পুলিশ সংস্কারে অবশ্য করণীয় কিছু বিষয়, যা আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়নি!
পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারে, নিজে বাদী হয়ে মামলা করতে পারে, যাকে খুশি তাকে আসামি করতে পারে, শত/হাজার লোককে অজ্ঞাতনামা আসামি করতে পারে এবং সর্বোপরি নিজেই এর তদন্ত করতে পারে। যা পুলিশকে সীমাহীন ক্ষমতাবান করেছে, যেখানে নিজে তদন্ত করতে পারাটা তাদের সীমাহীন ক্ষমতার অন্যতম নেয়ামক হিসেবে কাজ করে। এই অসীম ক্ষমতার কুৎসিত রূপ আমরা বিভিন্নভাবে দেখেছি। অনৈতিক সম্পর্ক, অঢেল সম্পদ অর্জন, দাম্ভিকতা, ঘুষ ছাড়া ন্যূনতম পুলিশি সেবা প্রদানে চরম অনীহা, চাঁদা আদায়, নিজ স্বার্থে মানুষের সাথে যাচ্ছেতাই আচরণ, মানুষকে মানুষ হিসেবে গণ্য না করা, রাজনৈতিক নেতাদের পদলেহন এবং সর্বোপরি পাখির মতো গুলি করে মানুষ মারা, মৃতদেহের সাথে জঘন্যতম আচরণ, এমনকি লাশ পুড়িয়ে ফেলা!
পুলিশ যেন পুনরায় এই সীমাহীন ক্ষমতার অধিকারী হতে না পারে এবং দেশকে পুনরায় একটি পুলিশি রাষ্ট্র করে ফেলতে না পারে তার জন্য তিনটি সংস্কার অত্যাবশ্যক:
১। প্রথমটি: পুলিশের কাছ থেকে তদন্ত করার ক্ষমতা তুলে নিতে হবে। পৃথিবীর অন্য কোনো দেশে এই ক্ষমতা পুলিশের কাছে আছে বলে জানা নেই। এই ক্ষমতাটিই মূলত পুলিশের সীমাহীন ক্ষমতার মূল উৎস, যা বন্ধ করা আবশ্যক। তার জন্য যা করণীয়:
ক। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন বা পিবিআইকে পুলিশ সদর দপ্তরের আওতামুক্ত করে সরাসরি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ করা।
খ। পিবিআইতে বিভিন্ন সংস্থা যেমন এএফডি, এডমিন ক্যাডার, জুডিশিয়ারি, বিজিবি, আনসার এবং অন্যান্য সংস্থা থেকে অফিসার এবং অন্যান্য পদবীর সদস্যদের নিয়োগ দেয়া, যাদের সংখ্যা হবে ন্যূনতম ৮০%।
গ। পিবিআই এর প্রধানকে কোনোভাবেই পুলিশ থেকে নিয়োগ না করা।
২। দ্বিতীয়টি: পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার অধিকাংশই বিসিএস পুলিশ ক্যাডার হতে আগত। তাদের সাথে তাদের অধীনস্থদের সম্পর্ক নিতান্তই রাজা-প্রজার মতো। যদিও কনস্টেবল, এসআই এবং ট্রাফিক সার্জেন্ট হতে ঊর্ধ্বতন পুলিশ অফিসার হওয়ার একটি সুযোগ রয়েছে। তবে এই সংখ্যা নিতান্তই কম যা বিসিএস পুলিশ অফিসাররা একচ্ছত্রভাবে নিয়ন্ত্রণ করে। এমনকি তাদের এডিশনাল এসপি থেকে প্রমোশন দিয়ে এসপিও করা হয় না। অথচ তারা যেহেতু মাঠ পর্যায়ে কাজ করে পুলিশিং এর বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জন করে উঠে আসে তাই তাদের অধিকার হারে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হওয়া একান্ত বাঞ্ছনীয়।
তাছাড়া এসআই ও ট্রাফিক সার্জেন্টরা দেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হতে মাস্টার্স করে সরাসরি পুলিশে যোগদান করে থাকে। এমনকি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে যোগদান করা এসআই/সার্জেন্ট এর সংখ্যাও অনেক। এর মধ্যে অনেকই আছে যারা প্রথম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হয়ে পুলিশের যোগদান করেছে। আবার একই বছর একই বিষয়ে দ্বিতীয় শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হয়ে অনেকে বিসিএস পুলিশ অফিসার হয়েছে। তাছাড়া বিভিন্ন কোটায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় হতে পাস করেও অনেকে বিসিএস পুলিশ অফিসার হয়েছে। এমনকি শুধু ডিগ্রি পাস করেও বিসিএস পুলিশ অফিসার হওয়ার সংখ্যাও নিতান্ত কম না। তাছাড়া কতজন বিসিএস পুলিশ অফিসার যে প্রশ্নপত্র ফাঁস করে বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে তা কেইবা জানে!
পুলিশে সরাসরি নিয়োগ পাওয়া এসআই এবং ট্রাফিক সার্জেন্টরা সারদা পুলিশ একাডেমিতে বিসিএস পুলিশ ক্যাডার অফিসারদের পাশাপাশি প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে থাকে। সেখানে তারা একই প্রশিক্ষণ মাঠে একই প্রশিক্ষকের অধীনে পুলিশিং সংক্রান্ত যাবতীয় প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে থাকে।
এখানে উল্লেখ্য, বিসিএস পুলিশ অফিসাররা মাঠ পর্যায়ে কোনো কাজই করে না, এরা একেবারেই অফিসমুখী। পুলিশে যত অভিযান/অপারেশন পরিচালিত হয় তা মূলত এসআইরা করে থাকে। তাছাড়া মামলার বাদী হওয়া, সাক্ষী হওয়া, সিজার লিস্ট, এজাহার, এফআইআর, সুরতহাল, চার্জশিটসহ মামলা সংক্রান্ত যাবতীয় কাজ এসআই এবং ইন্সপেক্টররাই করে থাকে। এক্ষেত্রে ঊর্ধ্বতন পুলিশ অফিসারদের সংশ্লিষ্টতা নেই বললেই চলে।
বিগত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বিসিএস পুলিশ কর্মকর্তাদের একজনও ন্যূনতম আহতও হয়নি অথচ তারা তাদের অধীনস্থদের সামনে ঠেলে দিয়েছে যেখানে অসংখ্য পুলিশ সদস্য আহত/নিহত হয়েছে। এমনকি যখন অসংখ্য থানা আক্রান্ত হয়েছে তখন তাদেরকে উদ্ধারে একজন বিসিএস পুলিশ কর্মকর্তাও এগিয়ে যায়নি। এ নিয়ে পুলিশ সদস্যরা বিসিএস কর্মকর্তাদের ওপর চরমভাবে ক্ষিপ্ত, এমনকি তারা বিসিএস কর্মকর্তাদের রানার/বডিগার্ড/গানম্যান হতে চায় না বলে ঘোষণা করেছে। তার জন্য যা করণীয়:
ক। ন্যূনতম ৬০% ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা কনস্টেবল, এসআই বা ট্রাফিক সার্জেন্ট হতে নিয়োগ করা।
খ। প্রমোশন পাওয়া মাঠ পর্যায়ের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের শুধু এডিশনাল এসপি পর্যন্ত নয় বরং অন্তত অতিরিক্ত আইজিপি পর্যন্ত পদোন্নতি দেওয়া।
৩। তৃতীয়টি: পুলিশের ইন্সপেক্টর, এসআই অথবা সার্জেন্ট পদে চাকরি পেতে হলে যে বিপুল পরিমাণ ঘুষ দিতে হয় তা সর্বজন বিদিত। তাছাড়া প্রতিটি পদোন্নতিতে এমনকি পছন্দমতো পোস্টিং পেতে যোগ্যতা নয় বরং লাখ টাকা খরচ করতে হয়। ফলশ্রুতিতে পুলিশ সদস্যদের দুর্নীতি একটি স্বাভাবিক বিষয়ে দাঁড়িয়েছে। আর এর মাশুল গুনতে হয় সাধারণ জনগণকে। পুলিশের কোনো সেবাই স্বাভাবিকভাবে পাওয়া যায় না, কিনতে হয় টাকা দিয়ে। এমনকি সাধারণ একটি জিডি করতেও টাকা দিতে হয়। তাছাড়া পুলিশ সদস্যরা জড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন অনৈতিক সম্পর্ক/কর্মকাণ্ডে। তবে অপরাধের সাজা প্রদানে পুলিশ বরাবরই উদাসীন। তাছাড়া সাজা প্রদানের জন্য গঠিত তদন্ত পর্ষদগুলো ব্যস্ততার দোহাই দিয়ে দীর্ঘ সময় নিয়েও ঠিকমতো কাজ করে না। অবিশ্বাস্য হলেও অনেক ক্ষেত্রেই অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যই এই তদন্ত পর্ষদের কাজ নিজেই সম্পন্ন করে থাকে, যাতে সে নিজেকে রক্ষার যাবতীয় সুযোগ নিয়ে থাকে। এর জন্য যা করণীয়:
ক। সকল ইন্সপেক্টর এবং ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের কৃত সকল অপরাধের তদন্ত উপরোল্লিখিত পিবিআই কর্তৃক সম্পন্ন করা।
খ। কনস্টেবল হতে এসআই/সার্জেন্ট এর ক্ষেত্রে ঘুষ সংক্রান্ত অপরাধ, মাদক গ্রহণ এবং অবৈধ সম্পর্কের তদন্ত উপরোল্লিখিত পিবিআই কর্তৃক সম্পন্ন করা।
পুলিশ সংস্কারে করণীয় আরো কিছু বিষয়:
১। মেশিনগান, স্নাইপার রাইফেলসহ যাবতীয় প্রাণঘাতী অস্ত্র এবং গোলাবারুদ বাজেয়াপ্ত করা।
২। পুলিশের কমান্ডো প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং কমান্ডো ইউনিট বাজেয়াপ্ত করা।
৩। সোয়াট টিমকে পুনর্বিন্যাস করা।
৪। ২০০৯ সাল থেকে ভুল ঠিকানা দেখিয়ে নিয়োগকৃত পুলিশ সদস্যদের ডিজিএফআই, এনএসআই দিয়ে তদন্ত করিয়ে এদেরকে চাকরিচ্যুত করা।
৫। প্রশ্নপত্র ফাঁসের মাধ্যমে নিয়োগকৃত পুলিশ সদস্যদের খুঁজে বের করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া।
৬। সুপার নিউমারিতে পদোন্নতি প্রদান বন্ধ করা, শুধুমাত্র প্রাধিকার অনুযায়ী পদোন্নতি দেয়া।
৭। ”সেবাই পুলিশের ধর্ম” - শুধুমাত্র সেবামূলক প্রতিষ্ঠান হিসেবে পুলিশকে প্রতিষ্ঠা করা।
৮। পুলিশকে সামরিকীকরণ করার যাবতীয় প্রচেষ্টা বন্ধ করা।
র্যাব এর সংস্কার: ২০০৪ সালের র্যাব প্রতিষ্ঠিত হয়। র্যাব আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় যেমন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে, তেমনি এর বিরুদ্ধে আছে অসংখ্য অভিযোগ। এই অভিযোগগুলোকে আমলে নিয়ে র্যাবকে সংস্কার করাও একান্ত জরুরি:
১। র্যাবকে আনসার/বিজিবি/কোস্টগার্ড/পুলিশ এর মতো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে স্বতন্ত্র বাহিনী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা; পুলিশ সদর দপ্তরের অধীনস্থ মুক্ত করা।
২। র্যাবের পোশাক এবং ব্যবহৃত বিভিন্ন আইটেম থেকে পুলিশের মনোগ্রাম তুলে নেওয়া।
৩। র্যাবে প্রায় ৬০ শতাংশ পুলিশ সদস্য কর্মরত। এই সংখ্যা যৌক্তিক হারে কমানো। র্যাব সদর দপ্তর এবং ব্যাটালিয়নসমূহের কোনো এপয়েন্টমেন্ট এর দায়িত্ব পুলিশ সদস্যরা নিতে চায় না। এমনকি মামলার বাদীও হতে চায় না।
৪। র্যাবে যত অপকর্ম সংঘটিত হয় এর অধিকাংশই পুলিশ সদস্য কর্তৃক হয়ে থাকে, অথচ এরা পানিশমেন্টের আওতায় কম আসে।
৫। র্যাবের মহাপরিচালক হিসেবে একজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল/মেজর জেনারেল স্যারকে নিয়োগ দেয়া।
৬। আনুপাতিক হারে র্যাব ব্যাটালিয়নের সংখ্যা বাড়ানো।
পুলিশ সংস্কারের জন্য গঠিত কমিশন কি কাঙ্ক্ষিত চাওয়াগুলো পূর্ণ করতে পারবে: পুলিশ সংস্কারের জন্য ইতিমধ্যে একটি কমিটি গঠিত হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যেই এই কমিটি পুলিশ সংস্কারের মতামত উপস্থাপন করবে। গঠিত কমিটি কি সত্যিই সবার প্রত্যাশা অনুযায়ী কাঙ্ক্ষিত সংস্কার এর বিষয়গুলো উপস্থাপন করতে পারবে:
১। মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার মতো এ দেশের সকল মানুষ চায় বাংলাদেশ যেন পুনরায় একটি পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত না হয়।
২। জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে পুলিশের যে রক্ত পিপাসু কুৎসিত ভয়ানক হায়নারুপী চেহারা দেখে সবাই বিস্মিত হয়েছে সেরূপে পুলিশ যেন কোনোভাবেই আবার ফিরতে না পারে সেরকম সংস্কারই সবাই প্রত্যাশা করছে।
৩। জনাব সফর রাজ হোসেনের নেতৃত্বে আট সদস্যের একটি কমিশন গঠিত হয়েছে যারা পুলিশের এই কাঙ্ক্ষিত সংস্কার করবেন।
৪। র্যাব যেহেতু পুলিশ সদর দপ্তরের আওতাধীন তাই র্যাবের সংস্কার এই কমিশনই করবে।
৫। ২০০৪ সাল থেকে শুরু করে র্যাবে অসংখ্য চৌকস আর্মি অফিসার চাকরি করেছেন। এসব অফিসার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পুলিশ সদর দপ্তর এবং সকল স্তরের অসংখ্য পুলিশ সদস্যের সাথে দীর্ঘদিন কাজ করে পুলিশের সাংগঠনিক কাঠামো, কার্যপ্রণালী, সীমাবদ্ধতা, ঊর্ধ্বতন অফিসারদের সাথে তাদের অধীনস্থদের অযাচিত আচরণ এবং অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন বিষয়াদি সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান অর্জন করেছেন, যা কাঙ্ক্ষিত পুলিশ সংস্কারের জন্য অত্যাবশ্যক।
৬। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাদের অধীনস্থদের সাথে রাজা-প্রজা সম্পর্কের মতো দূরত্ব বজায় রেখে তাদের চরমভাবে বঞ্চিত করে দূরে ঠেলে রাখে। সেখানে র্যাবে এসব অধীনস্থ পুলিশ সদস্যরা সেনা অফিসারদের বিপরীতধর্মী আচরণ পেয়ে তারা অবলীলায় তাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিপীড়ন নির্যাতনের কথা নির্দ্বিধায় বলতে থাকে।
৭। পুলিশ সংস্কারের এই কমিশনে কয়েকজন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাকে রাখা হয়েছে যারা নিশ্চিতভাবেই অধীনস্থ পুলিশ সদস্যদের যৌক্তিক দাবিগুলো (যেমন যোগ্যতার ভিত্তিতে এসআই/ট্রাফিক সার্জেন্টদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হিসেবে প্রমোশন দিয়ে অন্তত এডিশনাল আইজিপি করা) যা ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা গায়ের জোরে এতকাল চাপিয়ে রেখেছে সে বিষয়গুলো সুকৌশলে এড়িয়ে যাবে।
৮। পৃথিবীর একমাত্র পুলিশ যারা “নিজে তদন্ত করার" যে সীমাহীন ক্ষমতা ভোগ করছে এবং যা কাজে লাগিয়ে আজ এ কুৎসিত রূপে দাঁড়িয়েছে সেই ক্ষমতা (অপকর্মের জন্যে পুলিশ সদস্যদের বিচার এবং পিবিআই সংস্কার) আঁকড়ে রাখতে পুলিশ সংস্কার কমিশনে থাকা পুলিশ অফিসাররা নিশ্চিত সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে।
৯। পুলিশ সংস্কারের জন্য গঠিত টিমে র্যাবে চাকরি করা অবসরপ্রাপ্ত একজন সেনা কর্মকর্তাকেও রাখা হয়নি।
১০। পুলিশ সংস্কারে গঠিত এই কমিশনে এরকম একাধিক সেনা কর্মকর্তাকে অন্তর্ভুক্ত না করে কাঙ্ক্ষিত সংস্কার আনা নিশ্চিতভাবেই হবে একটি দুরূহ পদক্ষেপ।
লেখক: খাঁন সাহেব, মোহাম্মদপুর, ঢাকা
মন্তব্য করুন