জামালপুরে কলেজছাত্রীর আত্মহত্যা
জামালপুর শহরের গোলাপবাগ এলাকার একটি ছাত্রী মেসে মৌসুমী সুলতানা মৌ (২০) নামে এক কলেজছাত্রী আত্মহত্যা করেছেন। বৃহস্পতিবার রাত দেড়টার দিকে পুলিশ ওই মেসের একটি কক্ষের দরজা ভেঙে ফাঁসিতে ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে।
মৌসুমী সুলতানা মৌ জামালপুর সদর উপজেলার তিতপল্লা ইউনিয়নের রিকশাচালক আনোয়ার হোসেনের মেয়ে। তিনি জামালপুর সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজে হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী।
মৌসুমীর বাবা রিকশাচালক আনোয়ার হোসেন আরেক বিয়ে করে ঢাকায় চলে যান। কলেজছাত্রী মৌসুমী সুলতানা মৌ জামালপুর শহরের গোলাপবাগ এলাকায় হাজি আব্দুর রহিমের ছাত্রীদের মেসের একটি কক্ষে অন্য ছাত্রীদের সাথে থাকতেন।
তার সহপাঠীরা জানিয়েছেন, তার মামা পরিচয়ে গোলাম রব্বানী শাহীন নামে এক ব্যক্তি ঈদের দুই সপ্তাহ আগে মৌসুমীকে মেসে রেখে যান। ঈদের ছুটির পর মৌসুমী একাই তার মেসে উঠেন। ওই মেসের অন্য ছাত্রীরা বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে মৌসুমীকে ডাকতে গিয়ে ভেতরে কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে তাদের সন্দেহ হয়। ওই বাসার অন্য ফ্লাটের লোকজন গিয়ে ডাকাডাকি করেন। এতেও সাড়া না পাওয়ায় সদর থানায় খবর দেয়া হয়।
সদর থানা পুলিশ রাত দেড়টার দিকে মেসের ওই কক্ষের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে ফ্যানের রডের সাথে উড়না পেচিয়ে ঝুলন্ত মৃত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে। এ সময় কক্ষ থেকে তার হাতে লেখা একটি চিরকুট এবং মোবাইল ফোন সেট জব্দ করেছে পুলিশ। রাতেই পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য তার লাশ জামালপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
শুক্রবার দুপুরে লাশের ময়নাতদন্ত শেষে তার বাবা আনোয়ার হোসেনের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়। এ ঘটনায় সদর থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, পারিবারিক অশান্তির কারণে আত্মহত্যা করেছে এবং তার এভাবে মৃত্যুর জন্য নিজেই দায়ী বলে মৌসুমী তার চিরকুটে উল্লেখ করে গেছে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)নাছিমুল ইসলাম বলেন, মৌসুমী নামে কলেজছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় তার পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় কোনো অভিযোগ না করায় এ ব্যাপারে একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
নিহতের পরিবারের লোকজন ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ নেয়ার জন্য আবেদন করেছিল। পরবর্তীতে ঝামেলা এড়াতে ময়নাতদন্ত সাপেক্ষেই তার স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/৩১আগস্ট/প্রতিনিধি/এলএ)