মাশরাফিকে আ.লীগের প্রার্থী ঘোষণায় নড়াইলে উচ্ছ্বাস
একাদশ সংসদ নির্বাচনে নড়াইল-২ আসনে ক্রিকেটতারকা মাশরাফি বিন মর্তুজাকে আওয়ামী লীগের চূড়ান্ত প্রার্থী ঘোষণায় তার নির্বাচনী এলাকায় আনন্দ-উচ্ছ্বাস ও মিষ্টি বিতরণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের কাছে নড়াইল-২ আসনে মাশরাফির মনোনয়নের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এ খবরে আনন্দে ফেটে পড়েন মাশরাফি ভক্তসহ দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকেরা।
‘নড়াইল এক্সপ্রেস’কে চূড়ান্ত প্রার্থী ঘোষণার পর সন্ধ্যা থেকে রাত অবধি রূপগঞ্জ এলাকায় মিষ্টি বিতরণ করা হয়।
নড়াইল পৌর মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন বিশ্বাসের উদ্যোগে বাস, অটোবাইক, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানসহ পথচারীদের মাঝে মিষ্টি বিতরণ করেন দলীয় নেতাকর্মীরা। এ সময় মাশরাফি... মাশরাফি... স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে গোটা এলাকা।
মিষ্টি বিতরণ অনুষ্ঠানে ছিলেন- আওয়ামী লীগ নেতা বিএম লিয়াকত হোসেন, ইকবাল হোসেন, তরিকুল ইসলাম, জিএস পলাশ, ফিরোজ শেখ প্রমুখ।
এদিকে, গত কয়েক দিন ধরে নড়াইল-২ আসনে মাশরাফির চূড়ান্ত মনোনয়নের বিষয়টি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল। গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে অনেকেই জানতে চান- সত্যিই কী নড়াইল-২ আসনে মাশরাফি মনোনয়ন পাচ্ছেন, নাকি অন্য কোনো আসনে? বিশেষ করে কয়েক দিন ধরে বিভিন্ন গণমাধ্যমে ও ফেসবুকে মাশরাফির প্রার্থিতা নিয়ে বিভিন্ন ধরনের লেখালেখি এবং মন্তব্য করায় সবার মাঝে এ বিষয়ে কৌতুহল সৃষ্টি হয়।
এ বিষয়ে মঙ্গলবার দৈনিক ঢাকা টাইমস পত্রিকার প্রথম পৃষ্ঠায় ‘মাশরাফির কাছে সবাই ম্লান’ শিরোনামে একটি সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এ প্রতিবেদনে নড়াইল-২ আসনে মাশরাফির প্রার্থিতা ও মনোনয়ন বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়। মাশরাফির চূড়ান্ত প্রার্থিতার ঘোষণায় অবশেষে ঢাকা টাইমস খবরের প্রতিফলন হয়েছে।
অপরদিকে, নড়াইল-২ আসনে কে হচ্ছেন মাশরাফির প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী? এ নিয়ে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা ও আলোচনা। বিশেষ করে ২০ দলীয় জোট তথা ঐক্যফ্রন্টের মনোনীত প্রার্থী, না অন্য দলের কেউ মাশরাফির প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হচ্ছেন? এ নিয়ে নির্বাচনী মাঠে তুমুল আলোচনা চলছে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, নড়াইল-২ আসনে বিএনপির মনোনয়নপত্র কিনেছেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি তবিবুর রহমান মনু জমাদ্দার, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার রিজভী জর্জ, নড়াইল-২ আসনের সাবেক এমপি মরহুম শরীফ খসরুজ্জামানের ছেলে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মের দলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-সম্পাদক শরীফ কাসাফুদ্দোজা কাফী, ডক্টর অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ খুলনার সদস্য সচিব ডা. সেখ মোহাম্মাদ আখতার-উজ-জামান, জেলা বিএনপির যুগ্ম-সম্পাদক খন্দকার ইজাজুল হাসান বাবু ও শাহরিয়ার আলম।
এছাড়া জোটের শরিক ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদও এ আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী। এছাড়া ইসলামী আন্দোলন নড়াইল জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এস এম নাসির উদ্দীন এবং এনপিপির (ছালু) জেলা সভাপতি মনিরুল ইসলাম নিজ দলের চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে এ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে জানিয়েছেন। যদিও প্রথম দিকে এনপিপির একাংশের কেন্দ্রীয় সভাপতি শেখ ছালাউদ্দিন ছালু নিজে নড়াইল-২ আসনে নির্বাচন করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন। এসব প্রার্থীর মধ্যে কেউ মাশরাফির প্রতিদ্বন্দ্বী হচ্ছেন, নাকি অন্য কেউ; বিষয়টি নিয়ে সর্বত্র আলোচনা চলছে।
(ঢাকাটাইমস/২০নভেম্বর/প্রতিনিধি/এলএ)