ওয়েজবোর্ড পাচ্ছেন টিভি-রেডিওর সাংবাদিকরাও: তথ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২১ নভেম্বর ২০১৬, ১৪:১৫

সংবাদপত্রের পাশাপাশি টেলিভিশন ও রেডিওর সাংবাদিকরাও ওয়েজবোর্ডের আওতায় আসছে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। নবম ওয়েজবোর্ড ঘোষণার আগেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

সকালে রাজধানীতে বিশ্ব টেলিভিশন দিবস উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা জানান তথ্যমন্ত্রী। অনুষ্ঠানের আয়োজন করে মিডিয়া মিউজিয়াম অব বাংলাদেশ।

ইনু বলেন, ‘টেলিভিশনসহ সকল ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক নবম ওয়েজবোর্ডের আওতায় আসে সে জন্য কাজ করছে সরকার। ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সবাইকে ওয়েজবোর্ডের আওতায় আনা হবে।’

সংবাদপত্রের সাংবাদিকদের নূন্যতম বেতন ও অন্যান্য ভাতা নির্দিষ্ট করে দিতে এখন পর্যন্ত মোট আটটি ওয়েজবোর্ড ঘোষণা করা হয়েছে। তবে গত কয়েক বছর ধরে দেশে বিনোদনের পাশাপাশি সংবাদমাধ্যম হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে টেলিভিশন।

দেশে এখন সংবাদভিত্তিক ও বিনোদনভিত্তিক ৪৪টি টেলিভিশন চ্যানেল আছে। বিনোদনভিত্তিক টেলিভিশনগুলোর বেশিরভাগেই গুরুত্বসহকারে প্রচার হয় সংবাদ। পাশাপাশি ২২টি এফএম রেডিওর অনেকগুলোতেও প্রচার হয় সংবাদ।

এসব প্রতিষ্ঠানে বিপুল সংখ্যক সংবাদকর্মী কাজ করলেও তাদের ন্যূনতম বেতন ভাতা নির্দিষ্ট নয়। প্রতিষ্ঠানের মর্জি বা চুক্তির ভিত্তিতে কাজ করেন তারা। পাশাপাশি বছর শেষে বেতন বৃদ্ধির সুনির্দিষ্ট আইন না থাকার কারণেও ভুগতে হচ্ছে সংবাদ কর্মীদের। আইনি সুরক্ষা না থাকায় স্বল্প সময়ের নোটিশে ছাঁটাইয়ের অভিযোগও আছে।

তথ্যমন্ত্রী বলছেন, নতুন ওয়েজবোর্ডে ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকরাও আইনি সুযোগ সুবিধা পাবে। এতে তাদের অধিকার নিশ্চিত হবে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, গণতন্ত্রের সুস্থ চর্চায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে টেলিভিশনগুলো। সরকার বা রাষ্ট্র গণমাধ্যমের শত্রু নয় মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘গণমাধ্যম আক্রান্ত হচ্ছে জঙ্গি সন্ত্রাসীদের দ্বারা। রাষ্ট্র কিন্তু আপনাদের পক্ষেই।’

মন্ত্রী বলেন, জঙ্গি-সন্ত্রাসীরা রাষ্ট্রের শত্রু, গণমাধ্যমেরও শত্রু। তাই গণতন্ত্রের সুষ্ঠু চর্চার জন্য গণমাধ্যম এবং সরকারকে একসঙ্গে কাজ করে যেতে হবে।

গণমাধ্যমের সুষ্ঠু চর্চার জন্য সম্প্রচার আইন ও সম্প্রচার কমিশন হচ্ছে বলেও দাবি করেন ইনু। বলেন, এটা গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দানের আরও এক ধাপ এগিয়ে যাওয়া হবে।

লায়ন এম কে বাশারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক, জাতিসংঘে বাংলাদেশের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি এ কে এম আব্দুল মোমেন, বিটিভির মহাপরিচালক এস এম হারুন-অর-রশীদ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম প্রমুখ।

(ঢাকাটাইমস/২১নভেম্বর/জিএম/ডব্লিউবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

গণমাধ্যম বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

গণমাধ্যম এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :