উন্নয়নের কথা বলতে গেলে শেখ হাসিনার কথাই বলতে হবে: দোলন

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৬ মার্চ ২০১৭, ২২:৪৭

ফরিদপুরসহ সারা দেশের উন্নয়নকে অব্যাহত রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন কাঞ্চন মুন্সী ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান দোলন। তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ফরিদপুরের প্রত্যন্ত অঞ্চলে উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। এই উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে হলে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আবারও ক্ষমতায় আনতে হবে। উন্নয়নের কথা বলতে গেলে বার বার তার কথাই বলতে হবে।

বৃহস্পতিবার বোয়ালমারী উপজেলার সহস্রাইল পাবলিক পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। বিদ্যালয়ের মাঠে আড়ম্বরপূর্ণ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

ঢাকাটাইমস সম্পাদক আরিফুর রহমান দোলন বলেন, ‘গত আট বছরে বোয়ালমারী, আলফাডাঙ্গা ও মধুখালী অঞ্চলে আরও উন্নয়ন হতে পারতো। কিন্তু হয়নি। কেন হয়নি আল্লাহ জানেন। এখন উন্নয়ন হচ্ছে। আরও হবে। তবে এজন্য শেখ হাসিনা সরকারকে ক্ষমতায় থাকতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনা আগামী নির্বাচনে সারা দেশে তিনশ আসনে জনপ্রিয়, যোগ্য ও মেধাবী মুখকে মনোনয়ন দেবেন। তাদেরকে নৌকা প্রতীক তুলে দেবেন। আমরা সবাই নৌকাকে বিজয়ী করতে কাজ করবো।’

তরুণ প্রজন্মের তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহারের কথা উল্লেখ করে আরিফুর রহমান দোলন বলেন, ‘আমাদের সময় তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার এতটা সহজলভ্য ছিল না। এখনকার ছেলে-মেয়েরা অনেক মেধাবী। তবে অভিভাবকদের সতর্ক হতে হবে। শিক্ষার্থীদের বলছি, ফেসবুক ব্যবহার হতে হবে ইতিবাচক, পড়াশোনার কাজে।’

উপস্থিত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অনেক শৃঙ্খলিত। আমি তোমাদের মধ্যে আগামী দিনের আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন চিকিৎসক, প্রকৌশলী দেখতে পাচ্ছি। রাজনীতিক দেখতে পাচ্ছি। তোমরা এ দেশের আলোকিত মানুষ হবে এটা আমার বিশ্বাস। যদি শিক্ষকরা ভালোভাবে পড়াশোনার করান তবেই বিশ্বাস বাস্তবায়ন হবে।’

শিক্ষাখাতে বর্তমান সরকারের উন্নয়ন, অগ্রগতির কথা তুলে ধরে এই সময় সম্পাদক আরিফুর রহমান দোলন বলেন, আগামী প্রজন্মকে শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে আমাদের সবার দায়িত্ব রয়েছে। বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই দায়িত্ব পালন করছেন। সরকার গত আট বছরে প্রাথমিক পর্যায়ে ২২৫ কোটি বই ফ্রি বিতরণ করেছে। যিনি এতো দিচ্ছেন তার কথা তো অবশ্যই বলতে হবে। না বললে আমরা পাবো কোথায়?’ সহ¯্রাইল পাবলিক পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবির বিষয়ে তিনি বলেন, আগামী ২৯ মার্চ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফরিদপুর আসবেন। তার কানে কানে সহ¯্রাইল স্কুলের কথা বলার মতো লোক ফরিদপুরে আছেন। তিনি হচ্ছে এলজিআরডি মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি আমাদের সহযোগিতা করছেন বলে এই অঞ্চলের রাস্তাঘাটসহ অবকাঠামোগত উন্নয়ন হচ্ছে।’

আরিফুর রহমান দোলন বলেন, ‘কদিন আগে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন পদ্মার চরে একটি ক্রীড়া কমপ্লেক্স হবে। এটি হলে এই অঞ্চলের ছেলেমেয়ের ক্রীড়া প্রতিভা বিকাশের পথ আরও সুগম হবে। কেবল নেত্রীর পক্ষেই এটি করা সম্ভব। আগামীতে তাকে ক্ষমতায় আনতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে জঙ্গিবাদ এখন বড় ষড়যন্ত্র। স্কুল, মাদ্রাসা, কলেজ থেকে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সবাইকে সোচ্চার করতে পারি, প্রচার করতে পারি তাহলে এই অঞ্চল জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে এগিয়ে থাকবে।’

সহ¯্রাইল বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোক্তা ছিলেন তৎকালীন স্টেশন মাস্টার শেখ ইরফান আলী এবং জন্য স্কুল প্রতিষ্ঠার জন্য ১১ বিঘা জমি দিয়েছিলেন সৈয়দ মোতাহার হোসেন। আজকের অনুষ্ঠানে তাদের সন্তানেরা উপস্থিত হয়ে স্কুল প্রতিষ্ঠার ইতিহাস তুলে ধরেন।

বোয়ালমারী উপজেলার চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন মুশা বলেন, ‘দোলন সাহেব সমাজের জন্য কাজ করছেন। তিনি ভদ্র মানুষ। নেত্রী শেখ হাসিনা তাকে মনোনয়ন দিলে আমরা তার হয়ে কাজ করবো। তবে আগামী দিনে আমরা এমন জনপ্রতিনিধি চাই যার কাছে সাধারণ মানুষ গিয়ে তার দুঃখ-সুখের কথা বলতে পারবে। যিনি হবেন সাধারণের মানুষ। কাউকে যেন শুনতে না হয়, বাড়িও চিনে ফেলেছ? অতীতে এ অঞ্চলের মানুষ জনপ্রতিনিধিদের মুখ থেকে এ ধরনের কথা শুনেছে।’ তিনি বলেন, ‘ক্ষমতা পাওয়ার পর তার অপব্যবহার করা ঠিক হবে না। পুলিশ দিয়ে হয়রানি করা যাবে না।’

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কাজী নজরুল ইসলাম। আরও বক্তৃতা করেন স্কুলটির সাবেক প্রধান শিক্ষক সৈয়দ বদিউজ্জামান, বোয়ালমারী উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ রাসেল রেজা, ফরিদপুর জেলা পরিষদ সদস্য শেখ শহীদুল ইসলাম, সহ¯্রাইল পাবলিক পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইসরাফিল মোল্লা প্রমুখ।

এর আগে বিদ্যালয়ের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ফলক উন্মোচন করা হয়। এসময় বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা সদস্যদের মধ্যে বেশ কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন ঢাকাটাইমস সম্পাদক আরিফুর রহমান দোলনও। অনুষ্ঠান শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হয়।

৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ‘সুবর্ণ ২০১৬’ নামে একটি বর্ণিল স্মারক প্রকাশিত হয়। যার সম্পাদনায় ছিলেন আলফাডাঙ্গা সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. মহসিন মিয়া, ঢাকাটাইমস ও এই সময়ের বোয়ালমারী প্রতিনিধি রাসেল আহমেদ।

(ঢাকাটাইমস/ ১৬ মার্চ/ এইচএফ/ জেডএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

রাজনীতি এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :