সিবিআই রায়কে হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ রাম রহিমের
তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের দুটি মামলায় সিবিআই আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে এ বার পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন কথিত ধর্মগুরু গুরমিত রাম রহিম সিংহ। গত মাসে আদালতের রায়ে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর ডেরা সাচ্চা সওদার প্রধান গুরমিত এখন বন্দি রয়েছেন রোহতক জেলা কারাগারে।
৫০ বছর বয়সী গুরমিতের দাবি, তিনি নপুংসক। মহিলাদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলার ব্যাপারে তিনি একেবারেই অক্ষম। ‘বাবা’র অভিযোগ, তাকে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হয়েছে।
গুরমিতের কৌঁসুলি বিশাল গর্গ নরওয়ানা বলেছেন, ‘আমরা সিবিআই আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার একটি আপিল করেছি পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টে।’
তিনি আরও বলেছেন, ‘ঘটনার পর (ধর্ষণ) দুই নারীর সাক্ষ্য রেকর্ড করতে ৬ বছরেরও বেশি সময় নিয়েছে সিবিআই আদালত। যে যে যুক্তিতে চ্যালেঞ্জ জানানো হয়েছে, এটি তার অন্যতম।’
১৫ বছর আগে দুই সাধ্বীকে ধর্ষণ করেছিলেন, এই অভিযোগে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত গত ২৫ আগস্ট গুরমিত রাম রহিম সিংহকে দোষী সাব্যস্ত করে। ওই রায়ের পর গুরমিতের শিষ্যদের তাণ্ডবে ৩৮ জনের মৃত্যু হয়। নষ্ট হয় কয়েক কোটি টাকার সম্পত্তি। এর পর রোহতক জেলে বসে আদালতের বিশেষ সেশন। সেখানে ২০ বছরের কারাদণ্ড হয় গুরমিতের। তা ছাড়াও দুটি মামলার জন্য আলাদা ভাবে ১৫ লাখ টাকা করে জরিমানা দিতে বলা হয়েছে গুরমিতকে।
ধর্ষণের শিকার হওয়া এক মহিলার প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠির প্রেক্ষিতে ২০০২ সালে পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট সিবিআইকে ওই ঘটনার তদন্ত করতে বলে। তার পর সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে ওই মামলার শুনানি শুরু হয় ২০০৮ সাল থেকে।
গুরমিতের বিরুদ্ধে তার এক শিষ্য রঞ্জিত সিংহ ও সাংবাদিক রামচন্দ্র ছত্রপতিকে খুনের মামলার শুনানি এখনও চলছে।
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা
(ঢাকাটাইমস/২৫সেপ্টেম্বর/এসআই)