গ্রেপ্তার ৬
আইনজীবী সাইফুল হত্যা: ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা
বাংলাদেশ সনাতনী জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে কারাগারে পাঠানোকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম আদালত এলাকায় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার ঘটনায় ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা হয়েছে। এছাড়া মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে ১০ থেকে ১৫ জনকে।
সাইফুলের বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে শুক্রবার গভীর রাতে চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলাটি করেন।
মামলার আসামিরা হলেন- কোতোয়ালী থানাধীন বান্ডেল রোড সেবক কলোনি এলাকার বাসিন্দা চন্দন, আমান দাস, শুভ কান্তি দাস, বুঞ্জা, রনব, বিধান, বিকাশ, রমিত, রুমিত দাশ, নয়ন দাস, গগন দাস, বিশাল দাস, ওমকার দাস, বিশাল, রাজকাপুর, লালা, সামির, সোহেল দাস, শিব কুমার, বিগলাল, পরাশ, গণেশ, ওম দাস, পপি, অজয়, দেবী চরণ, দেব, জয়, দুর্লভ দাস ও রাজীব ভট্টাচার্য্য।
এদিকে আদালতে প্রাঙ্গণে সংঘর্ষের ঘটনায় একই দিন রাতে ১১৬ জনকে আসামি করে আরেকটি মামলা হয়েছে। আলম নামে একজন বাদী হয়ে দণ্ডবিধি এবং বিস্ফোরক আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলাটি করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) দক্ষিণ জোনের উপ-কমিশনার (ডিসি) শাকিলা সুলতানা গণমাধ্যমকে বলেন, মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) আদালত এলাকার ঘটনায় শুক্রবার রাতে দুটি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে হত্যা মামলাটি আমরা একেবারে যাচাই-বাছাই করে আসামি করেছি। এর আগে একই ঘটনায় আরও ৩টি মামলা হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, সাইফুল হত্যার ঘটনায় এ পর্যন্ত ৩৯ জনকে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে ছয়জনকে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
মামলায় নাম থাকা বাকি ২৫ আসামি পলাতক রয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তারের পর গত মঙ্গলবার চট্টগ্রাম মহানগর ষষ্ঠ কাজী শরীফুল ইসলামের আদালতে হাজির করা হয় চিন্ময় কৃষ্ণকে। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এ নিয়ে বিক্ষোভ করেন তার অনুসারীরা। এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান বিক্ষোভকারীরা। দুপুরের পর বিক্ষোভকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে আদালত এলাকায় মসজিদ-দোকানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলা চালান।
একপর্যায়ে বিকালে আদালতের প্রধান ফটকের বিপরীতে রঙ্গম কনভেনশন হলের গলিতে একদল বিক্ষোভকারীর হাতে খুন হন অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম। তিনি চট্টগ্রাম আদালতের আইনজীবী ছিলেন।
বুধবার চট্টগ্রাম শহরে দুই দফা এবং লোহাগাড়া উপজেলায় দুই দফা জানাজা শেষে উপজেলার চুনতি ইউনিয়নের ফারেঙ্গা গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে আইনজীবী সাইফুলকে দাফন করা হয়।
ঢাকাটাইমস/৩০নভেম্বর/ইএস
মন্তব্য করুন