ইজারা দ্বন্দ্বে মেঘনার গজারিয়া-নারায়ণগঞ্জ ট্রলার চলাচল আজও বন্ধ, দুর্ভোগ

মুন্সীগঞ্জের মেঘনা নদী পারাপারে গজারিয়া ও নারায়ণগঞ্জের চরকিশোরগঞ্জ নৌরুটের ইজারা নিয়ে দ্বন্দ্বে বন্ধ হয়ে পড়েছে নৌ-চলাচল। এতে দুর্ভোগে পড়েছে এই নৌরুট দিয়ে যাতায়াতকারী শত শত যাত্রী।
মঙ্গলবার সকালে গজারিয়া থেকে ছেড়ে যাওয়া ট্রলারগুলো মাঝ মেঘনায় থামিয়ে খেয়া পারাপারের টাকা তুলছে সোনারগাঁও উপজেলার শম্ভুপুড়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য ও চরকিশোরগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা মোতালেব মিয়া ও তার লোকজন। ইউপি সদস্য মোতালেব মিয়া মেঘনা নদীর চরকিশোরগঞ্জ প্রান্তের খেয়াঘাট ইজারাদার। তার সঙ্গে পূর্ব প্রান্তের গজারিয়া খেয়াঘাটের ইজারাদার সিন্ডিকেটের সঙ্গে ঘাট ইজারা নিয়ে বিরোধ দেখা দেয়। এর জের ধরে মঙ্গলবার দুপুর থেকে খেয়া পারাপারে ট্রলার চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ায় দুই পাড়ের যাত্রীরা পড়েছেন বেকায়দায়।
জানা গেছে, এ নৌরুটে দীর্ঘদিন ধরে মেঘনা নদীর গজারিয়া অংশের ট্রলার ঘাটের ইজারা দিয়ে আসছে গজারিয়া উপজেলা প্রশাসন এবং চর-কিশোরগঞ্জ অংশে ট্রলার ঘাটের ইজারা দেয় নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলা প্রশাসন।
অন্যদিকে নদীর গজারিয়া অংশে থাকা লঞ্চঘাটের ইজারা দেয় বিআইডব্লিউটিএ।
তবে চলতি ১ জুলাই থেকে চরকিশোরগঞ্জ ট্রলার ঘাটটি ইজারা দেয় বিআইডব্লিউটিএ। এ নিয়ে চরকিশোরগঞ্জ ঘাটের ইজারাদার নদীর দুই পাশের ট্রলার ঘাট থেকে ইজারা তোলার ঘোষণা দিলে বিরোধ সৃষ্টি হয়।
গজারিয়া ট্রলার ঘাটের ইজারাদার রিপন মুন্সীর দাবি, তাকে ঘাট থেকে চলে যাওয়ার জন্য কয়েক দফা হুমকি দেওয়া হয়েছে।
গজারিয়া অংশের ট্রলার ঘাটের ইজারাদার রিপন মুন্সী বলেন, তিনি গজারিয়া ট্রলার ঘাটের ইজারাদার। উপজেলা প্রশাসনকে ইজারা মূল্য পরিশোধ করে পহেলা বৈশাখ থেকে চৈত্র মাসের ৩০ তারিখ পর্যন্ত ইজারা পেয়েছেন। কিন্তু সম্প্রতি বিআইডব্লিউটিএ থেকে নদীর চরকিশোরগঞ্জ ঘাট ইজারা পেয়ে মোতালেব মিয়া নদীর দুই পাড় থেকে টাকা তোলার কথা বলছে। ইতোমধ্যে তার কয়েকজন লোক হুমকি দিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
তবে চরকিশোরগঞ্জ খেয়াঘাটের ইজারাদার শম্ভুপুড়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য ও চরকিশোরগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা মোতালেব মিয়া বলেন, রিপন মুন্সী মিথ্যা অভিযোগ তুলে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চাইছে। রিপন মুন্সী ও তার সিন্ডিকেট সদস্যরা গজারিয়া খেয়া ঘাট এলাকায় বহিরাগত সন্ত্রাসী জড়ো করে উল্টো তার বিরুদ্ধে মিথ্যা কথা বলে বেড়াচ্ছে।
এ বিষয়ে গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশরাফুল আলম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয়পক্ষের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে ট্রলার চালু করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বিষয়টি স্থানীয় সমাধানের জন্য আজ উভয়পক্ষকে গজারিয়া উপজেলা পরিষদে বসার জন্য ডাকা হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/২জুলাই/মোআ)

মন্তব্য করুন