কুড়ি বছর পর একি দেখলাম মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে!

রুদ্র রাসেল
  প্রকাশিত : ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০:৪৯| আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১:১১
অ- অ+

নতুন সরকারের নিয়োগ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের নতুন মহাপরিচালক খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান, এনডিসি। গোটা দেশে মাদক নিয়ন্ত্রণের প্রধান ব্যক্তি। তাকে পাওয়া কি আতটা সহজ!

অভিজ্ঞতা বলছে, আগে যারা ছিলেন তাদের বেশির ভাগের দেখা পাওয়া ছিল অমাবস্যার চাঁদ কিংবা লটারিতে মার্কিন ভিসা জেতার মতো। আর কথা বলা! সে অনেক সাংবাদিকের জন্যেও ছিল যেন সৌভাগ্য!

মনে পড়ে আমি এক মহাপরিচালকের রুমে ঢুকে প্রটোকল ছাড়া সরাসরি বক্তব্য নিয়েছিলাম আট দিন ঘুরে, সাক্ষী ক্রাইম রিপোর্টার সুজন কৈরী। এরপরও পিআরও কত কী বললেন ফোনে, বক্তব্যের রেকর্ড পাঠাতে হলো, আরও কত মনকালাকালি!

নোবেলজয়ী সরকারপ্রধান প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন নতুন বাংলাদেশেও কি সেই ‘হাইপ্রোফাইল’ অফিসার ডিজি, নাকি প্রজাতন্ত্রের প্রকৃত সেবক বসেছেন ওই চেয়ারে! তিনি কতটুকুই বা সাংবাদিকবান্ধব! সরেজমিনে পরখ করতে মঙ্গলবার বিকাল পাঁচটার দিকে ডিআরইউ থেকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পথ ধরলাম আমরা তিনজন। প্রত্যেকে সিনিয়র সাংবাদিক, যারা ক্র্যাব ও ডিআরইউর মতো প্রেসটিজিয়াস রয়েল সাংবাদিক সংগঠনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন, অতীতেও একাধিকবার দিয়েছেন।

গন্তব্যে পৌঁছাতে তিন মিনিটের হাঁটাপথ। এর মধ্যেই আগের অভিজ্ঞতা ঘিরে সম্ভাব্য দৃশ্যকল্প ধারণা ও আমাদের নানান মন্তব্য। তবে সেই ধারণা একদম কেটে গেল, দেখা হলো এক সাদাসিধে সরল মিশুক অভিব্যক্তির কর্মকর্তার সঙ্গে। চা দিয়ে যখন আপ্যায়ন করেন, তখন সরকারি অফিস ঘণ্টা শেষ, ঘড়ি বলছে সাড়ে পাঁচটা, আকাশ বলছে গোধূলি। তার কোনো তাড়া নেই।

আমাদের পূর্বধারণা বদলে যাওয়ার পাশাপাশি বদলে গেলাম আমরাও, মনস্থির করলাম শুধু রিপোর্ট করেই নয়, মাদক নির্মূলে আমরাও পাশে দাঁড়াব সরাসরি, ভয়-দ্বিধাহীন চিত্তে। গত কুড়ি বছর এ দপ্তরে আনাগোনা, কখনো এমন করে বদলাইনি আমরা, কিংবা আমাদের বদলাতে পারেননি কোনো ডিজি।

একি দেখলাম, কেউ ফেরে না না-দেখে তারে, গেলে দেখা হবেই। বড় সম্ভাবনা জাগলো মনে, এবার হয়তো মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধজয় হবে। এ আশা জাগালেন তিনি প্রথম পরিচয়ে।

অনেক ভালোবাসা। পাশে আছি মাদকমুক্ত দেশের অপেক্ষায়। পাশে আছে সাংবাদিক সমাজ, এগিয়ে চলুন প্রধান উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ফলপ্রসূ নির্দেশনা বাস্তবায়নের পথে। যে প্রত্যয়ের দৃঢ়তা মুগ্ধ করেছে সাত মিনিটের আলোচনা, তা যেন সাত শতাব্দীর পণ।

তিনি হাসলেন, হাসালেনও। সত্যি বলছি, একজন সাধারণ মানুষ গিয়েই দেখুন, কতটা মিথ্যে বলেছি এই আমি।

ডিসেম্বর ২০২৪, ঢাকা।

লেখক: সাংবাদিক ও কবি।

(চিফ রিপোর্টার, বাংলাদেশের খবর, ডিজিটাল এডিশন। সাবেক চিফ রিপোর্টার, ঢাকা টাইমস। সাবেক দপ্তর সম্পাদক, বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব)।

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
ভোটার তালিকা হালনাগাদে ১৬টি নির্দেশনা দিয়েছে ইসি
দুর্নীতির অভিযোগ: পদত্যাগ করলেন টিউলিপ সিদ্দিক
স্বৈরাচারের দোসরদের ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় নির্বাচিত সরকার প্রয়োজন: লায়ন ফারুক
মানুষ চায় জনগণের সরকার: আমিনুল হক
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা