আত্রাইয়ের ফুটপাতে ধুম পড়েছে শীতের পোশাক বেচাকেনা

আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৪:৪৪
অ- অ+

উত্তর জনপদের জেলা নওগাঁর আত্রাইয়ে বেড়ে গেছে শীতের তীব্রতা। ফলে উপজেলার ফুটপাতের দোকানগুলোতে বেড়েছে গরম কাপড়ের বেচাকেনাও।

ফুটপাটের দোকানে বেশিরভাগ ক্রেতাই নিম্নআয়ের মানুষ। বর্তমান বাজার পরিস্থিতির কারণে নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজনও খোলা আকাশের নিচের এই দোকানগুলো থেকে উষ্ণ কাপড় কিনে নিচ্ছেন।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন এলাকার রাস্তার দুই পাশে বসেছে শীতের নতুন ও পুরোনো কাপড়ের পসরা। এছাড়া পাড়া-মহল্লার অলি-গলি, স্কুলের সামনে ভ্যানগাড়ির ওপরও শীতের কাপড়ের পসরা সাজিয়ে বসেছেন মৌসুমী ব্যবসায়ীরা।

দোকানগুলোতে বিভিন্ন বয়সের শীতের পোশাক রয়েছে। এর মধ্যে গেঞ্জি, উলের পোশাক, কোট ও জ্যাকেট বেশি বিক্রি হয়। এছাড়া নারীদের জন্য নানা রকম পোশাক রয়েছে। শোয়েটার কিংবা জ্যাকেট সর্বনিম্ন ২৫০ টাকা থেকে শুরু করে বিভিন্ন দামে বিক্রি হচ্ছে। দামে সাশ্রয়ী হওয়ায় বিকাল থেকে শুরু করে রাত পর্যন্ত উপচেপড়া ভিড় দেখা যায় ফুটপাতে।

বিকাল থেকে নারী-পুরুষ-শিশুসহ ক্রেতারা ভিড় করছেন ফুটপাতের দোকানগুলোতে। যদিও প্রতিদিন সকাল থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত বেচাবিক্রি করেন দোকানিরা।

বিক্রেতারা বলছেন, এসব দোকানের পোশাকের দাম জনসাধারণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকে। ফলে মার্কেটের দোকানের চেয়ে এখন বেশিরভাগ ক্রেতা ঝুঁকছেন ফুটপাতের দোকানে। তারা এখানে দেখে-শুনে কম দামে নতুন ও পুরোনো কাপড় কিনতে পারেন।

যাত্রাবাড়ীর ফুটপাতের এক দোকানদার বলেন, পৌষ মাসের প্রথম দিকে বসে বসে সময় পার করেছি। এই কয়েকদিন শীত একটু বাড়ায় এখন মোটামুটি ব্যবসা ভালো হচ্ছে। জানি না শীত কতদিন থাকে। তবে কেনার চেয়ে ক্রেতারা কাপড় নাড়াচাড়া বেশি করেন। আর দামও বলে কেনার চেয়ে কম। কিছু বলার নেই। কারণ দশজন দেখবে একজন কিনবে। এটা ভেবেই ব্যবসা করছি।

ফুটপাতের দোকানে কাপড় কিনতে আসা সেকান্দার আলী বলেন, শীত নিবারণের জন্য প্রয়োজন গরম কাপড়। মার্কেটে কাপড়ের দাম বেশি। ফুটপাতে নতুন ও পুরোনো কাপড়ের দাম তুলনামূলক কম, আর দেখতেও খুব ভালো। তাই ফুটপাতের কাপড়ের দোকানে কিনতে এসেছি। যে চাদর ও সোয়েটার আমি এখান থেকে ৪০০ টাকা দিয়ে কিনেছি, সেটা মার্কেটের দোকানে গেলে ১০০০-১২০০ টাকা লাগতো। গরিবের জন্য এই দোকানগুলো অনেক উপকারের।

ভ্যানে ফেরি করে শীতের কাপড় বিক্রি করা কয়েকজন দোকানদার বলেন, এসব কাপড় আমরা বিভিন্ন স্থান থেকে সংগ্রহ করে বিভিন্ন রাস্তায় অলি-গলিতে বিক্রি করি। দাম কম হওয়ায় বেচাকেনা বেশি হচ্ছে। শীত যত বাড়বে এই কাপড়ের চাহিদাও তত বাড়বে।

(ঢাকা টাইমস/২৭ডিসেম্বর/এসএ)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
এপ্রিলের ২৯ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ২৬০ কোটি ৭৬ লাখ ডলার
নির্ধারিত সময়ের দুই মাস আগেই সব দেনা পরিশোধ করল পেট্রোবাংলা
ব্যবসায়িক পরিবেশ উন্নত করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করব: অর্থ উপদেষ্টা
উপদেষ্টাদের সঙ্গে পুলিশের মতবিনিময়, বিভিন্ন প্রস্তাব বাস্তবায়নের আশ্বাস
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা