পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু ট্রাইটাওয়ারের কার্যক্রম পরিদর্শন করেন গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৯:৩৭
অ- অ+

গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ বৃধবারপূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু ট্রাইটাওয়ার এর কার্যক্রমের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন। এ সময় গণপূর্ত মন্ত্রনালয়ের সচিব শহিদুল্লাহ খন্দকার এবং রাজউক চেয়ারম্যান সৈয়দ নূর আলম, গণপূর্তের প্রধান আর্কিটেক্ট, চীফ ইন্জিনিয়ার এবং প্রকল্প পরিচালক তাঁর সঙ্গে ছিলেন।

পূর্বাচলের ১৯ নম্বর সেক্টরের ১১১ নম্বর রোডের পাশে প্রকল্পের অস্থায়ী সেডে প্রতিমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে কথা বলেন। সিবিডিতে নির্মিতব্য আইকনিক টাওয়ারে প্রতিফলিত হচ্ছে বঙ্গবন্ধু’র নেতৃত্বে আমাদের ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিতে ৫২ তলা ভবন, মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিতে গড়ে তোলা হচ্ছে ৭১ তলা ভবন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী’র শেখ হাসিনা’র লিগ্যাসি স্মরণে ৯৬ তলায় মিউজিয়াম সহ গড়ে উঠবে দেশের বৃহত্তম ১১১ তলা ভবন।

আইকনিক এই তিনটি ভবনের পাশাপাশি এখানে গড়ে উঠবে ৪০ তলার আরও ৪৯টি ভবন। প্রায় ৯৬ হাজার কোটি টাকা ব্যায়ের এই প্রকল্পের ইতিমধ্যেই প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকার বিদেশী বিনিয়োগের সংস্থান করা হয়েছে বলে প্রকল্পের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।

প্রথম দুই বছরেই প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকার নির্মান সামগ্রী ক্রয় করা হবে যা দেশের অর্থনীতি ও নির্মাণ শিল্পে বড় ভূমিকা রাখবে।

উল্লেখ্য পূর্বাচল সেন্ট্রাল বিজনেজ ডিস্ট্রিক নামে রাজউকের আইকনিক টাওয়ার করবার কাজটি দরপত্রের মাধ্যমে শিকদার গ্রুপ ও কাজিমা কর্পোরেশন জাপান যৌথভাবে নির্বাচিত হয়। ইতিমধ্যেই প্রকল্পের মাটি পরীক্ষা, যানবাহন ব্যাবস্থাপনা সহ বিভিন্ন সমিক্ষা প্রতিবেদন রাজউকে জমা দেয়া হয়েছে। প্রকল্পের খসড়া মাস্টার প্লান ও ডিজাইন রাজউক এ জমা দেয়া হয়েছে। সম্প্রতি স্মার্ট ও নান্দনিক আইকনিক টাওয়ারের এই ডিজাইনের জন্য রাজউক আন্তর্জাতিক একটি পুরস্কার লাভ করে। পরিবেশ বান্ধব এই ভবন সমূহে সারা ওয়াল জুড়ে লাগানো হবে বিশ্বের সর্বাধুনিক সোলার গ্লাস। আধুনিক বর্জ্য ব্যাবস্থা, বিদ্যুৎ, গ্যাস ও বিভিন্ন ইউটিলিটির জন্য করা হবে কমন ডাক্ট ব্যাবস্থা। গ্রীন ভবন সমূহের বাউন্ডারি ওয়ালে চীনের গ্রেট ওয়ালের আদলে গড়ে তোলা হবে ওয়াক ওয়ে! সেই সাথে অভ্যন্তরীন যাতায়াতের জন্য পরিবেশ বান্ধব ইলেকট্রনিক বাস এবং আন্ডার গ্রাউন্ড ওয়াক ওয়েও থাকবে এখান।এই ঐতিহাসিক টাওয়ারের আর্কিটেক্ট হিসেবে পৃথিবী বিখ্যাত হেরিম আর্কিটেক্ট কাজ করছে। হেরিম পৃথিবীর সেরা সাতটি’র একটি এবং কোরিয়ার শ্রেষ্ঠ আর্কিটেক্ট প্রতিষ্ঠান।

প্রতিমন্ত্রী’র সাইট ভিজিট অনুষ্ঠানে পাওয়ারপ্যাক হোল্ডিংস ও শিকদার গ্রুপ ছাড়াও এই কাজের সাথে যুক্ত আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন প্রতিষ্ঠান হেরিম, প্পিডাব্লিউসি, আর্কেটাইপ, নর, চায়না পাওয়ার, চায়না এনার্জি, এর প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।

সভায় প্রতিমন্ত্রী বলেন, এটা সত্যিই গর্বের এই আইকনিক টাওয়ারে প্রতিফলিত হচ্ছে বঙ্গবন্ধু’র নেতৃত্বে আমাদের ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৭১’র মহান মুক্তিযুদ্ধ, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী’র শেখ হাসিনা’র লিগ্যাসি। আমি আনন্দিত শিকদার গ্রুপ ও কাজিমা কর্পোরেশন অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে এই কাজটিকে এগিয়ে নিচ্ছে। আমি তাদের ধন্যবাদ দিতে চাই তারা প্রস্তাবিত সময়সীমার আগেই কাজ এগিয়ে নিচ্ছে। আমি আশা করবো ২০২০ এ মূল কাজ শুরু করে ২০২৪ এর মধ্যে দৃশ্যমান অগ্রগতি যেন হয়।

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন গণপূর্ত মন্ত্রনালয়ের সচিব শহিদুল্লাহ খন্দকার এবং রাজউক চেয়ারম্যান সৈয়দ নূর আলম।

(ঢাকা টাইমস/ আরএ/ ১৯ ফেব্রুয়ারি)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন কিছুই চাপিয়ে দিচ্ছে না: আলী রীয়াজ
পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎসংযোগ নিশ্চিতে একসঙ্গে কাজ করবে ইডটকো বাংলাদেশ ও টাইগার নিউ এনার্জি
টাঙ্গাইলে বাস-অটোরিকশার সংঘর্ষে নিহত ৩
এয়ারপোর্টে অশ্রুসিক্ত নোরা ফাতেহি, প্রিয়জন হারিয়ে ভেঙে পড়লেন অভিনেত্রী?
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা