সরকার কারুশিল্প ও প্রত্মতত্ত্বের উন্নয়নে কাজ করছে

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৪ জানুয়ারি ২০১৭, ২০:৩৮

সংস্কৃতি বিষয়কমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেছেন,

বর্তমান সরকার লোক ও কারুশিল্প এবং প্রত্নতত্ত্বের উন্নয়নে কাজ করছে উল্লেখ করে সংস্কৃতি বিষয়কমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেছেন, বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের বড় সর্দার বাড়ির মতো পানাম নগরীকেও সংস্কার করে আদি রূপে ফিরিয়ে আনা হবে। ইতিমধ্যে পানাম নগরীর ৫২টি বাড়ির সংস্কার কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে। দুই এক বছরের মধ্যে এ সংস্কার কাজ সম্পূর্ণ করা না ও হতে পারে। তবে আমরা এ কাজ সম্পূর্ণ কবর।

শনিবার সকালে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে লোক ও কারুশিল্প মেলা এবং লোকজ উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। মাসব্যাপী এ মেলা চলবে।

তিনি বলেন, সারা বিশ্বে শিল্পে সৃজনশীলতাকে অর্থনীতির সঙ্গে যুক্ত করা হচ্ছে। এটাকে বলা হয় ‘সৃজনশীল অর্থনীতি’। শিল্প শুধু বিনোদনের উপকরণ নয়। শিল্প বাণিজ্যে পরিণত হতে পারে। শিল্পকে অবিক্রিত রেখে অর্থ উপার্জনের মাধ্যমে পরিণত হতে পারে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। দেশে উন্নয়নের যে ধারা সৃষ্টি হয়েছে তা অব্যাহত রাখার জন্যই প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে হবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব আক্তারী মমতাজ, জেলা প্রশাসক রাব্বী মিয়া, নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল্লাহ আল কায়সার, সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নাসিমা আক্তার, সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট সামসুল ইসলাম ভূইয়া, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান কালাম, সোনারগাঁ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের কমান্ডার সোহেল রানা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন- বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের পরিচালক কবি রবীন্দ্র গোপ।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের পরিচলাক কবি রবীন্দ্র গোপ বলেন, কারুশিল্পের ঐতিহ্য, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের বিলুপ্তপ্রায় লোকজ ঐতিহ্যকে পুনরুদ্ধার, সংগ্রহ, সংরক্ষণ, গবেষণা, প্রদর্শন এবং পুনরুজ্জীবন এ মেলার মূল উদ্দেশ্য। এবারের লোকাজ মেলার আকর্ষণ গ্রামীন লোকজ সংস্কৃতির অন্যতম মাধ্যম “মৃৎশিল্পের প্রাচীন ঐতিহ্য ও আধুনিকতার মেলবন্ধন” শিরোনামে প্রদর্শনী। প্রদর্শনীতে ঢাকা ও রাজশাহী অঞ্চলের প্রথিতযশা ৮ জন মৃৎ শিল্পী এ প্রদর্শনীতে অংশ নেবেন। তাছাড়া এ বিশেষ প্রদর্শনী উপলক্ষে গবেষণামূলক সেমিনার ও একটি ক্যাটালগ প্রকাশ করা হবে। মেলা চত্বর প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।

শনিবার সকাল থেকে শুরু হওয়া মেলা চলবে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত। অনুষ্ঠান শেষে মন্ত্রী মেলা চত্বরের বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন ও বিভিন্ন কারুশিল্পীদের সঙ্গে কথা বলেন।

লোক ও ফাউন্ডেশন সূূত্রে জানা যায়, এবারের মেলায় বাংলাদেশের পল্লী অঞ্চল থেকে আগত ৫৪ জন কারুশিল্পী তাদের বিভিন্ন শিল্প কর্ম নিয়ে প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করেছেন। তাদের জন্য ২৭টি স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ঝিনাইদহ ও মা-রার শোলা শিল্প, রাজশাহীর শখের হাড়ি, চট্টগ্রামের নক্শি পাখা, রংপুরের শত রঞ্জি, সোনারগাঁয়ের হাতি ঘোড়া পুতুল ও কাঠের কারু শিল্প, নক্শিকাঁথা, নক্শি হাতপাখা, মুন্সিগঞ্জের শীতল পাটি, মানিকগঞ্জের তামা-কাঁসা পিতলের কারুশিল্প, রাঙামাটি ও বান্দরবান জেলার ক্ষুদ্র-নৃ-গোষ্ঠীর কারু পণ্য, কিশোরগঞ্জের টেরা কোটা শিল্প, সোনারগাঁয়ের পাটের কারু শিল্প, নাটোরের শোলার মুখোস শিল্প, মুন্সিগঞ্জের পট চিত্র, ঢাকার কাগজের হস্ত শিল্পসহ মোট ১৯৩টি স্টল রয়েছে।

মেলায় প্রতিদিন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে গ্রামীণ জীবন্ত প্রদর্শনী ও দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত শিল্পীদের অংশগ্রহণে জারি, সারি, বাউল, ভাওয়াইয়া, লালনগীতি, মুর্সিদী গানসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করবেন।

(ঢাকাটাইমস/১৪জানুয়ারি/প্রতিনিধি/ইএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :