দ্বিতীয় দিনের মতো সারাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন ঠাকুরগাঁও
ঠাকুরগাঁওয়ে মহাসড়কে চাঁদা আদায় নিয়ে সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের প্রতিবাদে মোটর মালিক ও শ্রমিক ইউনিয়নের ডাকে শুরু হওয়া অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে। প্রশাসন ধর্মঘট প্রত্যাহারে কয়েক দফা বৈঠক করলেও ফলপ্রসূ না হওয়ায় ধর্মঘট অব্যাহত আছে।
বাস ও ট্রাক থেকে চাঁদা আদায়কে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে মোটর মালিক সমিতি ও ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। ঠাকুরগাঁও বাস টার্মিনালের সামনে গাড়ি থেকে আদায়কৃত টাকা ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়ন, মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন ও মোটর মালিক সমিতি ভাগাভাগি করে নিত। কিন্তু পরবর্তী সময়ে ট্রাক মালিক সমিতি গঠিত হওয়ায় তারা ট্রাক থেকে চাঁদা তোলায় বাধা দেন এবং বাস টার্মিনালে চাঁদা তোলা বন্ধ করে দেন।
পরবর্তী সময়ে ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়ন শহরের জগন্নাথপুর এলাকায় ট্রাকের চাঁদা আদায় শুরু করে। বুধবার মোটর মালিক সমিতি বাস টার্মিনালে আবারো চাঁদা আদায় শুরু করলে ট্রাক শ্রমিকরা ক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠে। এ সময় বিক্ষুদ্ধ শ্রমিকরা মোটর মালিক সমিতির চাঁদা আদায়ের ঘর ভেঙে দেয় ও আগুন দেয়।
এরই প্রতিবাদে মোটর মালিক সমিতি ও মোটর পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন জেলায় অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেয়। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ঠাকুরগাঁও-ঢাকা মহাসড়কসহ জেলার চার উপজেলার ফিডার রুটে সব ধরনের পরিবহন চলাচল বন্ধ হয়ে রয়েছে। এতে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে অন্যান্য জেলার সাথে ঠাকুরগাঁও জেলার সড়ক যোগাযোগ।
এদিকে জেলা প্রশাসন মোটর মালিক ও শ্রমিক ইউনিয়নের সাথে বৈঠক করে পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার চাপ দেয়। কিন্তু ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়ন কোনো ট্রাক থেকে বাস মালিক ও শ্রমিকদের চাঁদা আদায় করতে দেবে না বলে সাফ জানিয়ে দিলে আলোচনা ভেস্তে যায়। তবে প্রশাসন ধর্মঘট আহ্বানকারীদের শুধু বাসের ক্ষেত্রে ধর্মঘট চালাতে পারবে এবং অন্য কোনো পরিবহনকে চলাচলে বাধা দিতে পারবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/১৭ফেব্রুয়ারি/প্রতিনিধি/জেবি)