টাঙ্গাইলে শাহীন শিক্ষা পরিবারে পাঁচ ছাত্রকে বেদম পিটুনি
তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে টাঙ্গাইলের শাহীন শিক্ষা পরিবারের পাঁচ আবাসিক শিক্ষার্থীকে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার বিকালে বাবুল হোসেন নামের এক শিক্ষক ওই ছাত্রদের বেদম পিটুনি দিলে তাদেরকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষকের শাস্তি দাবি করেছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
আহত শিক্ষার্থীরা জানায়, ঘটনার দিন বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে নবম শ্রেণির কয়েকজন ছাত্রের সঙ্গে দশম শ্রেণির ছাত্রদের বাকবিতণ্ডা এবং হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়টির আবাসিক ভবন পরিচালক বাবুল হোসেনের কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ করেন। পরিচালক আবুল হোসেন দশম শ্রেণির ১০ থেকে ১২জন শিক্ষার্থীকে ভবনের একটি কক্ষে আটকে লাঠি দিয়ে মারধর করে।এ সময় প্রতিবাদ করায় দশম শ্রেণির ছাত্র রিজভীকে লোহার রড দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করা হয়।পরে আহতদের মধ্যে পাঁচজনকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
শিক্ষার্থীরা আরও অভিযোগ করেন, তুচ্ছ ঘটনায় প্রতিনিয়তই মারধর করে অভিযুক্ত এই শিক্ষক। এ ঘটনায় জড়িত শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
নির্যাতনের শিকার ছাত্রদের অভিভাবকরা জানান, এত বড় ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরেও কর্তৃপক্ষ তাদের জানায়নি। ঘটনা শোনার পর বাববার ফোন করলেও তারা রিসিভ করেননি। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তারা।
এ ব্যাপারে আবাসিক ভবনের একাধিক শিক্ষক বলেন, ঘটনা ঘটেছে ঠিকই। তবে এত বড় ঘটনা ঘটেনি। শিক্ষক হিসেবে ছাত্রদের শাসন করতেই পারেন। তিনি ছাত্রদের সামান্য শাসন করেছেন মাত্র।
এ প্রসঙ্গে টাঙ্গাইল শাহীন শিক্ষা পরিবারের আবাসিক স্কুলের অধ্যক্ষ আনোয়ার হোসেন আসলাম নির্যাতনের বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে বলেন, ৬ মে শনিবার সন্ধ্যায় অভিযুক্ত শিক্ষককে প্রতিষ্ঠান থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/৭মে/প্রতিনিধি/জেডএ)
মন্তব্য করুন