২৪ বছর আগের দুর্নীতির মামলা থেকে খালাস পেলেন জয়নুল আবদিন ফারুক
দুর্নীতি দমন ব্যুরোর ২৪ বছর আগে দায়ের করা সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিল না করার মামলা থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক খালাসকে দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার ঢাকার বিভাগীয় বিশেষ জজ এসএম জিয়াউর রহমান এই খালাসের রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় জয়নুল আবদিন ফারুক আদালতে হাজির ছিলেন।
রায়ে খালাস পাওয়ার ফারুক সাংবাদিকদের বলেন, কৃতজ্ঞতা, গত ৫ আগস্টের ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে যে দ্বিতীয় স্বাধীনতা অর্জিত হলো তারই প্রেক্ষিতে আজ স্বাধীন রায় পেলাম। বিচার বিভাগ এখন স্বাধীন। বিচারকদের এখন আর কারো মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হয় না। বিপ্লবী ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে যে স্বাধীনতা পেয়েছি আজকের রায়ে তা প্রমাণিত হলো। আমি খালাস পেয়েছি। খালাস উৎসর্গ করলাম ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে যারা গণতান্ত্রিক অধিকার ফেরত দিয়েছে। আমার অনুভূতি একটায় দেশের বিচার বিভাগ স্বাধীন থাকুক। যে দলের হোক, যে মতের হোক বিচার বিভাগ যেন সত্যিকার অর্থে স্বাধীন থাকুক। বিচার করার সাহসিকতা আজ দেখেছি। বিগত দিনের মত যেন আর বিচার না হয়।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, জয়নাল আবদিন ফারুক নোয়াখালী-১ আসনের সংসদ সদস্য থাকাকালে ১৯৯৯ সালের ৯ জুলাই থেকে ২২ আগস্ট ১৯৯৯ পর্যন্ত দুদকের পক্ষ থেকে তার পরিবারসহ সবার সম্পদ বিবরণী দেয়ার নোটিশ দেওয়া হয়। ৪৫ দিন সময় পেয়েও তিনি সম্পদ বিবরণী দাখিল করেননি। ২০০০ সালের ১৯ জানুয়ারি ফারুকের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুর্নীতি দমন ব্যুরোর তৎকালীন পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম। ২০০১ সালের ১৭ জুন অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুর্নীতি দমন ব্যুরোর তৎকালীন পরিদর্শক ইমদাদুল হক।২০০৬ সালের ২৩ মার্চ তার বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে আদালত। ওই চার্জগঠনের আদেশের বিরুদ্ধে পরে এই মামলা বাতিল চেয়ে জয়নুল আবেদীন ফারুক হাইর্কোটে রিভিশন আবেদন করেন। রিভিশন আবেদনে হাইকোর্ট ২০১০ সালের ১ জুন রুল জারি করেন এবং নিম্ন আদালতের বিচারে উপর স্থগিতাদেশ দেয়।
এরপর ২০২৩ সালের ২ জানুয়ারি হাইকোর্ট রুল নিস্পত্তি করে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করেন নিম্ন আদালতকে ৬ মাসের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন। হাইকোর্ট স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের পর মামলা বিচার শেষে মঙ্গলবার রায় ঘোষণা করে আদালত।
(ঢাকাটাইমস/২৬নভেম্বর/আরজেড)
মন্তব্য করুন