সেলফি মৃত্যুতে এক নম্বরে ভারত
সেলফি তুলতে গিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে প্রতিদিনই কেউ না কেউ দুর্ঘটনায় আক্রান্ত হন। সেলফি দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যাও কম নয়। সেলফি তুলতে গিয়ে মৃত্যুর তালিকায় পৃথিবীতে শীর্ষে রয়েছে ভারত। সম্প্রতি এক সমীক্ষায় এই তথ্য জানা গেছে।
এই প্রবণতা ঠেকাতে ভারতে প্রশাসনের তরফে সম্প্রতি বেশ কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে৷ শুরু হয়েছে #SafetyBeforeSelfie (#স্টেবিফোরসেলফি) ক্যাম্পেইন৷ বিভিন্ন জনপ্রিয় সেলফি পয়েন্টে বাড়ানো হয়েছে নজরদারি৷ সম্প্রতি আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া এক নতুন নির্দেশিকা জারি করেছে৷ তাতে বলা হয়েছে, এবার থেকে ভারতের আর কোনো মিউজিয়ামে (যেগুলি এএসআই-এর অধীন) সেলফিস্টিক নিয়ে যাওয়া যাবে না৷ পাশাপাশি ছবি তুলতে হলে ক্যামেরা নিয়ে যেতে পারবেন৷ তবে তার জন্য অতিরিক্ত ফি জমা করতে হবে৷ বাণিজ্যিক কারণে ভিডিওগ্রাফি করতে চা বিহারের পাটনা ব্রিজে সেলফি তুললেই ৬০০ টাকা জরিমানা৷ মুম্বাইয়ের মেরিনা বিচেও এমন নিয়ম করা হয়েছে৷
ভারতের পুলিশ কর্মকর্তা শুভঙ্কর দে বলেন, ‘ভারতে সেলফি এখন মারণ রোগে পরিণত হয়েছে৷ অল্প বয়সেই ছেলে-মেয়েদের হাতে মোবাইল ফোন তুলে দেওয়াও একটা কারণ বলে মনে হচ্ছে৷ এরফলে সেলফি মৃত্যু যেমন ঘটছে, সমাজে নানা রকম অপরাধের সংখ্যাও বাড়ছে৷ এর সমাধানে গণসচেতনতা প্রয়োজন৷ শুধু আইন করে সব সমস্যার সমাধান হয় না।’
আসলে ভারতীয়রা সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে ভীষণ ভাবে উত্তেজিত৷ ফেসবুক, স্ন্যাপচ্যাট, টুইটার, ইনস্টাগ্রামে কে কতটা লাইক পেতে পারেন তাই নিয়ে প্রতিযোগিতা চলে৷ সেকারণেই এই রকম বেপরোয়া সেলফি তোলার হিড়িক ভারতে৷ শুধু যুবরাই নয়, এই ব্যাধিতে আক্রান্ত সকলেই৷ তার উপর কাজ করে বেপরোয়া মনোভাব আর জনপ্রিয় হওয়ার সুপ্ত আকাঙ্খা৷ ভারতে এখন মোবাইল ফোন বিক্রি হয় সেলফি ক্যামেরার প্রচার দেখিয়ে৷
২০১৩ সালে প্রথম সেলফি শব্দটি অক্সফোর্ড অভিধানে যুক্ত হয়৷ তার কয়েক বছরের মধ্যেই অভিধানের সবচেয়ে জনপ্রিয় শব্দ হয়ে উঠেছে সেলফি৷ এর সঙ্গে যোগ হয়ে তৈরি হয়েছে ভাইরাল সেলফি, কিলার সেলফি৷
(ঢাকাটাইমস/১২জুলাই/এজেড)