বইঃ আমার কথা
‘ধৈর্য পরীক্ষা’
সৈয়দ আবুল হোসেন বেশ কয়েকটি বই লিখেছেন। সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে ‘আমার কথা’। এই বইয়ে তিনি নিজের চিন্তা, কর্মকান্ড, মূল্যবোধ, নানা অভিজ্ঞতা ও পরিকল্পনা সম্পর্কে লিখেছেন। এটি পড়লে তাকে যারা পুরোপুরি চিনেন না তাদের সুবিধা হবে। বইটি ‘ঢাকাটাইমস২৪ডটকম’ ধারাবাহিকভাবে ছাপছে। বইটির আজকের পর্বে থাকছে- ‘ধৈর্য পরীক্ষা’
শেখ সাদীর একটা বাণী দিয়ে শুরু করা যায়। ধৈর্য রাখুন, সহজ হওয়ার পূর্বে যে-কোনো কাজই কঠিন বলে মনে হয়। ধৈর্যের মাধ্যমে যে-কোনো কঠিন কাজ সহজ করে তোলা যায়। প্রশ্ন আসতে পারে, ধৈর্য কী? এর অনেকগুলো সংজ্ঞা আছে। আমার সবচেয়ে যেটি আকর্ষণীয় মনে হয় সেটি হচ্ছে : Patience is not simply the ability to wait- it's how we behave while we're waiting..৪৪
অলিম্পিক শুধু বিশ্ববৃহৎ ক্রীড়া-উৎসবই নয়, বিশ্বের সর্ববৃহৎ মিলনমেলা। বর্ণ-ধর্ম নির্বিশেষে তাবৎ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা অংশ নেন এ আয়োজনে। চীনের বেইজিঙে অনুষ্ঠিত ২০০৮ খ্রিস্টাব্দের অলিম্পিকে মার্কিন সাম্রারাজ্য গুঁড়িয়ে দিয়ে প্রথমবারের মতো শ্রেষ্ঠত্ব নিজেদের করে নিয়েছিল এশিয়ার গর্ব চীন। সেবার ৫১টি স্বর্ণসহ ১০০টি পদক জিতে সবার সেরা হয়েছিল চীন। মোট ১১০টি পদক জিতলেও স্বর্ণসংখ্যা (৩৬) কম হওয়ায় দ্বিতীয় হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র।৪৫ বিগত আসরগুলোর পরিসংখ্যান দেখলে প্রতীয়মান হয়, অলিম্পিকে বরাবরই একক আধিপত্য দেখিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। শুরুর দিকে তাদের সঙ্গে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন, গ্রেট ব্রিটেন টেক্কা দিলেও কালের বিবর্তনে একক প্রাধান্য প্রতিষ্ঠা করে মার্কিনিরা। কিন্তু নিজ মাটিতে অনুষ্ঠিত ২৯তম অলিম্পিকে যুক্তরাষ্ট্রকে টপকে পদক তালিকার শীর্ষে আরোহণ করে চীন। আমি ঐ অলিম্পিকে দর্শক হিসাবে গিয়েছিলাম। সরকারি সম্মেলনে মতবিনিময় সভায় প্রতিযোগিতার সফলতার রহস্য জানতে চেয়েছিল অনেকে। এ সম্বন্ধে আমি বলি, এটা ছিল আমার জন্য খুবই সম্মানের বিষয়। এই সুযোগে একটু বলতে চাই, সেখান থেকে আমি গুরুত্বপূর্ণ অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি।৪৬
চীনের প্রতিযোগীরা ছিল পেশাদার ক্রীড়াবিদ এবং ট্রেইনার। এর সবই ছিল আমার জন্য হতাশা ও চিন্তার বিষয়। কারণ বাংলাদেশেরও প্রতিযোগী ছিল। কিন্তু তারা অন্যান্য দেশের মতো ততটা পেশাদার ক্রীড়াবিদ নয়। শুধু শখের বশে কেউ কেউ খেলোয়াড় হয় এবং শখের বসে অনুশীলন করে। আমি তেমনভাবে না-খেললেও খেলা খুবই পছন্দ করি এবং আমি খুব ভালো করে আমার সম্পর্কে জানি এবং আমার কতটুকু সক্ষমতা আছে তা-ও আমি অবগত।
লন্ডনে পরবর্তী অলিম্পিকেও চীন তাদের সেরা স্থান ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সাথে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর লন্ডন অলিম্পিকের দশম দিন শেষে পদক-তালিকার শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে চীন। ‘গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ খ্যাত এ ক্রীড়া-আসরে শুরু থেকেই কৃতিত্বের সঙ্গে এই স্থানটি নিজেদের দখলে রেখেছে এশিয়ার অন্যতম এ দেশ। ৩১ সোনা, ১৯ রুপা ও ১৪ ব্রোঞ্জসহ তাদের পদক ৬৪টি। অন্যদিকে ২৯ সোনা, ১৫ রুপা ও ১৯ ব্রোঞ্জসহ ৬৩টি পদক নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে ছিল যুক্তরাষ্ট্র। আর ১৮ সোনা এবং ১১টি করে রুপা ও ব্রোঞ্জ জিতে মোট ৪০টি পদক নিয়ে স্বাগতিক যুক্তরাজ্য ছিল তৃতীয় স্থানে। এছাড়া অলিম্পিকের ৩০তম এ আসরে চতুর্থ স্থানে রয়েছে এশিয়ার আরেক দেশ দক্ষিণ কোরিয়া। ১১ সোনা, ৫ রুপা ও ৬ ব্রোঞ্জসহ তাদের পদক ২২টি। ক্রীড়া ম্যাজিক অলিম্পিকের লন্ডন আসরে পঞ্চম হয়েছে ইউরোপের অন্যতম দেশ ফ্রান্স। তাদের সংগ্রহ ৮ সোনা এবং ৯টি করে রুপা ও ব্রোঞ্জ। এ অলিম্পিকে পদক লড়াইয়ে শুরু থেকেই চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলে আসছে। শুরু থেকে পদক তালিকায় শীর্ষস্থান ধরে রাখে চীন। সপ্তম দিনে এসে চীনকে ছাড়িয়ে যায় যুক্তরাষ্ট্র। তবে শীর্ষস্থান ফিরে পেতে ৩৬ ঘণ্টার বেশি সময় নেয়নি চীন।৪৭
দীর্ঘদিন একটা আপ্তবাক্য সবাই মেনে নিয়েছিল- অলিম্পিক মানেই যুক্তরাষ্ট্রের নিরঙ্কুশ শ্রেষ্ঠত্ব। বেইজিং অলিম্পিকের আগে টানা তিন আসরে এর প্রমাণও তারা রেখেছিল। মার্কিনিদের এই একতরফা আধিপত্যের কারণ ছিল সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন। ১৯৯২ খ্রিস্টাব্দে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পর বলতে গেলে ফাঁকা মাঠেই গোল করে চলেছিল যুক্তরাষ্ট্র। এসময়ে তাদের সঙ্গে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ার দুঃসাহসই কেউ দেখাতে পারেনি। তবে অনেকদিন থেকে সোভিয়েতদের শূন্য জায়গাটা দখলের জন্য মরিয়া হয়ে কাজ করছিল চীন। বিশ্বরাজনীতির মাধ্যমে যার শুরু। অলিম্পিকের দায়িত্বটা পাওয়ার পর থেকে এটি প্রসারিত হয়ে ক্রীড়াঙ্গনেও ছড়িয়ে পড়ে। তার ফল কী হয়েছে সেটা পর পর দুটি অলিম্পিকে চীন বিশ্বের সামনে উন্মোচিত করে দিয়েছে। চীন এখন বিশ্বরাজনীতি কিংবা অলিম্পিক যাই বলুন না কেন সর্বক্ষেত্রেই মার্কিনিদের জন্য হুমকি। ক্রীড়াঙ্গনে যুক্তরাষ্ট্রের নেতাগিরি থেকে রেহাই পেতে বিশ্বের জনগণ এমন একটি শক্তির প্রত্যাশা করছিল। অবশেষে তা পূর্ণতা পায় বেইজিং অলিম্পিকে সাফল্যের মধ্য দিয়ে, যা লন্ডন অলিম্পিকের মাধ্যমে স্থায়ী রূপ লাভ করে।
‘‘অর্জিত অভিজ্ঞতা থেকে বলতে চাই, যারা বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে অংশগ্রহণ করতে প্রচণ্ড ইচ্ছা পোষণ করেন, সেটা যে-স্তরের ক্রীড়া প্রতিযোগিতাই হোক না কেন, অবশ্যই যথাযথ প্রস্তুতি নিয়ে যাবেন এবং প্রত্যেককে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হতে হবে। অন্যথায় সফলতা সুদূরপরাহত হয়ে পড়বে।”
অলিম্পিকে বাংলাদেশের ক্রীড়াবিদদের নৈপুণ্য ক্রমশ বাড়ছে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রীড়া উৎসব অলিম্পিকে বাংলাদেশ প্রথম অংশগ্রহণ করে ১৯৮৪ খ্রিস্টাব্দে লস এঞ্জেলেস গেম্সে। একমাত্র ক্রীড়াবিদ হিসাবে দেশের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন সাইদুর রহমান ডন। তিনি ১০০ মিটার স্প্রিন্টে খেলেছেন। ১৯৮৮ খ্রিস্টাব্দে সিউল অলিম্পিকে ১০০ মিটার স্প্রিন্টে শাহ জালাল, ২০০ মিটারে শাহ আলম, লং জাম্পে শাহানুদ্দিন চৌধুরী এবং ৪০০ ও ৮০০ মিটারে মিলজার হোসেন অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া ৪ X ১০০ মিটার রিলে খেলেন শাহ আলম, শাহ জালাল, মিলজার হোসেন ও শাহানুদ্দিন চৌধুরী। ১৯৯২ খ্রিস্টাব্দে বার্সেলোনা গেম্সে ১০০ মিটার স্প্রিন্টে গোলাম আম্বিয়া ও ৪ X ১০০ রিলে দলে ছিলেন গোলাম আম্বিয়া, মেহেদী, শাহানুদ্দিন চৌধুরী ও শাহ জালাল।৪৮
১৯৯৬ খ্রিস্টাব্দে গেমসে ১০০ মিটার স্প্রিন্টে দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন বিমল চন্দ্র তরফদার। অ্যাথলেটিক্সে প্রথম মহিলা এথ্লেট হিসাবে দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন লং জাম্পার নিলুফার ইয়াসমিন। ২০০০ সিডনি গেম্সে ২০০ মিটার স্প্রিন্টে খেলেন মাহবুবুল আলম। মহিলা বিভাগে ১০০ মিটার স্প্রিন্টে খেলেন ফৌজিয়া হুদা জুঁই। ২০০৪ এথেন্স গেম্সে ১০০ মিটারে মোহাম্মদ শামসুদ্দিন দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। ২০০৮ খ্রিস্টাব্দে চীনে আয়োজিত আসরে অংশ নিয়েছেন আবু আবদুল্লাহ। ২০১২ খ্রিস্টাব্দে লন্ডন গেম্সে দেশের দ্রুততম মানব হিসাবে খেলেছেন মোহন খান। সেনাবাহিনীর অ্যাথলেট মোহন খান বিদেশে যেকোনো প্রতিযোগিতায় সেরা নৈপুণ্য প্রদর্শন করেন লন্ডনে। ২০১১ খ্রিস্টাব্দে জাপানের কোবে নগরে এশিয়ান ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডে ১১.৩১ সেকেন্ড সময় নিয়েছিলেন তিনি। লন্ডনে সময় লেগেছে ১১.২৫ সেকেন্ড। জাতীয় অ্যাথলেটিক্সে ১১.২২ হচ্ছে মোহনের ক্যারিয়ারের সেরা নৈপুণ্য।৪৯
অলিম্পিকসহ আন্তর্জাতিক ক্রীড়াঙ্গনে সাফল্যের জন্য আমাদের ক্রীড়াবিদগণকে আরও একাগ্র, পরিশ্রমী ও অধ্যবসায়ী হতে হবে। দীর্ঘস্থায়ী দৌড় প্রতিযোগিতায় আপনাকে অবশ্যই খেলার মাঠের সবদিক বিবেচনা করেই ও নিজের শক্তির ওপর নির্ভর করে প্রতিনিয়ত পরিকল্পনা সাজাতে হবে। যখন অন্যদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবেন, তখন মাঠ ও সময়ের ওপর তীক্ষè দৃষ্টি রাখতে হবে। দ্রুত অগ্রসর হলে শুরুতেই ক্লান্ত হয়ে যাবেন। আবার আস্তে গেলে পেছনে পড়ে যাবেন। সমতল স্থানে, অবস্থা বুঝে সামনে এগিয়ে যেতে নিজেকে দ্রুত নিয়ে যেতে হবে এবং এভাবে এগিয়ে যেতে হবে। এটাও মনে রাখতে হবে, সময় সর্বদা অনুকূলে থাকে না। তাই সেভাবে এগোতে হয়। সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে সবসময় সমানভাবে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখতে হয়।
অর্জিত অভিজ্ঞতা থেকে বলতে চাই, যারা বিশ^চ্যাম্পিয়নশিপে অংশগ্রহণ করতে প্রচ- ইচ্ছা পোষণ করেন, সেটা যে-স্তরের ক্রীড়া প্রতিযোগিতাই হোক না কেন, অবশ্যই যথাযথ প্রস্তুতি নিয়ে যাবেন এবং প্রত্যেককে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হতে হবে। অন্যথায় সফলতা সুদূরপরাহত হয়ে পড়বে।
লক্ষ্যস্থলে উপনীত হতে হলে জ্ঞান অর্জন করুন। জ্ঞানের মাধ্যমে অন্যদের পেছনে ফেলে এগিয়ে যান। বিজয়ের সংক্ষিপ্ত পথ হচ্ছে জ্ঞান। আপনার সক্ষমতা সম্পর্কে ধারণা নিন, অতঃপর নিজের সক্ষমতা কতটুকু সে ব্যাপারে জানুন, অনুশীলনের মাধ্যমে জানার ও বিকাশের চেষ্টা করুন। আপনার প্রতিপক্ষের সক্ষমতা কতটুকু তা অবগত হওয়ার চেষ্টা করুন। খেলার মাঠ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করে বিশ্লেষণ করুন। নিজের ও অন্য খেলোয়াড়ের প্রতিটি অঙ্গের বিচার-বিশ্লেষণ করে এবং অন্য খেলোয়াড় ও আপনি মাঠে কীরূপ আচরণ করবেন তা জানতে হবে। জ্ঞানের দিক দিয়ে প্রতিপক্ষের চেয়ে যত এগিয়ে থাকবেন, তার চেয়েও দ্রুতবেগে বিজয়ের মালা আপনাকে আলিঙ্গন করবে।
“প্রশিক্ষণের কোনো বিকল্প নেই। কারণ প্রশিক্ষণ আপনাকে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেবে কোথায় আপনার দুর্বলতা। অন্যদিকে প্রশিক্ষণ আপনার আত্মবিশ্বাসকে সুসংহত করবে এবং আপনাকে বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাবে।”
এটা মনে রাখতে হবে, প্রতিযোগিতায় নামা মানে যুদ্ধক্ষেত্রে নামা। বিখ্যাত চাইনিজ দার্শনিক সান্ৎজু বেশ জনপ্রিয় একজন লেখক। আমি এখানে তাঁর একটি বিখ্যাত উক্তি উল্লেখ করতে চাই, “যদি আপনি নিজের সম্পর্কে এবং আপনার প্রতিপক্ষের সম্পর্কে অবগত থাকেন, তাহলে শত যুদ্ধেও আপনি বিপন্ন হবেন না। যদি আপনি শুধু নিজের সম্পর্কে অবগত হন কিন্তু আপনার প্রতিপক্ষের সম্পর্কে অবগত না থাকেন, তাহলে আপনি একবার জিতবেন, আরেকবার হারবেন। আর যদি আপনি এবং আপনার প্রতিপক্ষ উভয়ের বিষয়ে অবগত না থাকেন, তাহলে আপনি প্রতিটি যুদ্ধেই পরাজিত হবেন।”৫০ আমি আরও একটি বিষয় যোগ করতে চাই, যুদ্ধক্ষেত্র সম্পর্কে জানুন- কেননা শক্তির চেয়ে জ্ঞান বা জানা আরও অধিক গুরুত্বপূর্ণ।
“বিজয়ের সংক্ষিপ্ত পথ হচ্ছে জ্ঞান। সেটা ক্রীড়ার ক্ষেত্রেও। সক্ষমতা, দক্ষতা, যোগ্যতা এবং শক্তির চেয়ে অধিক গুরুত্বপূর্ণ জ্ঞান। জ্ঞান অর্জন করতে না পারলে হবে না। তাই যখন যেখানেই থাকুন না কেন জ্ঞান অর্জন করুন।”
আমি আরও বলতে চাই- প্রশিক্ষণ, প্রশিক্ষণ এবং আরও অধিক প্রশিক্ষণ। আমি ফুলটাইম ক্রীড়াবিদ ছিলাম না। তবে যেকোনো ক্রীড়া প্রতিযোগিতা উপভোগে বিমল আনন্দ পাই। প্রত্যেকের শারীরিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করা অত্যাবশ্যক। উদ্যম বাড়ানোর জন্য প্রশিক্ষণের কোনো বিকল্প নেই। প্রশিক্ষণ আপনাকে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেবে কোথায় আপনার দুর্বলতা; অন্যদিকে প্রশিক্ষণ আপনার আত্মবিশ্বাসকে সুসংহত করবে এবং আপনাকে বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাবে।
আত্মবিশ্বাস যেকোনো সফলতার মূল উৎস। নিজের প্রতি বিশ্বাস রাখুন, এ বিশ্বাস আপনাকে আশাবাদী করে তুলবে। মানসিক শক্তি সম্ভবত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, যা আপনাকে এবং আপনার প্রতিপক্ষের মধ্যে পার্থক্য সৃষ্টি করবে। নিজের ওপর আস্থা রাখুন। অহংকার করবেন না অথবা প্রতিপক্ষকে অবহেলা করবেন না। আশাবাদী হোন, কোনোকিছুকেই অবহেলা করবেন না যদিও সেটা অনেক ছোট হয়। তাহলে নিজের জয়কে নিশ্চিত করতে সক্ষম হবেন।
আগামীকাল কাল থাকছে - “আমার আদর্শ আমার নায়ক” আরও পড়ুন - ‘খেলাধুলা ও বাংলাদেশ’ ‘অধ্যয়ন, লেখালেখি ও নেতৃত্ব’ ‘নারীর ক্ষমতায়ন ও বাংলাদেশ’, ‘সাফল্যের স্বর্ণদ্বার’ , ‘ঐক্যবদ্ধ শক্তি সাফল্যের মেরুদণ্ড’ ‘পদ্মা সেতু’, `বিজয়চিহ্ন 'V' প্রকাশে ভিন্নতা', ‘উন্নয়ন ও অগ্রাধিকার’ , ‘ইতিবাচক ভাবনা সাফল্যের চাবিকাঠি’ , ‘ভবিষ্যতের সরকার কেমন হবে’ ‘মাতৃভাষার প্রতি মমতা’, ‘সুখ ও শান্তি : আমাদের করণীয়’ , ‘নেতৃত্বের শক্তি’, ‘আদর্শ জীবন গঠনে মূল্যবোধ’, ‘আমার প্রাত্যহিক জীবন’, 'আমার অনুভব'।
মন্তব্য করুন