খোরপোষ কৃষিকে বাণিজ্যিকে রূপান্তরিত করে খাদ্যদ্রব্যের উর্ধ্বগতি ও মূল্যস্ফীতি রোধ সম্ভব

কৃষিবিদ শাহাদত হোসেন বিপ্লব
  প্রকাশিত : ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৩৫
অ- অ+

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যান বলেছিলেন ‘মূল্যস্ফীতি হচ্ছে ছিনতাইকারীর মতো হিংস্র, সশস্ত্র ডাকাতের মতো ভয়ংকর এবং খুনির মতোই প্রাণঘাতী।’ অর্থনীতির ভাষায় মূদ্রাস্ফীতিকে গরীবের নিষ্ঠুরতম কর (Cruelest Tax) হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। যা ধনী-গরিব নির্বিশেষে সবার ওপর চাপ বাড়ায়। চলতি বছরের নভেম্বর মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ১১ দশমিক ৩৮ শতাংশ হওয়ার মানে হলো, যে পরিবারের মাসিক খরচ ছিল ৫০ হাজার টাকা, সরকারি হিসাবে ওই পরিবারের খরচ এক বছরের ব্যবধানে গড়ে সাড়ে ৫ হাজার টাকার বেশি বেড়েছে।

জাতিসংঘসহ বাংলাদেশে কাজ করা আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থাগুলোর যৌথভাবে পরিচালিত সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষায় উঠে এসেছে, বর্তমানে ২ কোটি ৩৬ লাখ তথা ২৬ শতাংশ মানুষ উচ্চমাত্রায় খাদ্য সংকটে ভূগছে। ৩ কোটি ৩৪ লাখ ১১ হাজার মানুষ খাদ্যহীনতার চাপে আছে। শুধু ৩কোটি ৩৯ লাখ মানুষ পর্যাপ্ত খাবার পাচ্ছে।

সেই সমিক্ষায় আরো উঠে আসে যে, ১৬ লাখ ৪৭ হাজার মানুষের জন্যে জরুরী খাদ্য সহায়তা দরকার। তদ্রূপ মাংস উৎপাদন ভোগ গত তিন মাসে অর্ধেক কমে এসেছে। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য মতে চলতি বছর জুলাই মাসে দেশে মাংস উৎপাদন ছিল ১২ লাখ ২৫ হাজার টন। কিন্তু আগষ্ট পরবর্তী মাস গুলোতে তা নেমে এসেছে ৬ লাখ ৪১ হাজার টনে। যে ধারা বর্তমানেও অব্যাহত।

খাদ্য নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে খাদ্যপণ্যের দাম ও কৃষি উপকরনের বিষয়টিকে সরকারের সবোর্চ্চ অগ্রাধিকার দেয়া উচিত। এখন পর্যন্ত চা সহ নিত্যপণ্যের দাম কমানোর বাস্তবসম্মত তেমন কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, চলতি বছর প্রাকৃতিক দূর্যোগে দেশের প্রায় অর্ধেক মানুষ নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যাদের বড় অংশই কৃষিজীবি। এদের মধ্যে আবার এক চতুর্থাংশ কৃষি মজুর। বিভিন্ন দূর্যোগ ও তাপ প্রবাহের কারনে তারা ঠিকমত কাজ পায়নি। কাজ পেলেও মজুরী পেয়েছেন কম। এই জনগোষ্ঠির বড় অংশ কৃষি মজুরী দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে। তাদের দৈনিক আয়ের ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ খাদ্যের পেছনে ব্যয় হয়। ফলে চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় তাদের খাদ্য গ্রহন কমে চরম দূর্ভোগে রূপ নিতে থাকে।

বিবিএস এর হিসাবে একজন মানুষের দৈনিক নুন্যতম ২ হাজার ১০০ কিলো-ক্যালরি গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় খাবার সেট বা ফুড বাস্কেট গঠন হয় মৌলিক ১১টি খাদ্যের পরিমিত হিসাব বিবেচনায় নিয়ে। এই ১১ খাদ্য পণ্যের মধ্যে রয়েছে, চাল, ডাল, গম, দুধ, মাছ, মাংস, আলু, ভোজ্যতেল, অন্যান্য সবজি চিনি ও ফল। এসব খাবার খেতে হলে একজন মানুষকে কম পক্ষে ১ হাজার ৮০০ টাকা খরচ করতে হবে। এর কম ব্যয়ে একজন মানুষের পক্ষে প্রয়োজনীয় পুষ্টির সংস্থান করা অসম্ভব। সরকারী ভাষায় এটিকে ফুড পোভার্টি লাইন বা খাদ্য দারিদ্র সীমা হিসাবে সংগায়িত করা হয়েছে।

ডব্লিউএফপি এর পরিসংখ্যান বলছে, উল্লেখিত নির্ধারিত ফুড বাস্কেটের উপাদান ক্রয়ে মাথা পিছু ব্যয় হচ্ছে ৩ হাজার ৫১ টাকা। সেই হিসাবে একজন মানুষের ব্যয় হচ্ছে খাদ্য তালিকার দারিদ্র সীমার চেয়ে ৬৯.৫% বেশি। এর প্রধান কারণ খাদ্যপণ্য মূল্যের লাগামহীন মূল্যস্ফীতি। গত দুই বছরে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার ১০ থেকে ১১ শতাংশে উঠা নামা করে আসছে।

এই মূল্যস্ফীতি কমাতে অন্তর্র্বতী সরকার কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করলেও কিছু ভুল নীতির কারণে ভোক্তা পর্যায়ে তার বিন্দু মাত্র সুফল এসে পৌছাঁতে পারছেনা। বাজার সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ, চাঁদাবাজি রোধ না করে ব্যাংক সুদের হার বাড়িয়ে মুক্তবাজার অর্থনীতিতে মূল্যস্ফীতি কমানোর ফর্মূলা ভুল তথা অর্থহীন।

এদেশের মানুষের খাদ্য ঘাটতি স্থায়ীভাবে মেটাতে এখন সবচেয়ে বড় প্রয়োজন দেশে খাদ্যপণ্য উৎপাদনে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি আরোপ করে খাদ্য পণ্যের উৎপাদন বাড়ানো এবং আবাদ যোগ্য অনাবাদি কৃষি জমি (প্রায় ৪ লাখ ৫৫ হাজার হেক্টর) জমি চাষের আওতায় আনা। সে লক্ষ্যে- খোরপোষ (Subsistence) কৃষিকে বৈজ্ঞানিক ও বাণিজ্যিকভাবে রূপান্তর করে খাদ্যপণ্যের উর্ধ্বগতি ও মূল্যস্ফীতি খুব সহজেই রোধ করা সম্ভব বলে বিশেষজ্ঞগণ মনে করছেন।

দেশের খাদ্যদ্রব্যের মধ্যে প্রধান যে কটি পণ্য আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্য হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে তার মধ্যে চালের পরেই আটা, তেল, ডাল, আলু ও পেঁয়াজের নাম উল্লেখযোগ্য।

জাতিসংঘ খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (FAO) এর উৎপাদন বিষয়ক পরিসংখ্যানে বাংলাদেশের স্থান সপ্তমে। ওপরে আছে চীন, ভারত, যুক্তরাষ্ট, রাশিয়া, ইউক্রেন ও জার্মানির নাম। আন্তর্জাতিক কৃষিবিদরা খাদ্যপণ্য উৎপাদনে মাটির দিক থেকে বাংলাদেশকে সম্ভাবনার দেশ হিসেবে বিবেচনা করে থাকেন।

কেবল বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়ায় গবেষণা আর সঠিক প্রয়োগের অভাবে এদেশটি খাদ্যপণ্য উৎপাদনে স্থবির হয়ে বিদেশমুখি দৃষ্টিভঙ্গি চলমান দীর্ঘ সময় ধরে। কৃষি বিশেষজ্ঞগণ বলছেন, ‘রপ্তানির দেশ, আমদানিকারকে পরিণত হওয়া খুব দুঃখজনক। এ পরিস্থিতিতে রপ্তানি তো দূরের কথা, আমদানি করেও বাজার সামাল দিতে পারছে না সরকার। আসলে এখন কিছু পণ্য উদ্বৃত্ত নেই। সে সুযোগে আবার ব্যবসায়ীরা কারসাজি করে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি সুবিধা নিচ্ছে।’ অথচ উপযুক্ত মেধা, জনবল আর উর্বর জমি থাকার পরেও আমরা খাদ্যপণ্য উৎপাদনে ক্রমাগত পিছু হেটে চলছি।

বিগত আওয়ামী শাসনামলে কৃষি সেক্টরে সীমাহীন দূর্নীতির ফলে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি লাগামহীন যেভাবে ছুটে চলেছিল তার গতি এখনো রোধ করা সম্ভব হয়নি। দেশে দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ রয়েছে যে, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার রাজনৈতিক সুবিধা পেতে আগে মূল্যস্ফীতি কম দেখাতো। অর্থনীতি নিয়ে সম্প্রতি প্রকাশিত শ্বেতপত্র প্রতিবেদন অনুসারে, গত এপ্রিল থেকে আগস্ট পর্যন্ত সার্বিক মূল্যস্ফীতি ১৫ থেকে ১৮ শতাংশের মধ্যে ছিল।সরকারি হিসেবেই গত নভেম্বরে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১৪ শতাংশ।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৬৮ লাখ ৭ হাজার টন গম আমদানি করেছে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, সদ্য বিদায়ী ২০২৩-২৪ অর্থবছরে আলু আমদানি হয়েছে ৯৭ হাজার ২১৯ টন। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ১ লাখ ৬শ টন রসুন এসেছে দেশে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের মে পর্যন্ত ৩৯ লাখ টন ভোজ্যতেল আমদানিতে ব্যয় হয় ৪৫ হাজার কোটি টাকা। প্রতি বছর বিদেশ থেকে বিভিন্ন পদের প্রায় ১৩ থেকে ১৪ লাখ টন ডাল আমদানি করে সরকার। এতে ব্যয় হয় প্রায় ৬-৭ হাজার কোটি টাকা। বিটিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ভারত, পাকিস্তান, তুরস্ক, মিশর, চীন ও মিয়ানমার থেকে সাড়ে ৯ লাখ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, দেশে বছরে চিনির চাহিদা ২০ লাখ টন। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে আমদানি হয়েছিল ১৫ লাখ ২৫ হাজার টন। ঠিক এ কারণে সময় এসেছে এদেশের কৃষি খাতকে ঢেলে সাজিয়ে নতুন করে ভাববার। নিজেদের বুদ্ধি, মেধা, কারিগরি দক্ষতা আর সামর্থ্যকে কাজে লাগিয়ে খাদ্য দ্রব্য পণ্য উৎপাদনে নিজের পায়ে দাঁড়াবার এখনই সময়।

আমরা যদি আমাদের সেই নিত্য প্রয়োজনীয় তেল, ডাল, পেঁয়াজ, আলু এই চারটি পণ্যকে উৎপাদনের লক্ষ্যে আলাদাভাবে পর্যালোচনা করি, তাহলে আমাদের সামনে উঠে আসে একটি সহজ চিত্র। এদেশের উৎপাদিত উল্লেখিত খাদ্যপণ্যগুলো বর্তমানে কৃষকরা তাদের জমিতে উৎপাদন করে চলেছে খানিকটা সৌখিন ফুল বাগান করার মতো করে।

এই খোরপোষি মনোভাব (Subsistence mind) থেকে কৃষকদের বের করে এনে বৃহৎ আকারে বাণিজ্যিক দৃষ্টি ভঙ্গি নিয়ে বৈঞ্জানিক প্রক্রিয়ায় উল্লেখিত পণ্য ভোজ্য তেল, ডাল, আলু, পেঁয়াজ উৎপাদনের পরিকল্পনা হাতে নিতে হবে। সে লক্ষে কোন্ পণ্যটি কোন জেলায় উৎপাদনে বাম্পার ফলন হবে সেটি নির্বাচন করে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করে কর্ম পরিকল্পনা হাতে নিতে হবে।

মুক্তবাজার অর্থনীতির সাথে খাদ্যপণ্য উৎপাদনে নিজেদের স্বয়ংসম্পূর্ণ করে বহির্বিশ্বে রপ্তানির বাজার ধরতে হলে এই মুহুর্তে যে পদক্ষেপগুলো নেওয়া জরুরী তার কয়েকটি প্রস্তাব উপস্থাপন করা হলো:

  • এক বছর কিংবা দুই বছরের টার্গেট নির্ধারণ করে “এ্যাকশন এগেইনস্ট ফুড ক্রাইসিস কিংবা “দ্য রেভ্যুলেশন অব ফুড মুভমেন্ট এ জাতীয় যে কোন একটি আকর্ষণীয় বিপ্লবের নাম দিয়ে প্রজেক্ট হাতে নেওয়া।
  • সরকারের কৃষি, খাদ্য, বাণিজ্য এবং মৎস ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয়। এই ৪ মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে একটি সেল গঠন করা। সেই সেলে কৃষিবিজ্ঞানী এবং কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হতে সদ্য সমাপ্ত ছাত্র তরুণদের চুক্তিভিত্তিক প্রেষণে এনে একটি চৌকষ টিম সাজানো।
  • এই সেল নিদিষ্ট জেলা উপজেলায় মাঠ পর্যায়ে সার্ভের মাধ্যমে প্রকৃত কৃষক সনাক্ত করে তাকে সুদ মুক্ত ঋণ দেয়া নিশ্চিত করবে।
  • খাদ্যদ্রব্য পণ্য উৎপাদনের লক্ষে কৃষকদের ফসল অনুসারে জমি বাছাই, চাষের প্রক্রিয়া, আধুনিক যন্ত্রপাতি সরবরাহ সেসব ব্যবহারে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদান, উন্নত বীজ, সার, কীটনাশক সরবরাহসহ ফসল ঘরে তোলা পর্যন্ত কৃষকের মনিটরিং এর মাধ্যমে উল্লেখিত সেল কৃষকের পাশে থাকা।
  • ফসল উত্তোলনের পর তা বাজারজাত করণের লক্ষ্যে উল্লেখিত সেলের ব্যক্তিবর্গের তত্ত্বাবধানে সরকারিভাবে কৃষকের কাছ থেকে উৎপাদিত খাদ্যপণ্য যৌক্তিক মূল্যে ক্রয় করে সরকারি যানবাহনে করে গুদামজাত করে তা চাহিদা মোতাবেক এদেশের পাইকারী বাজারে নির্দিষ্ট দাম বেধে দিয়ে পণ্যগুলো বিক্রির ব্যবস্থা নেওয়া। সাথে সাথে উল্লেখিত টিম প্রশাসনের সহায়তায় শক্ত হাতে বাজার মনিটরিং করা, প্রতিযোগিতা কমিশনকে শক্তিশালী করা। পাশাপাশি মজুদদার ও অসৎ আড়তদারদের বিরুদ্ধে কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করে নজির সৃষ্টি করা এবং চাঁদাবাজি ও সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম রোধ করা।

আমরা বিশ্বাস করি, উল্লেখিত প্রক্রিয়া সততার সাথে অনুসরণ করে কৃষকদের সহযোগিতার মাধ্যমে প্রান্তিক প্রজেক্ট দাঁড় করিয়ে এগিয়ে গেলে এদেশ থেকে মধ্যস্বত্ব ভোগী অসাধু ব্যবসায়ী বা তথাকথিত বাজার সিন্ডিকেট চক্র লেজ গুটিয়ে পালাতে বাধ্য হবে। পাশাপাশি খাদ্যদ্রব্যের মূল্যস্ফীতি সংগত কারণেই কন্ট্রোলে আসতে বাধ্য থাকবে। ফলে সাধারণ ভোক্তারা তাদের চাহিদা মোতাবেক কম মূল্যে তার প্রয়োজনীয় পণ্যটি ক্রয় করতে আর বাধা থাকবেনা। অপরদিকে দেশের চাহিদা মিটিয়ে আমাদের উৎপাদিত উল্লেখিত পণ্য বিদেশে রপ্তানী করে বিপুল পরিমান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হবে। আর এ অর্জনের পজেটিভ প্রভাব পরবে দেশের মূল জিডিপির উপর (তথ্যসূত্র-শীর্ষস্থানীয় সংবাদপত্রসমূহ)।

আজ জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী। এ বার্ষিকীর চেতনাকে ধারণ করে এ লেখাটির অবকাঠামো নির্মাণে প্রাণ পেয়েছে। পাশাপাশি জাতীয়তাবাদী চেতনার অগ্রদূত এদেশের কৃষক-শ্রমিক তথা গণমানুষের প্রাণপ্রিয় নেতা তারেক রহমানের কৃষক নিয়ে ভবিষ্যৎ ভাবনার নানা উৎস সূত্রের আলোকপাত ঘটেছে এ লেখায়। তথ্য সম্ভারে পরিপূর্ণ হয়েছে তারই দেওয়া কৃষক নিয়ে গবেষণা লব্ধ বুদ্ধিবৃত্তিক পরিকল্পনার শব্দমালা দিয়ে। তেমনি এ লেখাটি লিখবার শক্তি যুগিয়েছে এদেশের কৃষক বান্ধব মাটি ও মানুষের একমাত্র নেতা শহীদ জিয়ার যুগান্তকারী কৃষি ভাবনার উপাখ্যান। তাঁর অসমাপ্ত কৃষি বিপ্লবের শক্তি, স্বপ্ন আর ভাবনার পথ পরিক্রমা যেন এ লেখায় একাকার হয়ে মিশেছে।

শহীদ জিয়ার আগামীর সফল কৃষক যেন মাথাল মাথায় পাকা ধানের মাঠে সোনালী ধানের শীষ নিয়ে হাত উঁচিয়ে হাসছে শতাব্দির শ্রেষ্ঠ হাসি। দেশ এগিয়ে যাক কৃষকের মৌলিক অর্জনের সফলতা নিয়ে, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে উঠুক প্রিয় বাংলাদেশ।

শাহাদত হোসেন বিপ্লব: কৃষিবিদ; যুগ্ম সম্পাদক, জাতীয়তাবাদী কৃষক দল কেন্দ্রীয় কমিটি

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে এলাচ! আলসারের সমস্যায়ও মহৌষধ
এনবিআরের সাবেক কর্মকর্তা মতিউর ও তার স্ত্রী গ্রেপ্তার
ভোটার তালিকা হালনাগাদে ১৬টি নির্দেশনা দিয়েছে ইসি
দুর্নীতির অভিযোগ: পদত্যাগ করলেন টিউলিপ সিদ্দিক
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা