স্পিরিট পানে মৃত্যু: কোম্পানিগঞ্জে আরো ২ লাশ উত্তোলন

নোয়াখালী প্রতিনিধি
  প্রকাশিত : ২১ জানুয়ারি ২০২০, ২১:৩৮
অ- অ+

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় বসুরহাট বাজারে রফিক হোমিও হল নামের দোকান থেকে স্পিরিট পান করে ছয়জনের মৃত্যুর ঘটনায় ময়নাতদন্ত ছাড়া দাফন করা চারজনের মধ্যে বাকি দুজনের লাশ তোলা হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত উপজেলার চরকাঁকড়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত আব্দুল আজিজের ছেলে আব্দুল খালেক (৭১) ও বসুরহাট পৌরসভা ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে ওমর ফারুক লিটনের (৫০) স্ব-স্ব^ পারিবারিক কবরস্থান থেকে লাশ দুটি তোলা হয়।

উত্তোলনের পর লাশ দু’টি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ রোকনুনজ্জামান খান ও কোম্পানীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক আনোয়ার হোসেনের উপস্থিতিতে ময়না তদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে সোমবার সিরাজপুর ইউনিয়নের মোহাম্মদ নগর গ্রামের ফয়েজ আহম্মদের ছেলে চালক মহিন উদ্দিন (৪০) ও একই ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড বাগান বাড়ির পাশে মৃত রইসুল হকের ছেলে সবুজের (৪৫) লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়।

গত বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার রাতে বসুরহাট পৌরসভার ‘রফিক হোমিও হল’ থেকে রেকটিফায়েড স্পিরিট কিনে (নেশা হিসেবে) পান করে নূর নবী মানিক, ওমর ফারুক লিটন, রবি লাল দে, সবুজ, মহিন উদ্দিন ড্রাইভার ও মুক্তিযোদ্ধা আবদুল খালেকসহ ছয়জন মারা যান। নূর নবী মানিক ও রবি লাল দে’র লাশের ময়নাতদন্ত শেষে দাফন ও সৎকার করা হয়েছিল। অন্য চারজনের লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন করায় আদালতের নির্দেশে তাদের লাশ উত্তোলন করার বিষয়ে নোয়াখালীর জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে আদেশ দিয়েছেন।

স্পিরিট পানে ছয়জনের মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত রফিক হোমিও হলের মালিক কথিত হোমিও ডাক্তার সৈয়দ জাহেদ উল্যাহ ও তার ছেলে সৈয়দ মিজানুর রহমান প্রিয়ম বর্তমানে নোয়াখালী কারাগারে রয়েছেন।

ঢাকাটাইমস/২১জানুয়ারি/কেএম

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
নাজিমগঞ্জ হাটে বিএনপির প্রচার অভিযান, নেতৃত্বে কাজী আলাউদ্দিন
হকিতে চীনকে উড়িয়ে টানা তৃতীয় জয়ে শীর্ষে বাংলাদেশ
কারবালার শাহাদাত থেকে সত্য ও মানবতার শিক্ষা নেওয়ার আহ্বান আল্লামা ইমাম হায়াতের
গুলি করে হত্যার ৩ দিন পর মরদেহ দিল বিএসএফ
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা