বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর বিষয়টি মামুলি: জ্বালানি উপদেষ্টা
নতুন করে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর কারণে জনজীবনে কোনো প্রভাব পড়বে না বলে দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী। যে হারে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে তা খুবই সামান্য এবং মামুলি ব্যাপার বলেও মনে করেন তিনি।
শনিবার সকালে রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে সেক্টর লিডারদের দুই দিনব্যাপী কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই কথা বলেন।
বর্তমান সরকারের আমলে বিদ্যুতের দামও বেড়েছে দফায় দফায়। সব শেষ বৃহস্পতিবার এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন ইউনিটপ্রতি ৩৫ পয়সা করে (শতকরা ৫.৩ শতাংশ) দাম বাড়ানোর কথা জানিয়েছে। এ নিয়ে ২০০৯ সাল থেকে আটবার বাড়ানো হলো দাম।
তৌফিক-ই-এলাহী বলেন, ‘বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির সঙ্গে সরকারের কোনো সম্পর্ক নেই। বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির কাজটি বিইআরসি (বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন) তাদের নিজস্ব বিবেচনা থেকে করেছে। এ ক্ষেত্রে আমাদের কোনো প্রভাব নেই।’
একই অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ‘বিইআরসির কাছে ইউনিট-প্রতি গড়ে ১২ থেকে ১৫ শতাংশ বাড়ানোর আবেদন করেছিল বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থাগুলো। বিইআরসি বাড়িয়েছে মাত্র ৫.৩ শতাংশ। দাম বৃদ্ধির এই হার খুব বেশি কিছু নয়।’
ইউনিট প্রতি গড়ে ৫ দশমিক ৩ শতাংশ বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি গ্রাহকের সহনীয় পর্যায়ে থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন প্রতিমন্ত্রী।
নসরুল হামিদ বলেন, ‘আমাদের সামনের বিদ্যুৎ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ৪০ হাজার মেগাওয়াট। সেখানে আমরা বর্তমানে প্রায় ১০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। এ উৎপাদন কিছুই নয়। কীভাবে দেশের শতভাগ মানুষকে বিদ্যুতের আওতার মধ্যে আনা যায়, সে ব্যাপারে আমাদের সরকার কাজ করে যাচ্ছে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এখন বিদ্যুতের যে দাম বাড়ানো হয়েছে তা গড়ে ৫ শতাংশের বেশি হবে না। তাহলে এটি খুব বেশি কিছু নয়। তবুও হয়ত কিছুটা অ্যাফেক্ট পড়বে গ্রাহক পর্যায়ে। আমি মনে করি এটি সহনীয়।’
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘দাম বৃদ্ধিতে ২০০ ইউনিট ব্যবহারকারীদের অতিরিক্ত ২০ থেকে ২৫ টাকা গুণতে হবে। এছাড়াও যেকোনো ধরনের এডজাস্টমেন্টেই কিছুটা প্রভাব থাকে। কিন্তু সেটা সহনীয় কি না সেটা হলো প্রশ্ন। বিইআরসি সব যুক্তি তর্ক শুনে মনে করছে যে এটা এফর্ডেবল।’
(ঢাকাটাইমস/২৫নভেম্বর/এসও/জেবি)