নেইমারের মনের ঘরে কাভানির ‘আগুন’
বার্সায় থাকাকালীন লিওনেল মেসির জন্য লাইমলাইটে আসতে পারেননি নেইমার। এমন কথা ছিল নেইমার ভক্তদের মুখে মুখে। কেবল ভক্তকুলই নয় ব্রাজিলীয়ান কিংবদন্তি ফুটবলাররা একই গান গেয়েছেন গলা ছেড়ে। তবু নেইমার-মেসির মাঝখানে ফাটল ধরাতে পারেননি কেউ। তবে নেইমারের বিদায় বেলায় কিছু নমুনা ঠিকই চোখে পড়ে। মেসির টুইটার, ইনস্টাগ্রাম থেকে নেইমারের সব ছবি মুছে ফেলা। শেষ ম্যাচের আগে নেইমারকে ছাড়া মেসির ফটোসেশন। এমন কিছু ঘটনা জানান দিয়েছিল নেইমার-মেসির ফেলে আসা দিনগুলো।
শেষমেশ বন্ধু মেসিকে ছেড়ে চলেই যান ‘অভিমানী’ নেইমার। যোগ দেন পিএসজিতে। খুব অল্প সময়ে গোটা প্যারিসে ছড়িয়ে পড়ে নেইমারের জনপ্রিয়তা। মাঠের পারফর্মেও আলোকিত ছাপ রাখতে শুরু করেন নেইমার। কিন্তু দেড় মাস যেতে না যেতেই শুরু হট্টগোল। গেল রাতে ফুটবল বিশ্ব দেখল তার এক ঝলক। ফরাসি লিগে লিঁও’র বিপক্ষে ২-০ গোলের জয় পায় পিএসজি। যদিও দুটি গোলই এসেছে প্রতিপক্ষের ভুলে। অর্থাৎ দুই আত্মঘাতীতে টানা ষষ্ট জয়ের স্বাদ নিল উনাই এমরির শিষ্যরা।
ম্যাচ শেষে জয়কে আড়াল করে আলোচনার টেবিলে নেইমার-কাভানির কথা কাটাকাটি। পেনাল্টি শট কে নেবেন? এমন উত্তর মেলাতে দুই দফা তর্কাতর্কি হলো নেইমার-কাভানির মধ্যে। প্রথম দফায় ম্যাচের ৫৭ মিনিটে পিএসজির হয়ে ফ্রি-কিক নিতে এগিয়ে আসেন কাভানি। কিন্তু নেইমারের স্বদেশী বন্ধু দানি আলভেজ বল নিয়ে বাড়িয়ে দেন নেইমারকে। ব্যাপারটি পছন্দ হয়নি কাভানির। বেশ রাগান্বিত হয়ে পড়েন এই উরুগুয়ে ফরোয়ার্ড। এরপর ম্যাচের ৭৯তম মিনিটে পিএসজি পেনাল্টি পেলে আলভেজ চেয়েছিলেন নেইমার কিক নিক। কাভানি সেটিও হতে দেননি। নিজেই কিক নেন। এনিয়ে ত্রিমুখী তর্কে জড়ান কাভানি, আলভেজ ও নেইমার।
মাঠের এমন ঝগড়া নজরে পড়ে পিএসজি বসের। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে কোচ বলেন, ‘আমি দুজনকে বলেছি ব্যাপারটা নিজেদের মাঝে মিটমাট করে ফেলতে। তারা দুজনই ফ্রি কিক ও পেনাল্টি ভালোভাবেই সামলাতে পারে। আশা করি এই সমস্যা তারা দ্রুতই মিটিয়ে ফেলবে। এটা তো মাঠেই মিটিয়ে ফেলার মতো ব্যাপার। যদি তারা এটা না করে, তাহলে আমিই সিদ্ধান্ত দেবো কে কিক নেবে। আমি চাইনা এটা দলের জন্য কোনো সমস্যা বয়ে আনুক।’
প্রসঙ্গত, গত ৪ আগস্ট ৫ বছরের চুক্তিতে নেইমারকে দলে ভেড়ায় পিএসজি। সেজন্য বার্সাকে ২২২ মিলিয়ন ইউরো বাই-আউট ক্লজ পরিশোধ করতে হয় ফরাসি ক্লাবকে। ২০০৯ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত সান্তোস দিয়ে শুরু হয় নেইমারের ক্লাব ক্যারিয়ার। এরপর বার্সেলোনার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হন নেইমার। বার্সার হয়ে একশর বেশি গোল করেন নেইমার। ক্যাম্প ন্যু’তে থাকাকালে দুটি লা লিগা, তিনটি কোপা দেল রে ও একটি চ্যাম্পিয়নস লিগসহ মোট আটটি শিরোপা ছুঁয়ে দেখেন নেইমার।
(ঢাকাটাইমস/১৮সেপ্টেম্বর/জেইউএম)