পশ্চিম মসুলে সাড়ে তিন লাখ শিশু আটকা
ইরাকের পশ্চিম মসুল শহরে প্রায় সাড়ে তিন লাখ শিশু আটকা পড়েছে দাবি করেছে শিশু অধিকার-বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন। রবিবার ইরাকের সরকারি বাহিনী পশ্চিম মসুল দখলে বড় ধরনের অভিযান শুরু করেছে। খবর এনডিটিভির।
লন্ডনভিত্তিক দাতব্য সংস্থাটির ইরাকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মাউরিজিও ক্রিভালেরো বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ ইরাক ও তাদের মিত্র বাহিনীর উচিত যেকোনো মূল্য শিশু ও তাদের পরিবারকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করা। অভিযানের সময় স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল ইত্যাদি বেসামরিক প্রতিষ্ঠানকে হামলা থেকে রক্ষা করতে হবে।’
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘অধিকাংশ পরিবারের জন্য পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ কোনো বিকল্প নয়। এতে ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গিদের স্নাইপার এবং ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে মারা যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। এখানকার অধিবাসীদের খাবার, পানি, ওষুধও ফুরিয়ে যাচ্ছে।’
এক বিবৃতিতে ক্রিভালেরো জানান, পশ্চিম মসুলের শিশুদের সামনে এখন ভয়ানক বিকল্প। সেখানে থাকলে বোমা, ক্রসফায়ার, ক্ষুধার যন্ত্রণা ভোগ করতে হবে। আবার পালালে আইএস জঙ্গিরা তাদের মৃত্যুদণ্ড বা স্নাইপার দিয়ে গুলি করে হত্যা করবে।
তিনি বলেন, ‘যত দ্রুত সম্ভব এখানকার বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপদে পালিয়ে আসার পথ নিশ্চিত করতে হবে।’
ইসলামিক স্টেটের (আইএস) শেষ শক্ত ঘাঁটি পশ্চিম মসুল জঙ্গিমুক্ত করতে রবিবার বড় ধরনের অভিযান শুরু করেছে ইরাকি বাহিনী। ২০১৪ সালে সিরিয়া ও ইরাকে বিশাল অংশ দখল করে নেয়ার সময় মসুলও দখল করে নেয় আইএস জঙ্গিরা। এই শহর থেকেই গোষ্ঠীটির প্রধান আবু বকর আল বাগদাদি তথাকথিত ‘খেলাফত’ প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিয়েছিলেন।
গত বছরের অক্টোবর থেকে ইরাকি বাহিনী মসুল শহর পুনর্দখলে অভিযান শুরু করে। ২৪ জানুয়ারি পূর্ব মসুল পুরোপুরি আইএস মুক্ত করেছে বলে ঘোষণা দেয়।
বর্তমানে ইরাকি বাহিনী বিশাল চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে। পশ্চিম মসুলের পুরাতন শহরের রাস্তাঘাট সংকীর্ণ হওয়ায় সামরিক বাহিনীর অনেক গাড়িই প্রবেশ করা কষ্টসাধ্য হবে।
সেভ দ্য চিলড্রেন সতর্ক করে জানায়, মসুলের এই সরু এবং জনবহুল এলাকায় কামানের গোলা বা অন্যান্য বিস্ফোরক অস্ত্র ব্যবহার করা মারাত্মক প্রাণঘাতী হবে। যা এখানকার যুদ্ধে আর ঘটেনি।
(ঢাকাটাইমস/১৯ফেব্রুয়ারি/এসআই)