বিশ্বকাপ খেলা ‘বুড়োদের একাদশ’

ক্রীড়া ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ২০ জুলাই ২০১৯, ১১:৩০
অ- অ+

বিশ্বকাপ শেষ। ক্রিকেটাররা ফিরে গিয়েছেন দেশে। চার বছর পরের বিশ্বকাপে অনেককেই দেখা যাবে না। অনেকেই অবসর নিয়ে ফেলবেন। সেই সব তারকা ক্রিকেটারদের নিয়ে যদি একটা দল তৈরি করা হয়, তাহলে কেমন হবে তা? দেখে নেওয়া যাক সেই একাদশ।

ক্রিস গেইল (ওয়েস্ট ইন্ডিজ): এই দলের হয়ে ওপেন করবেন ‘ইউনিভার্স বস’ ক্রিস গেল। এই ক্যারিবিয়ান তারকা যেকোনও বলে ছয় মারার জন্য বিখ্যাত। যদিও বয়স থাবা বসিয়েছে গেলের রিফ্লেক্সে।

হাশিম আমলা (দক্ষিণ আফ্রিকা): গেইলের সঙ্গে ওপেন করতে নামবেন হাশিম আমলা। ২০২৩ সালের বিশ্বকাপ না খেলার সম্ভাবনাই প্রবল। দক্ষিণ আফ্রিকার এই ওপেনার বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রথম ওয়ানডে খেলেছিলেন ২০০৮ সালে।

ফাফ ডু প্লেসিস (দক্ষিণ আফ্রিকা): তিন নম্বরে ব্যাট হাতে নামবেন ফাফ ডু প্লেসিস। হাশিম আমলার তিন বছর পরে ২০১১ সালে ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়ে অভিষেক ঘটেছিল ডু প্লেসির। ২০২৩ ক্রিকেট বিশ্বকাপ তাঁর খেলার সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে।

রস টেইলর (নিউজিল্যান্ড): ভারতের চার নম্বর পজিশন নিয়ে এখনও সমস্যা দূর হয়নি। নিউজিল্যান্ডের তারকা টেলর চার নম্বরে ভাল ব্যাট। ২০২৩ ক্রিকেট বিশ্বকাপে তাঁর খেলার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।

এমএস ধোনি (ভারত): ধোনির অবসর নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান হিসেবে ধোনিই অটোমেটিক চয়েস।

মোহাম্মদ হাফিজ (পাকিস্তান): লোয়ার মিডল অর্ডারে অন্যতম ভরসা হতে পারেন পাকিস্তানের মোহাম্মদ হাফিজ। ১৬ বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা হয়ে গিয়েছে এই পাক তারকার। ২০০৩ সালে জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে ওয়ানডে ম্যাচ দিয়ে অভিষেক ঘটেছিল মোহাম্মদ হাফিজের।

মোহাম্মদ নবী (আফগানিস্তান): আফগানিস্তানের মতো একটি দলের হয়ে খেললেও মোহাম্মদ নবীর অলরাউন্ড পারফরম্যান্স দেখে মুগ্ধ ক্রিকেটবিশ্ব। পরের বিশ্বকাপে হয়তো আফগানিস্তানের জার্সি গায়ে নবীকে দেখা যাবে না।

মাশরাফি বিন মর্তুজা (বাংলাদেশ): বাংলাদেশের ক্রিকেটের উত্থানের পিছনে মাশরাফির বড় ভূমিকা রয়েছে। ২০২৩ বিশ্বকাপে তাকে দেখা যাবে না।

লাসিথ মালিঙ্গা (শ্রীলঙ্কা): ব্যাটসম্যানদের ত্রাস শ্রীলঙ্কার এই তারকা ফাস্ট বোলার। মালিঙ্গার ইয়র্কারের জবাব নেই অনেক ব্যাটসম্যানের কাছেই। সদ্য সমাপ্ত বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডও সামলাতে পারেনি মালিঙ্গার ইয়র্কার।

লিয়াম প্ল্যাঙ্কেট (ইংল্যান্ড): পরের বিশ্বকাপে হয়তো দেখা যাবে না ইংল্যান্ডের তারকা সিমার লিয়াম প্ল্যাঙ্কেটকেও। সেই ২০০৫ সাল থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছেন তিনি। দেখতে দেখতে ইংল্যান্ডের বোলিং বিভাগের প্রধান ভরসাহয়ে উঠেছিলেন তিনি।

ওয়াহাব রিয়াজ (পাকিস্তান): পিতার মৃত্যুর জন্য ক্রিকেটে মনোনিবেশ করতে পারেননি একসময়ে। দল থেকে ছিটকে গিয়েছিলেন তিনি। বিশ্বকাপে দারুণ ভাবে ফিরে আসেন। ২০০৮ সালে জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়ে অভিষেক ঘটেছিল ওয়াহাব রিয়াজের। ২০২৩ সালের আগেই হয়তো তিনি অবসর নেবেন।

(ঢাকাটাইমস/২০ জুলাই/এসইউএল)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
সিরিজ হারের পর ব্যর্থতা স্বীকার করে যা বললেন মিরাজ
আলোচিত দুদক কর্মকর্তা শরীফ উদ্দিনের চাকরি ফেরত দেয়ার নির্দেশ
বগুড়ায় শ্বশুর ও পুত্রবধূকে হাত-পা বেঁধে গলা কেটে হত্যা  
পাকিস্তানি অভিনেত্রী হুমাইরা আসগরের রহস্যজনক মৃত্যু
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা