কাশিয়ানীতে প্রণোদনার পেঁয়াজ বীজে কৃষকের সর্বনাশ
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে সরকারি প্রণোদনার পেঁয়াজ বীজ বপন করে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন কৃষকরা।
কৃষি অফিস থেকে বিনামূল্যে পাওয়া এসব বীজে গজায়নি অঙ্কুর। এতে উপজেলার দেড় শতাধিক ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এতে পেঁয়াজের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।
কৃষকদের অভিযোগ, তাদের নিম্নমানের বীজ দেয়া হয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে কাশিয়ানী উপজেলার রবি প্রণোদনা হিসেবে ১৪০ জন কৃষকের মাঝে বারি-৪ ও তাহেরপুরী জাতের পেঁয়াজের বীজ বিতরণ করা হয়। প্রতিকেজি পেঁয়াজ বীজের সঙ্গে ১০ কেজি ডিএপি, ১০ কেজি এওপি সারও দেয়া হয়। প্রণোদনা পাওয়া সব কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) কাছ থেকে এসব বীজ কিনে বিনামূল্যে বিতরণ করে কৃষি বিভাগ। এ জন্য বিএডিসিকে দায়ী করছেন কৃষি বিভাগ।উপজেলার হোগলাকান্দি গ্রামের কৃষক তুহিন মোল্যা বলেন, ‘গত মাসে কৃষি অফিস থেকে বিনামূল্যে এক কেজি পেঁয়াজের বীজ দেওয়া হয়। কিন্তু বপনের ১০ দিন পরেও অঙ্কুরোগম হয়নি। শুধু আমি নয়, আমাদের এলাকায় যারা প্রণোদনার পেঁয়াজ বীজ বপন করেছিলেন। কারও বীজে চারা গজানি। সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এ বছর পেঁয়াজের আবাদ নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় আছি।’
কাশিয়ানী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. ইজাজুল করিম সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘বিএডিসি থেকে সরবরাহ করা পেঁয়াজের বীজ কৃষকদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছিল। কিন্তু জমিতে বপনের পর বীজ অঙ্কুরোগম হয়নি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তারা সরেজমিনে তদন্ত করেছেন। এখনও যারা পেঁয়াজ বীজ বপন করেনি, তাদেরকে বপন করতে নিষেধ করা হয়েছে।’
(ঢাকা টাইমস/০৩ডিসেম্বর/এসএ)
মন্তব্য করুন