‘সাংবাদিক আর ইউটিউবার বা ব্লগারের বিভাজন’

মাকসুদুল হক ইমু
  প্রকাশিত : ০৮ মে ২০২৪, ১৫:০৮
অ- অ+

দেশে সংবাদের তুলনায় নাকি সাংবাদিক বেশি- এমন কথা প্রায়শই শুনি। কিন্তু দেশের প্রতিষ্ঠিত গণমাধ্যমগুলোতে শুনি মানসম্মত বা ভালো একজন সাংবাদিকের জন্য নাকি চলছে হাহাকার, খালি পড়ে আছে ডেস্ক।

যাদেরকে আপনারা সাংবাদিক বলেন, তারা ইউটিউব চ্যানেলের লোগো বা ফেসবুক ফিড টিভির লোগো নিয়ে সাংবাদিকতার নাম ভাঙিয়ে ব্যবসা করছে। এরা পেশাদার ব্যবসায়ী। আমি এটাকে কোনোভাবেই খারাপ বলি না, ব্যবসা করবার অধিকার সবার আছে।

তারা নিজেদের জন্য করে, পরে অন্যের কথা ভাবে। কিন্তু একজন সাংবাদিক সরকার অনুমোদিত নির্দিষ্ট একটা টেলিভিশন চ্যানেল বা সংবাদপত্র বা অনলাইন পোর্টালের জন্য কাজ করেন, যা দেশের মানুষের সবার কথা ভেবে।

আসলে সাংবাদিক কাকে বলে? হাতে মাইক্রোফোন আর সাথে বড় সাইজের ক্যামেরা বা মোবাইল ক্যামেরা থাকলেই কেউ সাংবাদিক হয়ে যায় না। একজন সাংবাদিক চাইলেই ব্যক্তিগত উদ্যোগে নিজের ফেসবুক পেজ বা ইউটিউব চ্যানেল চালাতেই পারেন, যদি তার প্রতিষ্ঠানের কোনো বাধ্যবাধকতা না থাকে। এটা তার ব্যক্তিগত। কিন্তু যিনি কোনো অনুমোদিত প্রতিষ্ঠানের না, তিনি ব্লগার বা ইউটিবার। এটা মাথায় রাখবেন।

যাকে তাকে সাংবাদিক তকমা দিয়ে সাংবাদিকতার মত মহান পেশাকে এভাবে ছোট করবেন না। যাদের গালি দিচ্ছেন বা বিষদগার করছেন, সেই তাদেরকেই বা তাদের কন্টেন্ট অনলাইনে দেখে বা শেয়ার দিয়ে প্রশ্রয় তো আপনি বা আমি দিচ্ছি। না দেখেন তাহলেই তো হয়। আমি তো দেখি না। আপনি দেখিয়েন না।

সাংবাদিকদের দিকে আঙ্গুল তোলার আগে চিন্তা করে তোলেন প্লিজ। ইউটিউবার বা ব্লগার আর একজন সাংবাদিকের মাঝে পার্থক্য অনেক। সাংবাদিকরা সমাজ তথা দেশের কাছে দায়বদ্ধ। কিন্তু একজন ইউটিউবার বা ব্লগার কারও প্রতি দায়বদ্ধ নয়। সহজ বিষয়টাকে কেন গুলিয়ে ফেলেন?

লেখক: গণমাধ্যমকর্মী।

(ঢাকাটাইমস/০৮মে/এলএম/এজে)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
এপ্রিলের ২৯ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ২৬০ কোটি ৭৬ লাখ ডলার
নির্ধারিত সময়ের দুই মাস আগেই সব দেনা পরিশোধ করল পেট্রোবাংলা
ব্যবসায়িক পরিবেশ উন্নত করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করব: অর্থ উপদেষ্টা
উপদেষ্টাদের সঙ্গে পুলিশের মতবিনিময়, বিভিন্ন প্রস্তাব বাস্তবায়নের আশ্বাস
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা