ভোট নিয়ে অভিযোগ খণ্ডালেন জয়

ঢাকাটাইমস ডেস্ক
 | প্রকাশিত : ১২ জানুয়ারি ২০১৯, ১৪:০২

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো কারচুপির যে অভিযোগ করেছে তার জবাব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা ও তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। তিনি দাবি করেছেন, কারচুপির মাধ্যমে এই জয় কখনও সম্ভব নয়।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে শনিবার একটি দীর্ঘ পোস্ট দিয়েছেন সজীব ওয়াজেদ জয়। সেখানে বিরোধী পক্ষের বিভিন্ন অভিযোগের পয়েন্টভিত্তিক জবাব দিয়েছেন তিনি। আওয়ামী লীগের কেন এত বিশাল জয় এবং বিএনপির কেন ভরাডুবি তার বিস্তারিত তুলে ধরেছেন প্রধানমন্ত্রীর ছেলে।

গত ৩০ ডিসেম্বর দেশে অনুষ্ঠিত হয় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। দশম সংসদ নির্বাচন বর্জন করা বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো এই নির্বাচনে অংশ নেয়। তবে ফলাফলে ভূমিধস জয় পায় আওয়ামী লীগ। চরম ভরাডুবি হয় বিএনপি জোটের। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট পেয়েছে ২৮৮টি আসন। বিএনপি জোট মাত্র সাতটি আসন পেয়েছে, যা মোট ভোটের প্রায় ১৩ ভাগ। তবে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো অভিযোগ তুলেছে এবারের নির্বাচনে সীমাহীন কারচুপি হয়েছে। সরকারি দলের নেতাকর্মী এবং প্রশাসন মিলে বিরোধী দলের প্রার্থীদের কারচুপির মাধ্যমে হারানো হয়েছে।

সজীব ওয়াজেদ জয় ফেসবুকে বিরোধীদের অভিযোগ খণ্ডন করে লিখেছেন, ‘আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যোগাযোগ ও লবিংয়ের মাধ্যমে তারা প্রমাণ করতে চাইছে যে নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে, যা পরিসংখ্যান মোতাবেক একেবারেই অসম্ভব। আওয়ামী লীগ বিএনপি থেকে প্রায় চার কোটি ৯০ লক্ষ বেশি ভোট পেয়েছে। এত বড় ব্যবধানের জয় কখনোই কারচুপির মাধ্যমে আদায় করা সম্ভব না। তারা বলছে ভয় ভীতির কথা, কিন্তু যদি আমরা ধরেও নিই আওয়ামী লীগের বাইরের সকল ভোট বিএনপি-জামায়াতের পক্ষেই যেত, তাহলেও দুই কোটি ২০ লক্ষ ভোটের ব্যবধান থাকতো বিএনপি আর আওয়ামী লীগের মধ্যে।’

জয় লিখেছেন, ‘তাদের প্রথম অভিযোগ, ভোটার সংখ্যা ছিল অত্যাধিক, তার মানে ভুয়া ভোট দেয়া হয়েছে। এবার ভোট দেয়ার হার ছিল ৮০ শতাংশ, যা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ইতিহাসে সর্বোচ্চ নয়। ২০০৮ সালের 'তত্ত্বাবধায়ক সরকারের' অধীনে নির্বাচনে ভোট দেয়ার হার ছিল ৮৭ শতাংশ, যা এখন পর্যন্ত রেকর্ড। সেই নির্বাচনটিতেও আওয়ামী লীগ ৪৭ শতাংশ ভোট পেয়ে ব্যাপক ব্যবধানে জয় পেয়েছিল। ২০০১ সালে ভোট দেয়ার হার ছিল ৭৫.৬ শতাংশ আর ১৯৯৬ সালে ছিল ৭৫ শতাংশ। ওই দুইটি নির্বাচনের তুলনায় এবার ভোট দেয়ার হার সামান্য বেশি ছিল কারণ এক দশকে এটাই ছিল প্রথম অংশগ্রহণমূলক জাতীয় নির্বাচন।’

জয় লিখেন, ‘দ্বিতীয় অপপ্রচার হচ্ছে আওয়ামী লীগ নাকি এবার ৯০ শতাংশ ভোট পেয়েছে। এই কথাটি পুরোপুরি মিথ্যা। আওয়ামী লীগ ভোট পেয়েছে ৭২ শতাংশ। মহাজোটের অন্যান্য শরিকরা পেয়েছে ৫ শতাংশের কম ভোট। এই ৭২ শতাংশও আওয়ামী লীগের এর জন্য সর্বোচ্চ না। কারণ ১৯৭৩ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ পেয়েছিল ৭৩.২ শতাংশ ভোট।’

ফেসবুক স্ট্যাটাসে জয় দাবি করেন, আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা এখন আকাশচুম্বি, এ কারণে নজিরবিহীন জয় পেয়েছে দলটি। আর দুর্নীতির কারণে বিএনপিকে জনগণ ভোট দেয়নি। তাদেরকে জনগণ ক্ষমতায় আসার মতো যোগ্য দল মনে করেনি।

(ঢাকাটাইমস/১২জানুয়ারি/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

রাজনীতি এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :