মোহাম্মদপুরে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় চার পুলিশ আহত, ১২ জন গ্রেপ্তার

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের রায়েরবাজার এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান চলাকালে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় পুলিশের চারজন সদস্য আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন মোহাম্মদপুর থানা পুলিশের তিনজন এসআই ও এক এএসআই। এছাড়া স্থানীয় এক সোর্সও গুরুতর আহত হন।
বুধবার সন্ধ্যায় মোহাম্মদপুর রায়েরবাজার বোর্ড ঘাট এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটে।
এই ঘটনায় যৌথবাহিনীর অভিযানে ১২ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদেরকে পুলিশের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশের ওপর হামলার ঘটনার নেপথ্যে রায়েরবাজার বোর্ড ঘাট এলাকার কিশোর গ্যাং ‘পাটালি গ্রুপ’ জড়িত বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন- আফজালুর রশিদ, জসীমউদ্দীন, খোরশেদ আলম ও সোহেল রানা। এছাড়া পুলিশের আরেক সোর্স আল-আমিন সবচেয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
জানা যায়, কয়েকদিন আগে একাধিক হত্যা মামলার আসামি ও বোর্ড ঘাট এলাকার কিশোর গ্যাং গ্রুপ পাটালি গ্রুপের মূলহোতা ফালানকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। ওই সময় পাটালি গ্রুপ ও বোর্ড ঘাটের মাদক ব্যবসায়ীরা পুলিশের হাত থেকে তাকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে।
এই ঘটনায় ব্যর্থ হয়ে বুধবার সন্ধ্যায় পুলিশের অভিযানের সময় তাদের ওপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। হামলার নেতৃত্ব দিয়েছে পাটালি গ্রুপের ল্যাংড়া হাসান, ফরহাদ ও চিকু শাকিল। তাদের নেতৃত্বে এ গ্রুপের সদস্য পিচ্ছি হাসান, স্বপন, শাহিন, ছোট্ট হাসান, সবিজ মুন্না, দিপু, সম্রাট, রফিক, রাকিব ও রাসেল সহ ৩০-৪০ জনের এ হামলা চালায়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকাবাসী জানান, রায়েরবাজার এলাকায় মাদকের রমরমা ব্যবসা মূলত কিশোর গ্যাং গ্রুপগুলো টিকিয়ে রেখেছে। কেউ মাদক বন্ধ করতে এলে কিংবা মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে গেলেই তাদের ওপর কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা হামলা চালায়।
এসব মাদক ব্যবসায়ী ও কিশোর গ্যাংগুলোর পেছনে আগে আওয়ামী লীগের নেতা শাহ আলম জীবন ও তারেকুজ্জামান রাজিব সমর্থন দিলেও বর্তমানে বিএনপি ও যুবদলের কয়েকজন নেতা সমর্থন দিচ্ছেন। তবে বাসিন্দারা জীবননাশের সেসব নেতাদের নাম প্রকাশ করতে রাজি হয়নি।
পুলিশের ওপর কিশোর গ্যাংয়ের হামলার ঘটনায় তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) ইবনে মিজান ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘বুধবার পুলিশ অভিযানে গেলে কিশোর গ্যাং গ্রুপ ও মাদক ব্যবসায়ীরা পুলিশের ওপর অতর্কিত হামলা করে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়।’
তিনি বলেন, ‘এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করে। রাতেই যৌথ বাহিনীর অভিযানে ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এদের মধ্যে কিশোর গ্যাং ছাড়াও তাদের নিয়ন্ত্রণ করেন এমন অনেকে রয়েছেন।’
(ঢাকাটাইমস/০৬ফেব্রুয়ারি/এসএস/এজে)

মন্তব্য করুন