ইজতেমায় লাখো মুসল্লির জুমার নামাজ আদায়
টঙ্গীর তুরাগতীরে অনুষ্ঠিত বিশ্ব ইজতেমার প্রথম দিন শুক্রবার লাখো মুসল্লি একসঙ্গে জুমার নামাজ আদায় করেছেন। নিয়মিত তাবলিগ জামাতের বাইরেও ঢাকা-গাজীপুরসহ ১৭ জেলার কয়েক লাখ মুসল্লি নামাজে অংশ নেন। জুমার নামাজে ইমামতি করেন ঢাকার কাকরাইল মসজিদের হাফেজ মাওলানা মোহাম্মদ যোবায়ের।
বৃহত্তম জুমার নামাজে অংশ নিতে ভোর থেকেই ইজতেমা মাঠে আসতে শুরু করেন মুসল্লিরা। দুপুর ১২টার দিকে ইজতেমা মাঠ উপচে আশপাশের খোলা জায়গাসহ সব স্থান জনসমুদ্রে পরিণত হয়। মাঠে স্থান না পেয়ে অনেকে মহাসড়ক ও অলি-গলিসহ যে যেখানে পেরেছেন পাটি, চটের বস্তা, খবরের কাগজ বিছিয়ে জুমার নামাজে শরিক হয়েছেন। ফলে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে বেশ কিছুক্ষণের জন্য যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
এর আগে শুক্রবার বাদ ফজর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় ৫২তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। ভারতের মাওলানা ওবায়দুল খোরশেদের আম বয়ানের মধ্য দিয়ে ইজতেমার আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়। তিনি উর্দূতে আম বয়ান করেন।
ইজতেমায় বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের তাবলিগ মারকাজের শুরা সদস্য ও বুজর্গরা বয়ান পেশ করেন। মূল বয়ান উর্দূতে হলেও বাংলা, ইংরেজি, আরবি, তামিল, মালয়, তুর্কি ও ফরাসিসহ বিভিন্ন ভাষায় তাৎক্ষণিক অনুবাদ করা হয়। ইজতেমায় বিভিন্ন ভাষাভাষি মুসল্লিরা আলাদা আলাদা বসেন এবং তাদের মধ্যে একজন করে মুরব্বি মূল বয়ানকে তাৎক্ষণিক অনুবাদ করে শুনান।
বিশ্ব ইজতেমার কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে আম ও খাস বয়ান, তালিম, তাশকিল, ৬ উছুলের হাকিকত, দরসে কোরআন, দরসে হাদিস, চিল্লায় নাম লেখানো, নতুন জামাত তৈরি, যৌতুক বিহীন বিয়ে। ১৫ জানুয়ারি রবিবার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে এই পর্বের সমাপ্তি ঘটবে।
দুই পর্বে বিভক্ত হওয়া ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব শুরু হবে ২০ জানুয়ারি। ২২ জানুয়ারি দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে ২০১৭ সালের বিশ্ব ইজতেমা।
(ঢাকাটাইমস/১৩জানুয়ারি/প্রতিনিধি/এমআর)