আবু সাঈদ হত্যা মামলা
আসামি বেরোবির সাবেক প্রক্টরকে সাময়িক বরখাস্ত
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যা মামলায় অভিযুক্ত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) সাবেক প্রক্টর ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. শরিফুল ইসলামকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. মো. হারুন অর রশিদ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা যায়। বিজ্ঞপ্তিটি মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) গণমাধ্যম কর্মীদের হাতে আসে।
মো. শরিফুল ইসলামকে চাকরি থেকে সাময়িক অব্যাহতির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়ায় সরকারি চাকরি আইন ২০১৮ এর ২৯(০২) মোতাবেক আপনাকে (মো. শরিফুল ইসলাম) চাকরি হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।‘ এই আদেশ ১৯ নভেম্বর ২০২৪ থেকে কার্যকর বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
এর আগে গত ১৮ নভেম্বর রাতে পিবিআই পুলিশ শরিফুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে নিয়ে যান এবং জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। তার বিরুদ্ধে ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে পুলিশকে গুলি করতে নির্দেশনা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এই মামলায় মহানগর পুলিশের এএসআই আমীর আলী ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, রংপুর রেঞ্জের সাবেক উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আবদুল বাতেন, রংপুর মহানগর পুলিশের তৎকালীন কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান, রংপুর মহানগর পুলিশের তৎকালীন উপকমিশনার আল মারুফ হোসেন, সহকারী কমিশনার মো. আরিফুজ্জামান, আল ইমরান হোসেন, তাজহাট থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বিভূতিভূষণ রায়, এএসআই আমির হোসেন ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়। এর মধ্যে আমির হোসেন ও সুজন চন্দ্র রায় সাময়িক বরখাস্ত ছিলেন। রংপুর রেঞ্জের সাবেক ডিআইজি আবদুল বাতেন ও রংপুরের সাবেক পুলিশ কমিশনার মো. মনিরুজ্জামানকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া মামলায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষক গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মশিউর রহমান ও লোকপ্রশাসন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আসাদুজ্জামান মণ্ডল, প্রক্টর কার্যালয়ের কর্মকর্তা রাফিউল হাসান, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি পোমেল বড়ুয়া, সাধারণ সম্পাদক শামীম মাহফুজ, সাংগঠনিক সম্পাদক ধনঞ্জয় কুমার রায়, দপ্তর সম্পাদক বাবুল হোসেনকে আসামি করা হয়। অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয় আরও অন্তত ৩০ থেকে ৩৫ জনকে।
(ঢাকাটাইমস/৩ডিসেম্বর/মোআ)
মন্তব্য করুন