ইলন মাস্ককে দক্ষিণ আফ্রিকায় ফেরত পাঠানোর হুমকি দিলেন ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং টেসলা ও স্পেসএক্সের প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্কের মধ্যে প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ক্রমেই তীব্র রূপ নিচ্ছে। সম্প্রতি ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, বিশ্বের অন্যতম ধনী উদ্যোক্তা ইলন মাস্ককে তার জন্মভূমি দক্ষিণ আফ্রিকায় ফেরত পাঠানো হবে।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, “আমরা বিষয়টি বিবেচনায় নিচ্ছি। আমাদের ইলনের ওপর ডিওজিই প্রয়োগ করতে হবে। আপনারা জানেন ডিওজিই কী? এটি সেই দানব যেটি ফিরে যাবে, আর ইলনকে গিলে ফেলবে।”
ট্রাম্প আরও বলেন, “ইলনের কোম্পানিগুলো যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ ভর্তুকি পেয়ে আসছে। ভর্তুকি ছাড়া মাস্ককে তার ব্যবসা গুটিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় ফিরে যেতে হবে।”
উল্লেখ্য, ইলন মাস্ক জন্মগ্রহণ করেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকায়। পরে তিনি কানাডায় যান এবং সেখান থেকে যুক্তরাষ্ট্রে এসে নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন।”
২০২৫ সালের ২০ জানুয়ারি দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর ডোনাল্ড ট্রাম্প ‘ডিওজিই’ (DOEG: Department of Expenditure Governance) নামে নতুন একটি দপ্তর গঠন করেন, যার লক্ষ্য ছিল সরকারি ব্যয় হ্রাস করা। এই দপ্তরের প্রথম প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পান ইলন মাস্ক। তবে মাস্ক কিছুদিনের মধ্যেই পদত্যাগ করেন এবং ট্রাম্পের বাজেট ও ট্যাক্স বিলের সমালোচনা শুরু করেন।”
এই সমালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে ট্রাম্প হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন, মাস্কের কোম্পানিগুলোর জন্য সরকারি ভর্তুকি বন্ধ করে দেওয়া হবে। জবাবে ইলন মাস্ক বলেন, “সরকার চাইলে সব ভর্তুকি বন্ধ করে দিক।”
এই বিবাদের ফলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি, ব্যবসা ও রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। কেউ কেউ এটিকে মাস্কের ‘স্বাধীন অবস্থান’ বললেও, ট্রাম্পপন্থীরা বলছেন, “সরকারের বিরুদ্ধে দাঁড়ালে ফল ভোগ করতেই হবে।”
(ঢাকাটাইমস/২ জুলাই/আরজেড)

মন্তব্য করুন