দেশে স্বেচ্ছাচারী শাসন চলছে: খালেদা জিয়া

দেশে একদলীয় স্বেচ্ছাচারী শাসন কায়েম করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। তিনি বলেন, গণতন্ত্রকে হত্যা করে বাক, ব্যক্তি ও চিন্তার স্বাধীনতা এখন গুম করে ফেলা হয়েছে। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি একতরফা ভোটারবিহীন নির্বাচন করে ভোট দিয়ে ভোটারদের নিজের পছন্দমতো প্রতিনিধি বাছাই করার অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে ।
সোমবার ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে গণমাধ্যমে দেয়া এক বাণীতে বেগম খালেদা জিয়া এসব বলেন।
পাকিস্তান আমলে ১৯৬৯ সালের এই দিনে ১১ দফার দাবিতে ছাত্রজনতার আন্দোলন ফুঁসে উঠে। পুলিশের গুলিতে সেদিন প্রাণ হারান আসাদ, রুস্তম, মনির, মহিউর, ড. জোহাসহ অনেকেই। এই ঘটনা আন্দোলনে ঘি ঢালে।
ঊনসত্তরের গণআন্দোলনসহ সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে আত্মদানকারী শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান এবং তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন। তিনি বলেন, ‘২৪ জানুয়ারি আমাদের জাতীয় ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় দিন। দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের পর ১৯৬৯ সালের এ দিনে তদানীন্তন পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক দুঃশাসনের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতা দৃঢ় প্রতিরোধ গড়ে তোলে। গণআন্দোলন তীব্র আকার ধারণ করে পরিণত হয়েছিল গণঅভ্যুত্থানে। পতন নিশ্চিত হয়েছিল সামরিক স্বৈরশাসকের।’
খালেদা জিয়া বলেন, তারই ধারাবাহিকতায় উন্মুক্ত হয়েছিল আমাদের স্বাধীনতা অর্জনের পথ। গণঅভ্যুত্থানের মূল মানস বা মেজাজ ছিল স্বৈরতন্ত্র থেকে গণতন্ত্রে প্রত্যাবর্তন, বহুদলীয় রাজনৈতিক কার্যক্রম, বহুমত এবং চিন্তার চর্চা ও মানুষের নাগরিক স্বাধীনতা ফিরে পাওয়া।
খালেদা জিয়া বলেন, আমাদের জাতীয় জীবনে ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের তাৎপর্য অপরিসীম। এ দিবস আমাদের গণতন্ত্র ও স্বাধীকার অর্জনের চেতনাকে শাণিত করে এবং সকল অন্যায় অবিচার ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হতে আজো অনুপ্রেরণা জোগায়। কারণ এখন আবারো একদলীয় স্বেচ্ছাচারী শাসন কায়েম করা হয়েছে, গণতন্ত্রকে হত্যা করে বাক, ব্যক্তি ও চিন্তার স্বাধীনতা এখন গুম করে ফেলা হয়েছে। সুতরাং আজকের এ মহান দিনে আমি স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র এবং মানুষের মৌলিক ও মানবাধিকার নিশ্চিত করতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহবান জানাই।’
(ঢাকাটাইমস/২৩জানুয়ারি/বিইউ/ডব্লিউবি)

মন্তব্য করুন