আইসিটি আইনে দুই প্রবাসীসহ ৫ জনের নামে মামলা

নারায়ণগঞ্জের বন্দর এলাকায় ফেসবুকে আপত্তিকর ছবি ও বক্তব্য পোস্ট করায় ইতালি ও আরব আমিরাত প্রবাসী দুই যুবকসহ তাদের পরিবারের ৫ জনের বিরুদ্ধে আইসিটি আইনের ৫৭ ধারায় মামলা হয়েছে।

সোমবার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানায় মামলাটি দায়ের করেন আমেরিকা প্রবাসী আফসানা আরিফ মেঘলার বাবা আরিফুজ্জামান। মামলার আসামি সকলেই বাদী আরিফুজ্জামানের আত্মীয়।

মামলার আসামিরা হলেন- আরিফুজ্জামানের ভগ্নিপতি লোকমান হোসেন, লোকমানের বড় ছেলে ইতালি প্রবাসী জনি ওরফে হৃদয় শেখ, ছোট ছেলে রনি, জনির খালাতো ভাই সংযুক্ত আরব আমিরাত (দুবাই) প্রবাসী রকসি এবং রকসির ছোট ভাই জসি।

মামলায় বাদী আরিফুজ্জামান ঢাকাটাইমসকে জানান, আরিফুজ্জামান বন্দরের দেউলী চৌরাপাড়া এলাকায় বসবাস করেন। তার মেয়ে আমেরিকা প্রবাসী আফসানা আরিফ মেঘলাকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন ইতালি প্রবাসী ভাগ্নে জনি। কিন্তু জনি লেখাপড়া না জানায় এবং তার মেয়ে উচ্চ শিক্ষিত হওয়ায় জনিকে বিয়ে করতে আপত্তি করে তার মেয়ে।

পরে তার মেয়ের এক আমেরিকা প্রবাসীর সঙ্গে বিয়ে হয়ে যায়। একারণে দেশে ফিরে জনি তাদের বিরুদ্ধে কুৎসা রটাতে থাকে। এ নিয়ে প্রতিবাদ করায় গত ৯ জুলাই জনিসহ উপরেল্লেখিত আসামিরা তাকে ও তার স্ত্রী সাথী আক্তারকে মারধর করে। এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে বিচার শালিস হলে জনিকে স্থানীয় বিচারকরা জুতাপেটা করে।

এ কারণে ক্ষুব্ধ জনি ইতালি ফিরে গিয়ে ফেসবুকে তার নিজের আইডি ও একটি ফেক আইডি খুলে বাদীর মেয়ে ও তার স্ত্রীর ছবি ফেসবুকে আপলোড করে কুরুচিসম্পন্ন বক্তব্য পোস্ট করে। বিষয় গুলো নিয়ে তিনি তার আত্মীয় স্বজনের দ্বারস্থ হয়েও কোনো প্রতিকার পাননি। এর মধ্যে গত ২৫, ২৬, ২৮ সেপ্টেম্বর এবং ৫ অক্টোবর তারিখে ওইসব ফেসবুক আইডি থেকে তার মেয়ে ও স্ত্রী সর্ম্পকে জঘন্য বক্তব্য প্রকাশ করা হয় ছবি দিয়ে। তাই উপায় না দেখে তিনি আইসিটি আইনের ৫৭ ধারায় মামলা দায়ের করেছেন বলে জানান তিনি।

বন্দর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম বলেন, ফেসবুকে পোস্ট করা ছবি ও বক্তব্যগুলো দেখে প্রাথমিকভাবে এটি আইসিটি আইনের ৫৭ ধারায় অপরাধ হয়েছে বলে প্রতীয়মান হওয়ায় মামলা নেয়া হয়েছে। মামলার ৫ আসামির মধ্যে ২ জন প্রবাসী। বাকি ৩ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।

(ঢাকাটাইমস/১৩নভেম্বর/প্রতিনিধি/ইএস)