হরিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক্স-রে মেশিন নষ্ট, ভোগান্তিতে রোগীরা
মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রায় ১ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে এক্স-রে সেবা। এক্স-রে মেশিনে সমস্যা হওয়াই চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে রোগীদের। জরুরি প্রয়োজনে বাধ্য হয়ে হাসপাতালের বাহিরে বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে এক্স-রে করাচ্ছেন রোগীরা। ফলে বাড়তি টাকা গুণতে হচ্ছে তাদের।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, গত অক্টোবর মাসের ২১ তারিখ থেকে হাসপাতালের এক্স-রে মেশিনটি নষ্ট হয়ে আছে। সেই থেকে হাসপাতালে আসা রোগীরা এক্স-রে করাতে পারছেন না। এ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা রোগীরা এক্স-রে করাতে না পেরে ফেরত যাচ্ছেন। এতে রোগীদের সময় ও অর্থ নষ্ট হচ্ছে। যাদের এক্স-রে করা জরুরি, তারা হাসপাতালের বাহিরের বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গিয়ে এক্স-রে করছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সূত্রে জানা যায়, প্রতি মাসে প্রায় ৭০ থেকে ৮০ জন রোগী এক্স-রে করিয়ে থাকেন। কিন্তু বর্তমানে মেশিন নষ্ট থাকায় অসংখ্য রোগী ভোগান্তির শিকার হয়ে ফেরত যাচ্ছেন।
উপজেলার চালা ইউনিয়নের লাউতা গ্রামের আব্দুল আলিম বলেন, ‘আমার স্ত্রীর অনেকদিন ধরে ঘাড়ে এবং কোমড়ে ব্যথা করছে। তাকে ডাক্তার এক্স-রে করতে বলেছেন। এ জন্য হাসপাতালে এসে শুনি এক্স-রে মেশিন নষ্ট। এখন বাইরে থেকে এক্স-রে করাতে হবে।’
সেবা নিতে আসা আরেক রোগী নাসরিন আক্তার বলেন, ‘কোমড়ে ব্যথা নিয়ে এক্স-রে করাতে এসে শুনি মেশিন নষ্ট। অনেকদিন হয় কোমড়ে আঘাত পেয়েছি, এখন ব্যথার যন্ত্রণা বাড়ায় এক্স-রে করাতে আসছি। কিন্তু মেশিন নষ্টের কারণে এক্স-রে করাতে পারছি না।’
চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর স্বজন হাবিল বলেন, ‘বাইরের ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গিয়ে এক্স-রে করাতে বেশি টাকা লাগে কিন্তু এই হাসপাতালে সরকারি খরচে অল্প টাকায় এক্স-রে করা যেত। কিন্তু মেশিন নষ্ট থাকায় বাইরে থেকে অতিরিক্ত টাকায় এক্স-রে করাতে হবে।’
হরিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কাজী এ. কে. এম রাসেল এক্স-রে মেশিন নষ্ট থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘অত্র হাসপাতালের যে এনালক এক্স-রেটি রয়েছে সেটি আমাদের পর্যালোচনা মোতাবেক গত ২১ অক্টোবর থেকে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। বর্তমানে অকেজো অবস্থায় আছে। আমি যোগদানের পরে গত ১৩ নভেম্বর আমাদের ঊধ্র্বতন কর্তৃপক্ষ এবং ন্যাশনাল ইলেকট্রো-মেডিক্যাল ইকুইপমেন্ট মেইনটেন্যান্স ওয়ার্কশপ বরাবর এটা মেরামতের জন্য একটি পত্র প্রেরণ করা হয়েছে। আশাকরি খুব শিগগিরই তা মেরামতের ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।
(ঢাকা টাইমস/২২নভেম্বর/এসএ)
মন্তব্য করুন