সৈয়দপুরে তালাবদ্ধ ঘর থেকে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার

নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের নয়াবাজার এলাকায় তালাবদ্ধ ঘর থেকে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে ঘরের তালা ভেঙে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত গৃহবধূর নাম শবনম (২৫)। তিনি শহরের ফুচকা ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীরের দ্বিতীয় স্ত্রী ও উপজেলার বাঙালীপুর ইউনিয়নের লক্ষণপুর পীরপাড়ার মৃত আব্দুর রহমান ও ফারজানার মেয়ে। তার ১ বছর বয়সি একটি মেয়ে আছে।
জানা গেছে, গৃহবধূর স্বামী প্রথম স্ত্রী, সন্তান থাকাবস্থায় এক মাস আগে নিহত শবনমকে বিয়ে করেন। কিন্তু এতদিন শবনম তার মায়ের বাড়িতেই ছিল। গত সোমবার শহরের নয়াবাজার এলাকায় আব্দুল মজিদ খানের বাড়ির একটা রুম ভাড়া নিয়ে সেখানে শবনমকে এনে রাখেন। কিন্তু বিষয়টি শবনমের মা জানতেন না। তাই তিনি সেদিন থেকে শবনমের মেয়েকে নিয়ে খুঁজতে থাকেন।
এলাকাবাসী কয়েকজন জানান, প্রেমের পর বিয়ে করে একটা ছেলে ও একটা মেয়ে এখানে ঘর ভাড়া নিয়েছিল। মঙ্গলবার সকালে ছেলেটি ঘরটা বাইরে থেকে তালা মেরে অন্যত্র চলে যান। সন্ধ্যায় মেয়ের মা এসে ঘরের জানালা দিয়ে দেখে মেয়েটি খাটের ওপর লেপ-কাঁথা দিয়ে পেঁচানো অবস্থায় পড়ে আছে। অনেক ডাকাডাকির পরও সাড়া না দেয়ায় চিৎকার করেন। এতে আশপাশের লোকজন এসে মৃত্যুর বিষয়ে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে সহকারী পুলিশ সুপার এ কে এম ওয়াহিদুন্নবী (সৈয়দপুর সার্কেল) ও সৈয়দপুর থানার ওসি ফইম উদ্দিন এসে তালা ভেঙে লাশ উদ্ধার করেন।
শবনমের মা ফারজানা বলেন, ‘জাহাঙ্গীর ও তার প্রথম স্ত্রী পরিকল্পনা করে আমার মেয়েকে মেরে ফেলেছে। আমি এখন মেয়ের অবুঝ মেয়েটিকে নিয়ে কিভাবে বাঁচবো। আমার মেয়ের হত্যাকারীদের আমি বিচার চাই।’
সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফইম উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে তালা ভেঙে ভাড়া নেওয়া ঘর থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক সুরতহাল করা হয়েছে। মৃত্যুর কারণ জানতে ময়নাতদন্ত করতে হবে। সেজন্য আইনি প্রক্রিয়ার জন্য লাশ নীলফামারী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। স্বামী পলাতক রয়েছে। মামলা হলে আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হবে।
(ঢাকা টাইমস/২৫ডিসেম্বর/এসএ)

মন্তব্য করুন