আ.লীগ নেতাদের নিয়ে বিজয় দিবস পালন করলেন ইউএনও 

কুমিল্লা প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৬:৩৭| আপডেট : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৬:৪৪
অ- অ+

আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে নিয়ে বিজয় দিবস পালন করে ফটোসেশন করেছেন কুমিল্লার লালমাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এহসান মুরাদ। ওই ফটোসেশনের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে, যা নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়।

যদিও গত ৫ আগস্টের পর থেকে আত্মগোপনে চলে যায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। হঠাৎ করে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে ইউএনওর পাশে দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিএনপি-জামায়াতের কর্মী-সমর্থকরা।

ভাইরাল হওয়া ছবিতে দেখা যায়, উপজেলার বাগমারা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠের পশ্চিম পাশে বিজয় দিবসের স্টেজের সামনে দাঁড়িয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের সাথে ফটোসেশন করেছেন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের চার নেতা।

ছবিতে ইউএনওর ডানে প্রথম ব্যক্তি হলেন মাহবুবুর রহমান কাশেম। তিনি উপজেলার বেলঘর দক্ষিণ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। ডানের দ্বিতীয় ব্যক্তি হলেন জয়নাল আবেদীন জয়। তিনি কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও লালমাই উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য। ডানে তৃতীয় ব্যক্তি হলেন আনোয়ার হোসেন। তিনি বাগমারা দক্ষিণ ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য। আর ইউএনওর বামে প্রথম ব্যক্তি হলেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ উল্যাহ। বামে দ্বিতীয় ব্যক্তি হলেন জাহাঙ্গীর আলম। তিনি উপজেলার বাকই উত্তর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক লালমাই উপজেলা ছাত্রদলের এক নেতা বলেন, গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিএনপি-জামায়াতের কর্মী লেভেলের কেউ উপজেলা নির্বাহী অফিসার, থানার ওসিসহ সরকারি কোনো কর্মকর্তার সাথে কথা বলতেও পারেননি, ছবি তোলা তো দূরের কথা। ইউএনওর সাথে ছবিতে থাকা আওয়ামী লীগ নেতা মাহবুবুর রহমান কাশেম নিজে দরখাস্ত করে ২০০৬ সালে যুক্তিখোলায় বিএনপির একটি জনসভায় ১৪৪ জারি করিয়েছিলেন। আর জেলা ছাত্রলীগ নেতা জয়নাল আবেদীন জয় ফ্যাসিবাদের হয়ে বিএনপি-জামায়াতের লোকদের ধরিয়ে দিতে পুলিশের সোর্সের ভূমিকায় ছিলেন।

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাদের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিয়েও ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে লালমাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এহসান মুরাদ বলেন, ফটোসেশনের ব্যক্তিরা সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে আমার সাথে ছবি তুলেছেন। তারা আওয়ামী লীগ বা কোনো দলের পদবিধারী কি না আমি জানতাম না। পরবর্তীতে এমনটা আর হবে না।

কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুব আলম চৌধুরী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, গত ১৬ বছর জাতীয় দিবসের প্রোগ্রামগুলোতে কোনো দাওয়াত পাইনি, থাকতো ছবি তুলব। ফ্যাসিবাদী সরকার হাসিনা চলে গেছে। কিন্তু তার দোসর ওরা এখনো রয়ে গেছে। তারা প্রকাশ্যে কিছু করতে না পারলেও নীরবে দলকে সুসংগঠিত করার জন্য এসব কর্মকাণ্ড করাচ্ছে। এর জন্যে প্রশাসনে সংস্কার করা প্রয়োজন।

(ঢাকা টাইমস/১৮ডিসেম্বর/এসএ)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
এপ্রিলের ২৯ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ২৬০ কোটি ৭৬ লাখ ডলার
নির্ধারিত সময়ের দুই মাস আগেই সব দেনা পরিশোধ করল পেট্রোবাংলা
ব্যবসায়িক পরিবেশ উন্নত করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করব: অর্থ উপদেষ্টা
উপদেষ্টাদের সঙ্গে পুলিশের মতবিনিময়, বিভিন্ন প্রস্তাব বাস্তবায়নের আশ্বাস
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা