পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর দৃষ্টিশক্তি উন্নত করার লক্ষ্যে ব্র্যাক ব্যাংক ও ভিশনস্প্রিং

বাংলাদেশের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য দৃষ্টিশক্তি উন্নত করার বিষয়ে আলোচনা করেছে ব্র্যাক ব্যাংক ও ভিশনস্প্রিং-এর নির্বাহী কর্মকর্তারা। গত ৪ মে ঢাকায় ব্র্যাক ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এক বৈঠকে এই বিষয়ে আলোচনা করেন ভিশনস্প্রিং-এর গ্লোবাল সিইও এলা গুডউইন এবং ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও সেলিম রেজা ফরহাদ হোসেন।
ব্র্যাক ব্যাংকের ফ্ল্যাগশিপ সিএসআর উদ্যোগ ‘অপরাজেয় আমি’-এর আওতায় বাংলাদেশের যে শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছে চক্ষুসেবা পৌঁছায় না, তাদের কীভাবে এই উদ্যোগের আওতায় নিয়ে আসা যায়, সেই বিষয় নিয়ে নিজেদের পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলেছেন এই দুই শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা। উন্নত দৃষ্টিশক্তির প্রসারের মাধ্যমে দেশে অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তির প্রসারে কাজ করতে আগ্রহী তারা।
২০২৫ সালের মধ্যেই ৬১ হাজার ৫০০ মানুষকে চক্ষুসেবা দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে ব্র্যাক ব্যাংকের ‘অপরাজেয় আমি’ উদ্যোগ। ব্র্যাক ব্যাংকের এসএমই ও কর্পোরেট গ্রাহক প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের পাশাপাশি ব্যাংকটির সকল স্তরের কর্মকর্তা এই প্রকল্পের আওতায় চক্ষুসেবা পাচ্ছেন।
ইতোমধ্যে, এই প্রকল্পের লক্ষ্যমাত্রার ৪০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে, যেখানে চোখ পরীক্ষা করা ৩২ শতাংশ ব্যক্তির চশমার প্রয়োজন পড়েছে। এদের মধ্যে আবারপ্রায় ৮০ শতাংশ ব্যক্তিই জীবনে প্রথমবারের মতো চশমা পরেছেন।
এই যৌথ উদ্যোগ সম্পর্কে ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও সেলিম রেজা ফরহাদ হোসেন বলেন, “উন্নত দৃষ্টিশক্তি শুধু স্বাস্থ্যসেবার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি হতে পারে অর্থনৈতিক সক্ষমতা বৃদ্ধির একটি উপায়ও। ভিশনস্প্রিং-এর সাথে আমাদের এই উদ্যোগ মানুষের পূর্ণ সম্ভাবনার বিকাশে অবদান রাখছে।”
এই পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়ে এলা গুডউইন বলেন, “ব্র্যাক ব্যাংক প্রমাণ করেছে কীভাবে একটি কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান কৌশলগতভাবে সামাজিক পরিবর্তনে ভূমিকা রাখতে পারে। সঠিক দৃষ্টিশক্তি হতে পারে মানুষের কল্যাণ, টেকসই উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তির একটি কার্যকর মাধ্যম। এই বার্তাটি সবার মাঝে পৌঁছে দিতেই আমরা একসাথে কাজ করছি। আমাদের এই সহযোগিতায় অংশ নিতে আমরা অন্যদেরও আহ্বান জানাচ্ছি।”
২০০১ সালে যাত্রা শুরু করা ভিশনস্প্রিং এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৪০ লাখ নিম্ন আয়ের মানুষকে চক্ষুসেবা দিয়েছে। এর ফলে এসব পরিবারে প্রায় ৩০০ কোটি ডলারের আয়-সক্ষমতা তৈরি হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/১৪মে/মোআ)

মন্তব্য করুন