‘নিরাপত্তা পরিস্থিতির উন্নতিতে’ খুলছে রাখাইনের স্কুলগুলো
মিয়ানমারের নিরাপত্তা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো আগামী সোমবার থেকে আবারো খুলে দেয়া হচ্ছে। সন্ত্রাসী হামলাকে কেন্দ্র করে গত আগস্ট মাস থেকে এ রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রাখা হয়। আজ শনিবার সরকারি সংবাদপত্র গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমার এ খবর জানায়।
মাউংতাও শিক্ষা বিভাগের বরাত দিয়ে ওই সংবাদপত্রের খবরে বলা হয়, আশা করা হচ্ছে মাউংতাওয়ের বিভিন্ন গ্রামের অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোও একই পন্থা অবলম্বন করবে।
সন্ত্রাসী হামলার হুমকির মুখে স্থানীয় বিভিন্ন জাতির লোকজন এবং অনেক গ্রামবাসী সিতওয়ে, বুথিডং ও ইয়াথিডংয়ের মতো অন্য নিরাপদ স্থানে পালিয়ে যায়।
খবরে বলা হয়, এ অঞ্চলে উগ্রবাদী আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (এআরএসএ) ও নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যকার সংঘর্ষ প্রশমিত হওয়ায় অভ্যন্তরীণভাবে গৃহহীন হয়ে পড়া মোট চার হাজার ২২০ জন তাদের গ্রামে ফিরে এসেছে। নিরাপত্তা বাহিনীর সহযোগিতায় তারা তাদের ঘরবাড়িতে ফিরে আসে।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এ অঞ্চলে আবারো শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে।
উল্লেখ্য, মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে দমন-পীড়নের শিকার হয়ে তিন সপ্তাহে চার লাখের মতো মুসলিম রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে; তারা মিয়ানমার সেনাবাহিনী কর্তৃক নির্বিচারে হত্যা, ধর্ষণ ও ঘর পোড়ানোর কথা জানিয়েছেন।
এদিকে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে তাস জানায়, মিয়ানমারে অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুতদের নিজেদের বাড়িতে ফিরে যেতে কর্তৃপক্ষ সহায়তা করছে। প্রাপ্ত তথ্য মতে, প্রায় দুই হাজার মানুষ নিজেদের ঘরে ফিরেছে। অভিবাসন সংকটের ভুক্তভোগীদের ক্ষেত্রেও একই পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে আমরা আশা করছি। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিমানে করে রাখাইনে খাবার, ওষুধ ও অন্যান্য ত্রাণ দেওয়া হচ্ছে। স্থানীয়দের সহায়তায় ভ্রাম্যমাণ মেডিকেল সেন্টার গড়ে তোলা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত অবকাঠামো মেরামত করা হচ্ছে। স্থানীয় ও বিদেশি সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের জন্য ওই এলাকার উত্তরাঞ্চলে সফরের আয়োজন করা হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/১৬সেপ্টেম্বর/জেএস)