ই-টোকেন ওঠায় ভারতীয় ভিসা পেতে ভোগান্তি কমেছে

নজরুল ইসলাম, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৪ মার্চ ২০১৭, ০৮:১০ | প্রকাশিত : ২৪ মার্চ ২০১৭, ০৮:০১

কয়েক মাস আগেও ভারতের ভিসা পেতে কি কষ্টই না সহ্য করতে হয়েছে বাংলাদেশের মানুষকে। সার্ভার ডাউন, ভিসার আবেদন জমা দিতে দালালদের খপ্পরসহ নানা ঝামেলায় মানুষ পড়েছে ভিসা প্রত্যাশীরা। ই-টোকেন পদ্ধতি ছিল নানাবিধ সমস্যার মূল কারণ। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আর গণমাধ্যমে নানা সংবাদ প্রকাশের পর ভারতীয় কর্তৃপক্ষ এই পদ্ধতি উঠিয়ে দেয়।

বাংলাদেশে ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষবর্ষণ শ্রিংলা ভারত ভ্রমণে ই-টোকেন লাগবে না বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন গত ২৭ নভেম্বর। এর এক মাস পর হাইকমিশনার থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ও ভারতের মানুষের মধ্যে যোগাযোগ ও সম্পর্ক বাড়ানোর লক্ষ্য নিয়ে ভারতে ঘুরতে যাওয়ার ভিসা পাওয়ার প্রক্রিয়া সহজ করা হয়েছে। আর ১ জানুয়ারি থেকে উঠে যায় এই পদ্ধতি।

নতুন পদ্ধতি কার্যকর হয়েছে প্রায় চার মাস হলো। কী সুফল পেল ভিসাপ্রত্যাশীরা? খোঁজ নিতে বেশ কয়েকটি ভিসা সেন্টার পরিদর্শন করেছে ঢাকাটাইমস। দেখা গেছে, ই-টোকেন পদ্ধতি বাতিল হওয়াতে বর্তমানে ভারতীয় ভিসা পেতে আগের মত কষ্ট অনেকটাই উধাও। ভিসা নিতে আসা লোকজন বলছেন, এখন ভারতীয় ভিসা পাওয়া যেমন সহজ হয়েছে তেমনি বেড়েছে ভারতে পর্যটন, ব্যবসা ও চিকিৎসাসহ নানা কারণে ভারত যেতে ইচ্ছুক মানুষের সংখ্যাও।

রাজধানীর শ্যামলীতে অবস্থিত ইন্ডিয়ান ভিসা অ্যাপ্লিক্যাশন সেন্টার (আইভিএসি), মিরপুর কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, ভারতের ভিসা পেতে লম্বা লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে মানুষ। এদের বেশিরভাগই ছাত্র।

লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন অপু। ভারতে যেতে চান কেন? জিজ্ঞেস করলে অপু বলেন, 'আমি ঘুরতে যাব। ই-টোকেন পদ্ধতি চলাকালীন আবেদন করে ভিসা পাইনি। তাই এখন আবার আবেদন করছি। আশা করি এবার হয়ে যাবে'।

ভিসা এবার পাবেনই, কীভাবে নিশ্চিত হলেন অপু? জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'আমার অনেক বন্ধুই সম্প্রতি ঘুরে এসেছে। তাদের ভিসা পেতে খুব একটা ঝামেলা হয়নি। এ কারণে এমনটি মনে হচ্ছে'।

ভারতীয় ভিসা পেতে ইন্টারনেটে পূরণ করতে হয় নিবন্ধন ফরম। এতে ব্যক্তির বর্ণনাসহ সব তথ্য দিতে হয় । কী কারণে যাবে সেটার উল্লেখ করতে হয় । ফরম পূরণের জন্য সময় দেয়া হয় তিনদিন। তিনদিনের মধ্যে ফরম পূরণ করে দিতে হয় । নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে না করলে সেটা বাতিল বলে গণ্য হয়। আবার নতুন করে আবেদন করতে হয়। ফরম নিবন্ধন হয়ে গেলে পার্সপোর্টসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে ভারতীয় হাইকমিশনের মুখোমুখি হতে হয়। কাগজপত্রসহ সব তথ্য সঠিক হলে মিলে ভারতীয় ভিসা। তবে ভ্রমণের তারিখ ভিসা আবেদনপত্র জমা দেওয়ার সাতদিন পরে কিন্তু এক মাসের মধ্যেই হতে হয়।

নাইম ইসলাম নামে একজন জানালেন, তিনি ইতোমধ্যে কয়েকবার ভারত ভ্রমণ করেছেন। তার নাকি ঘুরতে ভালো লাগে। ভারতের সব দর্শনীয় স্থান দেখার ইচ্ছা রয়েছে তার। তিনি আরও জানান, ‘আমি ই-টোকেনের সময়ে তিনবার ভারত ভ্রমণ করি। ই-টোকেন পদ্ধতিতে তিনবারই আমাকে গুনতে হয়েছিল অনেকগুলো টাকা। এখন সেটা লাগছে না। ভিসা পাওয়া অনেকটাই সহজ এখন।’

ঢাকাটাইমস/২৪মার্চ/এনআই/এসএএফ

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :