দুই রাতে ১৮ শ্যালো মেশিন চুরি, জমিতে সেচ নিয়ে দুশ্চিন্তা

মো. সোহাগ আরেফিন, গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি
  প্রকাশিত : ০৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯:২৬| আপডেট : ০৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯:৩৭
অ- অ+

দুই রাতে ১৮ জন প্রান্তিক কৃষকের ১৮টি শ্যালো মেশিন চুরি হয়েছে। এসব মেশিন ফসলের খেতে সেচ দেওয়ার কাজে ব্যবহৃত হচ্ছিল। চুরি যাওয়ায় এখন ৩০০ বিঘা জমিতে সেচ দেওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন শতাধিক কৃষক।

শুক্র ও শনিবার দিবাগত রাতে গুরুদাসপুর উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের সিধুলী ও উদবাড়িয়া মাঠ থেকে এসব সেচযন্ত্র চুরি হয়। তবে চুরির ঘটনায় থানায় কোনো অভিযোগ দেননি ভুক্তভোগী কৃষকরা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শনিবার দিবাগত রাতে উদবাড়িয়া মাঠ থেকে চুরি হয় ১১টি সেচযন্ত্র। এগুলো ছিল উদবাড়িয়া গ্রামের কৃষক তোফাজ্জল হোসেন মন্টু, আবু তাহের, তৌহিদুল ইসলাম, আনাদুল, তোতা মিয়া, আব্দুর রাজ্জাক, শাজাহান আলী, আসির উদ্দিন, মুনতাজ, আব্দুস সামাদের। এর আগে সিধুলী মাঠ থেকে কৃষক তহিদুল, রফিকুল, আব্দুল আলিম, মিজানুর ও শফিকুলের সাতটি শ্যালো চুরি হয়।

কৃষি অফিস জানায়, উদবাড়িয়া ও সিধুলী মাঠের প্রায় ২০০ বিঘা জমিতে সেচনির্ভর রসুন, পেঁয়াজ, ধনেসহ শীতকালীন সবজির আবাদ করা রয়েছে। রবি মওসুমে প্রতিটি সেচের জন্য বিঘায় ১ হাজার টাকা চুক্তিতে শতাধিক কৃষক ১৮টি শ্যালো মেশিন মালিকের সাথে চুক্তিবদ্ধ ছিলেন। চুরি হওয়া শ্যালো মেশিন থেকেই এসব জমিতে সেচ দেওয়া হতো। কিন্তু সেচযন্ত্রগুলো চুরি হওয়ায় শ্যালো মালিক ও কৃষক উভয়েই দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।

কৃষক তোফাজ্জল হোসেন মন্টু, আবু তাহের, তহিদুল, রফিকুল, আব্দুল আলিম বলেন, শুক্রবার ও রবিবার সকালে জমিতে সেচ দিতে গিয়ে তারা দেখেন শ্যালো মেশিন নেই। আশপাশে তল্লাশি করেও মেশিনের কোনো সন্ধান পাননি। এতে তারা হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। চুরি যাওয়া ১৮টি শ্যালো মেশিনের পানিতে শতাধিক ক্ষুদ্র চাষি প্রায় ২০০ বিঘা জমিতে সেচ দিতেন। এখন সেচের জন্য বিকল্প কোনো ব্যবস্থা করতে পারেননি তারা। ফসল নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েন তারা।

কৃষকরা বলেন, চুরি যাওয়া শ্যালোগুলোর প্রতিটির দাম ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা। এক রাতে দুই বিলের আশপাশের ২০০ বিঘার মধ্যে সব শ্যালো চুরি হয়। কৃষকের পক্ষে তাৎক্ষণিক শ্যালো কিনে জমিতে সেচ দেওয়া সম্ভব নয়। তাই তারা সেচ দেওয়ার জন্য সরকারি সহায়তা চান।

গুরুদাসপুরের কৃষি কর্মকর্তা হারুনর রশিদ বলেন, কৃষকের শ্যালো মেশিন চুরি হওয়ায় সেচ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। কৃষকদের থানায় অভিযোগ দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

শ্যালো মেশিন চুরির সত্যতা নিশ্চিত করে ধারাবারিষা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন বলেন, ফসলের মাঠে সেচ দেওয়ার অবলম্বন হারিয়ে হতাশায় পড়েছেন কৃষকেরা। তিনি কৃষকের সেচের শ্যালো মেশিনগুলো উদ্ধারে পুলিশের হস্তক্ষেপ দাবি করেন।

গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম সারওয়ার হোসেন বলেন, কৃষকের শ্যালো মেশিন চুরির বিষয়ে তিনি কোনো অভিযোগ পাননি। অভিযোগ পেলে অপরাধীদের গ্রেপ্তার ও চুরি হওয়া সেচযন্ত্র উদ্ধারে কাজ করবে পুলিশ।

(ঢাকাটাইমস/৫জানুয়ারি/মোআ)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
একাত্তর আর চব্বিশ আলাদা কিছু নয়: নাহিদ
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় মা ও ৬ মাসের শিশুসহ ১১ জন নিহত
'সীমান্ত গৌরবে' বিজিবি মহাপরিচালকের শ্রদ্ধা
ডিসেম্বরে নির্বাচন হবে, এমনই বিশ্বাস রাখতে চাই: মির্জা আব্বাস 
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা