে ১০ ডিগ্রির ঘরে। সন্ধ্যার পর থেকেই কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় বেড়েছে শীতের দাপট। সকাল ১০ টা পর্যন্ত কুয়াশায় পথঘাট ঢেকে থাকছে। দিনভর দেখা মিলছে না সূর্যের। সারাদিন অল্প সময়ের জন্য একটু সূর্যের দেখা পাওয়া গেলেও তাতে নেই কোনো রোদের উত্তাপ। এতে ঘর থেকে বের হওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে খেটে খাওয়া ছিন্নমূল শ্রমিকদের। আবার অনেকেই কাজের পাশাপাশি খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। কুয়াশায় দুর্ঘটনা এড়াতে সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবাহন।
উপজেলার সদর ইউনিয়নের কৃষক মো. রনি বলেন, ‘ভোর পাঁচটায় ঘুম থেকে উঠে বাইরে বের হতেই শীতে থরথর করে কাঁপছে শরীর। তার উপর আবার হচ্ছে বাতাস। এতে মাঠে ধান কাটতে খুব কষ্ট হচ্ছে।’
বদলগাছী চারমাথা মোড়ে যাত্রীর অপেক্ষায় ভ্যানের উপর বসে আছে ভ্যানচালক মো. আব্দুল মজিদ। শীত কেমন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এই কনকনে শীত আর ঘনকুয়াশায় ভ্যানে যাত্রী নিয়ে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যেতে খুব কষ্ট হচ্ছে। হাত-পা বরফের মতো ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে। কুয়াশায় রাস্তা ঠিকমতো দেখা যাচ্ছে না। বেশী ঠান্ডার কারণে লোকজন ঘর থেকে তেমন বের হচ্ছে না। এতে আগের মতো ইনকামও হচ্ছে না। পরিবার নিয়ে খুব কষ্টে আছি।’
বদলগাছী কৃষি আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষণাগারের কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, আজ সকাল ৬ টায় এ উপজেলায় ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগে গতকাল তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। সেই হিসাবে ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে এ উপজেলায় তাপমাত্রা বেড়েছে ১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। উত্তর দিক থেকে বয়ে আসা হিমেল হাওয়া শীতের তাপমাত্রা আগামীতে বৃদ্ধি পেতে পারে বলে জানান তিনি।
(ঢাকাটাইমস/৮ডিসেম্বর/এমআই)

মন্তব্য করুন