প্রেমের কারণেই জঙ্গি হয়েছিলেন সবজার
ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন নিষিদ্ধ জঙ্গিগোষ্ঠী হিযবুল মুজাহদিনের শীর্ষ কমান্ডার সবজার আহমেদ ভাট।
সবজার গত জুলাই মাসে নিহত বুরহান ওয়ানির একজন ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন। বুরহানের মৃত্যুর পর সবজারকে হিজবুল কমান্ডার নির্বাচিত করা হয়েছিল। সবজারের মৃত্যুর পর ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়। শত শত মানুষ শ্রীনগরের কাছে ট্রাল শহরে রাস্তায় নেমে আসে। তারা বিক্ষোভ প্রদর্শনের সময় পুলিশের দিকে পাথর ছুঁড়ে মারে। পুলিশও টিয়ার গ্যাস ও ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে।
কিন্তু, সবজারের এই উত্থানের পিছনে নাকি রয়েছেন এক নারী। অথবা বলা যায়, এক ব্যর্থ প্রেমের উপাখ্যান।
কাশ্মিরের এক মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম ও বেড়ে ওঠা সবজারের। একটা সময়ে তার জীবনে প্রেম আসে। আর সেই প্রেমের ব্যর্থতাই তাকে টেনে আনে জঙ্গি-জীবনে।
এক তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয় সবজারের। কিন্তু, সেই প্রেম নাকি টেকেনি। ওই তরুণীর পরিবার নাকি সবজারের মতো ছেলের সঙ্গে কোনও ভাবেই মেয়ের ওই সম্পর্ক মেনে নিতে পারেনি। মেয়েও পরিবারের বিরুদ্ধে বেশি দূর এগোতে পারেনি। কাজেই পরিবারের চাপে একটা সময়ে প্রেমিকা ফিরিয়ে দেয় সবজারের দেওয়া বিয়ের প্রস্তাব। এর পরেই সম্পর্কের ইতি।
সম্পর্ক শেষের এই ঘটনার পরই সবজারের জীবনে অন্ধকার নেমে আসে। প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হয়ে সে হাত পাকাতে শুরু করে নানা গর্হিত কাজে। এই সময়ে ছোটবেলার বন্ধু বুরহানের সঙ্গে সম্পর্ক ঝালিয়ে নেয়। কাশ্মিরের সচ্ছল মধ্যবিত্ত পরিবারের ওই সুদর্শন তরুণও তখন বিপথগামী।
হিজবুলের কমান্ডারদের সঙ্গে পাহাড়ে-জঙ্গলে কেমন দিন কাটছে, ফেসবুকে নিয়মিত সেই সব ছবি দিতেন বুরহান। সেই দলে নাম লেখালো সবজারও। গত বছর ৮ জুলাই সেনা অভিযানে বুরহানের মৃত্যুর পর হিজবুলের হাল ধরেন সবজার। নতুন নাম হল ‘সব ডন’।
বুরহানের সঙ্গে প্রায় দুইবছর কাজ করেছিল সবজার। ভারতেই নানা জঙ্গি কার্যকলাপের প্রশিক্ষণ নেন তিনি।
তবে, সব কিছু ছাড়িয়ে সবজারের মৃত্যুর পর উপত্যকা জুড়ে তার ব্যর্থ প্রেম কাহিনিই উড়ে বেড়াচ্ছে।
(ঢাকাটাইমস/২৮মে/জেএস)