ভেজাল খাদ্য উৎপাদনে কোনো ছাড় নয়: মন্ত্রী

ভেজাল খাদ্য উৎপাদনকারীদের কোনো ছাড় দেয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘খাদ্য উৎপাদনকারী অনেক বড় বড় প্রতিষ্ঠান অতি মুনাফার লোভে ভেজাল খাদ্য উৎপাদন করে জনগণকে ধোঁকা দিচ্ছে। তবে তাদের কাউকেই আমরা ছাড় দেব না।’
মঙ্গলবার সকালে ‘ঝুঁকিভিত্তিক খাদ্য পরিদর্শন বিষয়ক তিন দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
খাদ্য ভবনে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত এ কর্মশালার আয়োজন করেছে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন খাদ্য সচিব মো. কায়কোবাদ হোসেন, খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ বদরুল হাসান এবং জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি ডেভিড ডোলান।
সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মাহফুজুল হক।
নিরাপদ খাদ্য পাওয়া জনগণের সাংবিধানিক অধিকার উল্লেখ করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, এজন্য শেখ হাসিনার সরকার নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩ এবং বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ গঠন করে সে কাজটিই করতে শুরু করেছে।
কামরুল বলেন, আগে ভেজাল খাদ্য চিহ্নিত করতে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থা পৃথকভাবে কাজ করতো। এখন সরকারের সব মন্ত্রণালয়, সংস্থা ও অধিদপ্তর সমন্বিতভাবে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের অধীনে কাজ করবে।
জনগণকে ঝুঁকিমুক্ত রাখতে ভেজাল খাদ্য উৎপাদনকারীদের শাস্তির আওতায় নিয়ে আসার কথাটি দৃঢ়তার সাথে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বিশ্বের উন্নত দেশগুলো যেভাবে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন তদারকি করে শেখ হাসিনার সরকারও সে টার্গেট নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। এ জন্য নানা বিধিমালা, প্রবিধিমালা, ভ্রাম্যমাণ ল্যাবসহ আটটি বিভাগে স্থায়ী ল্যাব নির্মাণ করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার জনগণকে খাদ্য নিরাপত্তা দিতে সক্ষম হয়েছে।
উত্তরবঙ্গে মঙ্গা নেই এবং দেশের কোথাও কেউ আর না খেয়ে মারা যাচ্ছে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সরকার দেশের ১৬ কোটি মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে।
(ঢাকাটাইমস/২১মার্চ/জেবি)

মন্তব্য করুন