আগুনে পুড়ে নিঃস্ব, রাত কাটছে অন্যের বারান্দায়

হাটিকুমরুল ইউনিয়নের রশিদপুর গ্রামের অতিদরিদ্র আব্দুর রশিদ। স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে শয্যাশায়ী দীর্ঘদিন ধরে। তার স্ত্রী অন্যের বাড়িতে কাজ করেন এবং এলাকাবাসীর সাহায্য-সহযোগিতায় কোনো রকমে জীবন নির্বাহ করেন। সম্প্রতি এই অসহায়ের বসতঘর আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। অনাহারে-অর্ধাহারে অন্যের বাড়ির বারান্দায় রাত কাটছে পরিবারটির।
সরেজমিনে রশিদপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, আগুনে পুড়ে যাওয়া ঘরের কাঠ, টিন, আসবাবপত্র খোলা আকাশের নিচে পড়ে আছে। অসহায় এ পরিবারের নীরব আহাজারিতে যেন স্তব্ধ পরিবেশ।
স্থানীয়রা জানান, আব্দুর রশিদ দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ্য হয়ে কর্মক্ষম। পরিবারে আয় রোজগার করার মতো কেউ নেই। তার স্ত্রী গৃহকর্মীর কাজ করেন। গ্রামবাসীর কিছু সাহায্য নিয়ে তাদের সংসার কোন রকম চলছে।
এর মধ্যে হঠাৎ আগুনে তার ঘর এবং ঘরে থাকা যাবতীয় খাদ্যসামগ্রী, আসবাবপত্র পুড়ে গেছে। এতে পরিবারটি একেবারে দিশেহারা হয়ে পড়ে। অসহায় পরিবারটির অনাহারের খবর শুনে কয়েকজন গ্রাম থেকে কিছু চাল তুলে দিয়েছে। উপজেলা প্রশাসন ও বিত্তবানদের সহায়তা কামনা করেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
আব্দুর রশিদের স্ত্রী বলেন, ‘এমনিতেই নিঃস্ব আমরা, আগুনের পুড়ে এখন মাথা গোঁজার ছাউনিটাও নাই। খেয়ে না খেয়ে নিদারুণ কষ্টে বেঁচে আছি।’
স্থানীয় ইউপি সদস্য আশরাফ আলী বলেন, পরিবারটি খুবই অসহায়। তিনি তাদের সহায়তার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবেন।
এ বিষয়ে কথা বলতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সালেহ মোহাম্মদ হাসনাতকে মুঠোফোনে কল দেয়া হলে তিনি সাড়া দেননি।
(ঢাকাটাইমস/২৯জানুয়ারি/মোআ

মন্তব্য করুন