পবিত্র শবে কদর মুমিনের মহাপুরস্কারের রাত

ইসলাম ডেস্ক
  প্রকাশিত : ২৭ মার্চ ২০২৫, ০৮:০৭| আপডেট : ২৮ মার্চ ২০২৫, ১১:০৩
অ- অ+

মহান আল্লাহ বিশ্বজগতের সবকিছুর সৃষ্টিকর্তা, লালনকর্তা ও পালনকর্তা। তিনি সমুদয় বস্তুর মালিক ও সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী। সত্তা, স্বকীয়তা, গুণ, কর্ম ও ক্ষমতায় তাঁর সমপর্যায়ের কেউই নেই, তিনি লা শরিক। দৃশ্য ও অদৃশ্য জগতের সব কিছুই তাঁর নিয়ন্ত্রণাধীন।

মহাবিশ্বের রাজাধিরাজ আল্লাহ। মানুষ, পশুপাখি, মাছ, গাছপালা, প্রকৃতি, পৃথিবী, চাঁদ, গ্রহ, উপগ্রহ, সৌরজগৎ, নীহারিকা নিয়ে এক মহাআশ্চর্য্য এই বিশ্বভ্রম্মান্ডে যা কিছু আছে, সবকিছু এক আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন। সেই সৃষ্টিকর্তা সর্বশক্তিমান ও একজন। তাঁকে কেউ সৃষ্টিও করেনি, তার সন্তানাদিও নেই। তাঁর সমকক্ষ বা তাঁর মত কিছুই নেই।

মহাকাশ ও পৃথিবীর সর্বত্র আল্লাহর অনুগ্রহ পরিবেষ্টিত সবই মানুষের কল্যাণের নিমিত্তে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহর অশেষ অনুগ্রহের কথা বলা হয়েছে, ‘পরম করুণাময় আল্লাহ, তিনিই শিক্ষা দিয়েছেন কোরআন। তিনিই সৃষ্টি করেছেন মানুষ, তিনিই তাকে ভাব প্রকাশ করতে (ভাষা) শিখিয়েছেন। সূর্য ও চন্দ্র নির্দিষ্ট কক্ষপথে আবর্তিত হয়। তৃণলতা ও বৃক্ষাদি তাঁরই বিধান মেনে চলে। তিনি আকাশকে সমুন্নত করেছেন এবং ভারসাম্য স্থাপন করেছেন, যাতে তোমরা ভারসাম্য বা সীমা লঙ্ঘন না করো।’ (সূরা আর রাহমান, আয়াত: ১-৮)

মহান আল্লাহতায়ালা মানবজাতির হেদায়েতের জন্য যুগে যুগে পৃথিবীতে অসংখ্য নবী-রাসূল পাঠিয়েছেন। নবীদের পাঠানো বা নবুওয়ত শেষ হয়েছে প্রিয়নবী হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মাধ্যমে। নবীদের সঙ্গে আল্লাহ তায়ালা নিজের পক্ষ থেকে আসমানী কিতাবও দিয়েছিলেন। পবিত্র কোরআনে এই বিষয়ে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, হে আমাদের রব! আর আপনি তাদের মধ্য থেকে তাদের কাছে এক রাসূল পাঠান, যিনি আপনার আয়াতসমূহ তাদের কাছে তিলাওয়াত করবেন; তাদেরকে কিতাব ও হেকমত শিক্ষা দেবেন এবং তাদেরকে পরিশুদ্ধ করবেন আপনি তো পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়’। (সূরা বাকারা, (২), আয়াত, ১২৯)

মানুষের মধ্যে যারা কাজেকর্মে সৎ হবে, তাদের জন্য রয়েছে অঢেল পুরস্কার এবং যারা কাজেকর্মে অসৎ হবে, তাদের জন্য থাকছে তিরস্কার। সৎকর্মের পরিচয় ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও সংসারজীবনের সব কাজেকর্মে সততা ও ন্যায়নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে যাওয়া।

হাদিস থেকে জানা যায়, হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পূর্ববর্তী নবী এবং তাদের উম্মতগণ দীর্ঘায়ু লাভ করার কারণে বহু বছর আল্লাহর ইবাদাত করার সুযোগ পেতেন। কুরআন ও হাদীসের বর্ণনায় জানা যায়, ইসলামের চার জন নবী যথা আইয়ুব, জাকরিয়া , হিযকীল ও ইউশা ইবনে নূন প্রত্যেকেই আশি বছর স্রষ্টার উপাসনা করেন এবং তারা তাদের জীবনে কোন প্রকার পাপ কাজ করেননি। কিন্তু হজরত মুহাম্মদ (সা.) থেকে শুরু করে তার পরবর্তী অনুসারীগণের আয়ু অনেক কম হওয়ায় তাদের পক্ষে স্রষ্টার আরাধনা করে পূর্ববর্তীতের সমকক্ষ হওয়া কিছুতেই সম্ভপর নয় বলে তাদের মাঝে আক্ষেপের সৃষ্টি হয়। তাদের এই আক্ষেপের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের চিন্তা দূর করার জন্য সূরা ক্বদর নাজিল করা হয়। সূরা কদর পবিত্র কোরআনের ৯৭তম সূরা। এর আয়াত সংখ্যা ৫টি এবং এর রুকুর সংখ্যা ১টি। এই সূরাতে পবিত্র কোরআন নাজিলের কথা এবং হাজার রাতের থেকে উত্তম শবে কদরের কথা আলোচনা করা হয়েছে।

এই সূরার শানে নুজুল সম্পর্কে হজরত ইবনে আবী হাতেম -এর রেওয়ায়েতে বর্ণিত হয়েছে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একবার বনী ইসরাঈলের জনৈক মুজাহিদ সম্পর্কে আলোচনা করলেন। সে এক হাজার মাস পর্যন্ত অবিরাম জিহাদে মশগুল থাকে এবং কখনও অস্ত্র সংবরণ করেনি। মুসলমানগণ একথা শুনে বিস্মিত হলে এ সূরা কদর অবতীর্ণ হয়। এতে এ উম্মতের জন্যে শুধু এক রাতের ইবাদতই সে মুজাহিদের এক হাজার মাসের এবাদত অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ বলে গণ্য করা হয়েছে।

শবে কদর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রাত। শবে কদর ফারসি শব্দ। শব অর্থ রাত। আর কদর অর্থ সম্মান, মর্যাদা। আরবিতে এই রাতকে লাইলাতুল কদর বলা হয়। আরবি ‘লাইলাতুন’ অর্থ রাত। কদর শব্দের অর্থ সম্মান, মর্যাদা। আরেক অর্থ ভাগ্য, পরিমাণ ও তকদির নির্ধারণ। তাই এই রাতটি মুসলমানদের জন্য ভাগ্য রজনী হিসেবে সম্মানিত। লাইলাতুল কদরের রাত হচ্ছে হাজার মাসের চেয়ে উত্তম রাত।

পবিত্র কুরআনুল কারিম নাযিলের মাধ্যমে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন এই রাতকে হাজারের মাসের চেয়ে শ্রেষ্ঠ উত্তম ও মহা সম্মানিত রাত হিসেবে আমারদের জন্য দান করেছেন। প্রতিবছর রমজান মাসের শেষ দশকের রাতগুলোর মধ্যে কোনো এক বিজোড় রাত হলো ভাগ্য নির্ধারণ বা লাইলাতুল কদরের রাত।

চলতি বছরের রমজান মাসে শবে কদর ও জুমাতুল বিদা একই দিনে পালন করবেন বাংলাদেশের মুসলমানরা। এবার জুমাতুল বিদা অনুষ্ঠিত হবে ২৮ মার্চ শুক্রবার। একই দিন বাংলাদেশের মানুষেরা ২৭তম রোজা পালন করবেন। ২৭তম রোজা শুরু হবে এর আগের দিন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে। কারণ, আরবি তারিখের হিসাব শুরু হয় সন্ধ্যা থেকে। শুক্রবার খ্রিস্টীয় বর্ষপঞ্জির ২৮ তারিখ হলেও এ দিন ২৭ তম রমজানের রোজা পালন করা হবে।

বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে ২৭ রমজান শবে কদর পালন করা হয়। তবে হাদিসের ভাষ্য অনুযায়ী প্রতি বছর একই দিনে শবে কদর অনুষ্ঠিত হয় না। সহীহ বিশুদ্ধ হাদিস থেকে জানা যায় যে, লাইলাতুল কদর রমজানের শেষ দশ দিনের যে কোন বিজোড় রাত্রিতে হয়ে থাকে। বিভিন্ন সহীহ হাদীসে ২১, ২৩, ২৫, ২৭ ও ২৯ তারিখে লাইলাতুল কদর অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা উল্লেখিত আছে।

হাদিসে এ কথাও উল্লেখিত আছে, যে কোন একটি নির্দিষ্ট বিজোড় রাত্রিতেই তা হয় না। অর্থাৎ কোন বছরে ২৫ তারিখে হল, আবার কোন বছরে ২১ তারিখে হল এভাবে। লাইলাতুল কদরের সওয়াব পেতে চাইলে ৫টি বিজোড় রাত্রেই তালাশ করতে হবে।

আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফ করতেন এবং বলতেন, তোমরা রমজানের শেষ দশকে লাইলাতুল কদর অনুসন্ধান কর। (বুখারি, ২০২০)

যে রাতে পবিত্র কুরআন নাজিল হয়েছে, সে রাতই লাইলাতুল কদর। আল্লাহতায়ালা বলেন: ‘নিশ্চয়ই আমি কুরআন নাজিল করেছি মর্যাদাপূর্ণ কদর রজনীতে। আপনি কি জানেন, মহিমাময় কদর রজনী কী? মহিমান্বিত কদর রজনী হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম। সে রাতে ফেরেশতাগণ হজরত জিবরাইল আলাইহিস সালামকে সমভিব্যহারে অবতরণ করেন; তাঁদের প্রভু মহান আল্লাহর নির্দেশ ও অনুমতিক্রমে, সব বিষয়ে শান্তির বার্তা নিয়ে। এই শান্তির ধারা চলতে থাকে উষা বা ফজর পর্যন্ত। (আল কুরআন, সুরা-৯৭ [২৫] আল কদর)

রমজান মাস পবিত্র কুরআন নাযিলের মাস। শবে কদর কুরআন নাযিলের রাত। এ রাতেই প্রথম পবিত্র মক্কা মুকাররমার হেরা পর্বতের গুহায় মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের পক্ষ থেকে ফেরেশতাদের সরদার হজরত জিবরাইল আলাইহিস সালামের মাধ্যমে রাহমতুল্লিল আলামিন প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মাদ (সা.)-এর প্রতি মহাগ্রন্থ আল কুরআন নাযিল করেন।

এ কারণে আল্লাহ তায়ালা এ রাতের মর্যাদা বাড়িয়ে দিয়েছেন। এ রাতে মহান আল্লাহ উম্মতে মুহাম্মাদিকে হাজার মাসের ইবাদত-বন্দেগি ও আমলের সমান সাওয়াব দান করে। কুরআনুল কারিমের অন্য স্থানে এ রাতটিকে বরকতময় রাত বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

আল্লাহ পবিত্র কুরআনে বলেন- হা-মীম। শপথ সুস্পষ্ট কিতাবের। আমি একে (কুরআন) এক বরকতময় রাতে নাজিল করেছি। নিশ্চয়ই আমি সতর্ককারী। এ রাতে প্রত্যেক প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয় স্থিরকৃত হয়। আমার পক্ষ থেকে আদেশক্রমে, আমিই প্রেরণকারী। আপনার পালনকর্তার পক্ষ থেকে রহমতস্বরূপ। তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।’ (সুরা দুখান : আয়াত ১-৬)

কুরআন নাযিলের কারণে মর্যাদার এ রাতের কথা উল্লেখ করার পর যে মাসে কুরআন নাযিল হয়েছে সে মাসের কথাও আল্লাহ তাআলা কুরআনুল কারিমে উল্লেখ করেছেন এভাবে-

আল্লাহ তায়ালা বলেন: ‘রমজান মাস! এমন একটি মাস যে মাসে কোরআন নাযিল হয়েছে মানবের মুক্তির দিশারি ও হিদায়াতের সুস্পষ্ট নিদর্শনরূপে। ’ (সুরা-২ আল বাকারা, আয়াত: ১৮৫)।

সুতরাং লাইলাতুল ক্বদরের রাতে আল্লাহর ওইসব বান্দারা সবচেয়ে বেশি সম্মানিত ও মর্যাদার অধিকারী হবেন, যাদের সঙ্গে কুরআনের সম্পর্ক বেশি। যিনি কুরআন-সুন্নাহর আলোকেই নিজের জীবন পরিচালিত করবেন। বাস্তবজীবনে কোরআন-সুন্নাহর আমলে সাজাবেন জীবন। আর তারাই হবেন সফল।

রমজানের শেষ দশদিনের যেকোনো বেজোড় রাতে লাইলাতুলকদর তালাশ করা যায়, অর্থাৎ ২১, ২৩, ২৫, ২৭, ২৯ রমজান দিবাগত রাতগুলো। তবে অনেক আলেমদের গবেষণা ও ব্যাখ্যায় এবং বুজুর্গানেদ্বীনের মতে ২৬ তারিখ দিবাগত রাত অর্থাৎ সাতাশ তারিখে পবিত্র শবে কদরের অন্যতম সম্ভাব্য রাত।

মর্যাদার এ রাত পেলে মুমিন বান্দা আল্লাহর কাছে কী প্রার্থনা করবেন? কী চাইবেন? এ সম্পর্কে হাদিসের একটি বর্ণনা এভাবে এসেছে- হযরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বর্ণনা করেন, একবার আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞাসা করলাম- হে আল্লাহর রাসুল! (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আপনি বলে দিন, আমি লাইলাতুল কদর কোন রাতে হবে তা জানতে পারি, তাতে আমি কী (দোয়া) পড়বো?

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, তুমি বলবে-

উচ্চারণ: 'আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আ'ফুয়্যুন; তুহিব্বুল আ'ফওয়া; ফা'ফু আ'ন্নী।’

অর্থ: হে আল্লাহ! আপনি ক্ষমাশীল; ক্ষমা করতে ভালোবাসেন; অতএব আমাকে ক্ষমা করে দিন। (মুসনাদে আহমাদ, ইবনে মাজাহ, তিরমিজি, মিশকাত)

মহিমান্বিত রজনীর নিদর্শনসমূহ: ১. কদরের রাত্রি তিমিরাচ্ছন্ন হবে না। ২. নাতিশীতোষ্ণ হবে। (না গরম না শীত এমন হবে) ৩. মৃদু বায়ু প্রবাহিত হবে। ৪. উক্ত রাতে মু’মিনগণ কিয়ামুল লাইল বা ইবাদত করে অন্যান্য রাত অপেক্ষা অধিক তৃপ্তি বোধ করবে। ৫. হয়তোবা আল্লাহ তা’আলা কোনো ঈমানদার ব্যক্তিকে উহা স্বপ্নে দেখাবেন। (দেখুন: ইবনে খুযায়মা, ইবনে হিব্বান, মুসনাদে আহমদ) ৬. ঐ রাতে বৃষ্টি বর্ষণ হতে পারে। (বুখারী) ৭. সকালে হালকা আলোক রশ্নিসহ সূর্যোদয় হবে, পূর্ণিমার চাঁদের ন্যায়। (মুসলিম)

লাইলাতুল কদর বা কদরের রাতে আমাদের কী কী করণীয়: কোরআন ও হাদিসের আলোকে এ রাতে আমাদের করণীয় হলো; (১) মহান আল্লাহ ও তার রাসূলের আনুগত্যের ভিত্তিতে প্রত্যেক অভিভাবক নিজে রাত জাগবেন এবং পরিবার-পরিজনকে জাগরণে উদ্বুদ্ধ করবেন। (২) সাধ্যানুপাতে তারাবীহ বা তাহাজ্জুদ নামাজ লম্বা কিরাআত ও লম্বা রুকু সিজদা দ্বারা দীর্ঘক্ষণ যাবৎ আদায় করবেন। সিজদায় তিন বা ততোধিক বার সিজদার তাসবীহ পাঠ করে কুরআন ও হাদিসে উল্লেখিত দু’আসমূহ পাঠ করবেন। এ মর্মে বিশুদ্ধ হাদিসও রয়েছে। অনেকে আবার খুব পেরেশান থাকেন যে, কদরের নামাজের নিয়ত কী হবে? কোন-কোন সূরা দিয়ে নামাজ পড়তে হবে? আমাদের ভালোভাবে জানা থাকা প্রয়োজন যে, ইশার নামাজের পর থেকে নিয়ে ফজর পর্যন্ত যে নফল নামাজ পড়া হয়, তাকে বলা হয় কিয়ামুল-লাইল বা তাহাজ্জুদ। অতএব কদরের রাতে ইশার পর থেকে ফজর পর্যন্ত যত নামাজ পড়া হবে সেগুলোকে নফলও বলা যাবে অথবা তাহাজ্জুদও বলা যাবে। লাইলাতুল কদর উপলক্ষে নামাজের জন্য বিশেষ কোনো নিয়ত নেই বা অমুক-অমুক সূরা দিয়ে পড়তে হবে এমনও কোনো বাঁধাধরা নিয়ম নেই। (৩) অতীতের কবিরা গুনাহ বা বড় পাপের জন্য একনিষ্ঠভাবে তাওবা করবেন ও অধিকরূপে ইস্তেগফার করবেন। (৪) কুরআন মাজীদ পাঠ করবেন। শরিয়ত সম্মত পদ্ধতিতে তথা চুপিসারে, একাকী, রিয়ামুক্ত অবস্থায় যিকির-আযকার করবেন। (৫) পাপ মোচনসহ পার্থিব ও পরকালীন সার্বিক মুক্তি ও কল্যাণের জন্যে বিনয়ীভাবে একাগ্রচিত্তে দু’আ কবুলের প্রত্যাশা নিয়ে দু’আ করবেন। নিম্নের দু’আ বিশেষভাবে পাঠ করবেন, “আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউয়ুন তুহিব্বুল আফওয়া ফা’ফু আন্নী” নিঃসন্দেহে ওই বরকতপূর্ণ রাতটি যে ব্যক্তি অবহেলায় বা অলসতায় অবমূল্যায়ন করল, এর যথার্থ গুরুত্বারোপ করল না, সে সমূহকল্যাণ থেকে নিজকে বিরত রাখল। প্রত্যেক মুসলিম ব্যক্তির উচিত যে, ওই রাতের যথাযথভাবে হক আদায় করে মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে কল্যাণ, ফজিলত, বরকত ও আশাতীত সওয়াব লাভে ধন্য হওয়া। আল্লাহ তা’আলা আমাদের সবাইকে বেশি-বেশি করে ইবাদত-বন্দেগীর মাধ্যমে লাইলাতুল কদরের ফজিলত অর্জন করে তার নৈকট্য লাভের তাওফীক দান করুন।

(ঢাকাটাইমস/২৭ মার্চ/আরজেড)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
শিক্ষার্থীদের সভা-সমাবেশ ও মিছিলে অংশগ্রহণ বন্ধের নির্দেশ, হচ্ছে আলোচনা-সমালোচনা
উত্তরায় প্রাইভেটকারসহ দুই অপহরণকারী গ্রেপ্তার
প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে নতুন ঘর পেল চার জেলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৩০০ পরিবার
ঈদের আগেই আসছে নতুন নোট, নকশায় থাকছে জুলাই অভ্যুত্থানের গ্রাফিতি
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা