ঘন কুয়াশায় সৈয়দপুরে ফ্লাইট সিডিউল বিপর্যয়, যাত্রী দুর্ভোগ

শীত মানেই বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের জনজীবনে কঠিন পরিস্থিতি। ঘন কুয়াশা আর শৈত্যপ্রবাহে জবুথবু চারপাশ। এবারের শীতেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। পৌষ মাস তেমন শীতের প্রকোপ না থাকলেও মাঘ শুরু হতেই দেখা দিয়েছে বিপর্যয়। এ কারণে বিঘ্ন ঘটেছে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ উঠানামার সিডিউলে।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) দুপুর একটা পর্যন্ত কোনো ফ্লাইট অবতরণ বা উড্ডয়ন করেনি এই বিমানবন্দরে। ফলে ৪টি ফ্লাইটের শতাধিক ঢাকাগামী যাত্রী আটকা পড়েছে এখানে।
বিমানবন্দর সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন সৈয়দপুর বিমানবন্দরে ঢাকা থেকে সকাল ১০টা ২৫ মিনিটে ছেড়ে আসা ইউএস বাংলার ১৮৩ নম্বর ফ্লাইটটি অবতরণ করে সকাল ১১টা ২৫ মিনিটে। আজ বুধবার এই ফ্লাইটটিসহ ৪টি ফ্লাইট আসেনি। ঘন কুয়াশার কারণে দৃষ্টিসীমা কম থাকায় বিমান ওঠানামায় ব্যাঘাত ঘটার আশঙ্কায় ফ্লাইটটি ঢাকা থেকে উড্ডয়ন করেনি।
সৈয়দপুর বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লোকমান হাকিম জানান, রাত থেকেই সৈয়দপুরসহ নীলফামারী জেলা তথা উত্তরাঞ্চলে ঘন কুয়াশা বিরাজ করছে। এর ফলে দৃষ্টিসীমা কমে দাঁড়িয়েছে ১০০০ মিটার আর সকাল ৬টায় তাপমাত্রা ছিল ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সৈয়দপুর বিমানবন্দরের ভারপ্রাপ্ত ম্যানেজার আতাউর রহমান বলেন, বিমান অবতরণের জন্য দৃষ্টিসীমা প্রয়োজন ন্যূনতম ১ হাজার ৫০০ মিটার। কিন্তু নেই। এ কারণে ফ্লাইট বিপর্যয় ঘটেছে। সকাল থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত কোনো বিমান উঠানামা করেনি।
তিনি জানান, সকাল ১১টা ২৫ মিনিটে ইউএস বাংলার একটি ফ্লাইট, ১২টায় এয়ার এস্ট্রার একটি, ১২টা ৩০ মিনিটে বাংলাদেশ বিমান এবং বেলা ১টায় নভো-এয়ারের একটিসহ মোট ৪টি ফ্লাইট এখনো আসতে পারেনি। তবে এই ফ্লাইটগুলো বাতিল করা হয়নি। বেলা বাড়ার সাথে আবহাওয়ার উন্নতি ঘটলে ফ্লাইটগুলো যথারীতি আসা-যাওয়া করবে।
বিমান না আসায় সৈয়দপুর থেকে ঢাকা যাওয়ার জন্য বিমানবন্দরে আসা শতাধিক যাত্রী আটকা পড়েছেন। এর মধ্যে কিছু যাত্রী ফিরে গেলেও অনেকে গন্তব্যে যাওয়ার অপেক্ষায় এ খবর লেখা পর্যন্ত (বেলা ১.৩০) বিমানবন্দরেই অবস্থান করছেন।
(ঢাকাটাইমস/২২জানুয়ারি/মোআ)

মন্তব্য করুন