মানিকগঞ্জে কলেজছাত্রী খুন: তিন যুবককে আটক নিয়ে প্রশ্ন
কলেজছাত্রী সুপ্রিয়া হত্যা মামলার এখন পর্যন্ত কোনো কুলকিনারা করতে পারেনি পুলিশ। এই মামলায় সুপ্রিয়ার স্বামী দিপাঞ্জন সরকার, শ্বশুর দীলিপ সরকার এবং শাশুড়ি গীতা সরকারকে গ্রেপ্তার করে তিনদিন করে রিমান্ডে নিলেও তাদের কাছ থেকে উল্লেখযোগ্য কোন তথ্য পাওয়া যায়নি বলে তদন্ত কর্মকর্তা জানান।
এই হত্যার পরের দিন স্থানীয় তিন যুবককে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে শুক্রবার তিনদিনের রিমান্ডে নেয়া হয়। আর এই ঘটনা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। স্থানীয়রা বলছেন, এরা এলাকার ভালো ছেলে হিসেবে পরিচিত। এদেরকে গ্রেপ্তার করায় এলাকায় অন্যদের মধ্যেও আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
তদন্ত কর্মকর্তা মাসুদ মুন্সী ঢাকাটাইমসকে বলেন, সুপ্রিয়ার বাবা সুকুমার সাহার করা মামলায় এদের নাম ছিল না। সন্দেহভাজন হিসেবেই তাদেরকে আটক করা হয়।
মামলার বাদী সুপ্রিয়ার বাবা সুকুমার সাহা বলেন, তার মেয়ে হত্যায় জড়িত সুপ্রিয়ার স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়ি। যদি এর সাথে আর কেউ জড়িত থাকে সেটা তারাই বলতে পারবে। এটা তদন্ত করে বের করার দায়িত্ব পুলিশের।
গ্রেপ্তার দেখানো তিন যুবকের একজন মহাদেব রায়ের কাকা মিঠু রায় বলেন, প্রায় চার মাস আগে সরকারদলীয় একটি অনুষ্ঠানে সুপ্রিয়ার স্বামী দিপঞ্জন সরকার না যাওয়ায় আটক তিন যুবক তাকে লাঞ্ছনা করেছিলেন। পরে বিষয়টি স্থানীয়রা মীমংসা করে দেন। এই ক্ষোভ থেকে দিপঞ্জনের পরিবার তাদের ফাঁসিয়েছে।
মানিকগঞ্জ পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আব্দুল রাজ্জাক রাজা বলেন, ‘এই হত্যায় যারা জড়িত পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনুক। কিন্তু অহেতুক কাউকে গ্রেপ্তার করলে এলাকার মানুষদের মধ্যে এক ধরনের আতঙ্ক বিরাজ করে।’
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিনুর রহমান বলেন, ‘সুপ্রিয়া হত্যা মামলাটি খুবই স্পর্শকাতর, তদন্তের স্বার্থে এই মুহূর্তে মামলা সম্পর্কে কিছু বলা সম্ভব নয়।’
মানিকগঞ্জ সরকারি দেবেন্দ্র কলেজের বাংলা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী সুপ্রিয়া সাহার লাশ গত (বুধবার) তার শ্বশুর বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়।
মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালের চিকিৎসক লুৎফর রহমান জানান, মাথায় আঘাতজনিত কারণে সুপ্রিয়ার মৃত্যু হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/১ অক্টোবর/প্রতিনিধি/এলএ)মন্তব্য করুন