বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের প্রশংসায় ভাসালেন ফিল সিমন্স
অবশেষে হারের বৃত্ত ভেঙে বের হয়েছে বাংলাদেশ। ক্যারিবিয়ারদের কাছে প্রথম ম্যাচের ২০১ রানে হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়ায় টাইগাররা। কিংস্টনের স্যাবাইনা পার্কে দ্বিতীয় টেস্টের চতুর্থ দিনের শেষ সেশনে ১০১ রানে জিতেছে টাইগাররা। এর মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ১৫ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে তাদের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে জয়লাভ করল বাংলাদেশ।
নানা নাটকীয়তায় গত অক্টোবরে বাংলাদেশ দলের দায়িত্ব নেন ফিল সিমন্স। তবে প্রথম অ্যাসাইন্টমেন্টেই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্টে হোয়াইটওয়াশ হয় বাংলাদেশ। এরপর আফগানদের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ হার। তারপর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেও প্রথম টেস্টে ২০১ রানে হারতে হয় টাইগারদের। সব মিলিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলে ফিল সিমন্সের শুরুটা একেবারেই ভালো হয়নি। তবে ক্যারিবীয়ানদের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচেই বড় ব্যবধানে জয় পেলো বাংলাদেশ।
ম্যাচশেষে ব্রডকাস্টারদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে খেলোয়াড়দের এমন মানসিকতার প্রশংসা করে সিমন্স বলেছেন, ‘ব্যাটসম্যানদের ইতিবাচক মানসিকতা আমার ভালো লেগেছে। প্রথম কয়েক ম্যাচে ওদের শুধু টিকে থাকার মানসিকতা ছিল। এই টেস্টে তৃতীয় দিনে দেখেছেন ওরা বলছে- “আমিও খেলতে এসেছি”।
‘আমার এটা খুব ভালো লেগেছে ও উপভোগ করেছি। ওরা যেন বুঝতে পারে, এখন থেকে এটাই খেলার একমাত্র ধরন, সেটা আমি নিশ্চিত করেছি। এই জয়ের জন্য অনেক তরুণ ক্রিকেটার অপেক্ষা করছিল। প্রথম ম্যাচে হারার পর এভাবে ফিরে আসা দেখতে ভালো লাগছে। আমার জন্য দারুণ আনন্দের।’
২০০৯ সালের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজে এটিই টাইগারদের প্রথম টেস্ট জয়। এই সিরিজের আগে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চারটি টেস্টে খুব বাজেভাবে হেরেছিল বাংলাদেশ। এমন এক জয়ে সবাই যার যার জায়গা থেকে অবদান রেখেছেন।
সিমন্স বলেন, ‘জাকের টানা ৩ টেস্টে ফিফটি করেছে। সুতরাং ও নিজের খেলাটা বোঝে। ও সব বোলারদের বিপক্ষেই দাপট দেখাতে পারে, এটাও আমরা দেখেছি। ও এখান থেকে যা পেয়েছে, সব নেওয়া উচিত। এবার যেমন হয়েছে প্রতিবার এটা হবে না।’
সিমন্স আরও বলেছেন, ‘মেহেদীকে নিয়েও আমি মুগ্ধ। তড়িঘড়ি করে ওকে নেতৃত্ব নিতে হয়েছে। ও দায়িত্ব বুঝে নিয়েছে, চালিয়ে যাচ্ছে। মেহেদী ও তাইজুল একে অপরকে পরিপূর্ণ করেছে। মেহেদী সোজা ও কিছুটা জোরের ওপর বোলিং করে, যেখানে তাইজুল নিজের ভ্যারিয়েশন ব্যবহার করে। তাইজুল স্টাম্প বরাবর বোলিং করতে পছন্দ করে, প্রথাগত বলের চেয়ে আর্ম বল বেশি করে। মনে হচ্ছে, প্রতি ম্যাচেই ওর উন্নতি হচ্ছে। প্রতিটি সেশনে আপনি ওর বোলিংয়ে নতুন ভাবনা দেখতে পাবেন।’
(ঢাকাটাইমস/০৪ ডিসেম্বর/এনবিডব্লিউ)
মন্তব্য করুন