ঋষি-নীতুর বিয়ের কার্ড ভাইরাল

৪৬ বছর আগের কথা, ‘জাহরিলা ইনসান’ ছবির শ্যুটিং করতে গিয়ে নীতু সিংয়ের সঙ্গে আলাপ হয়েছিল ঋষি কাপুরের। সেখানেই নীতুর প্রেমে পড়েছিলেন ঋষি। কয়েক বছর আগে পুরনো সেই কথা শেয়ার করে অভিনেতা এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘আমার মনে আছে, সেসময় আমার তৎকালীন প্রেমিকার সঙ্গে ঝগড়া হয়েছিল। আমি ওকে ফিরে পাওয়ার জন্য টেলিগ্রাম করতে চাইছিলাম, সেটা লিখতে নীতুর সাহায্য চাই। তার পরেই বুঝলাম, নীতু আমার জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একজন। আমি যখন ইউরোপে শ্যুটিং করতে গেল, তখন নীতুর কথা খুব মনে পড়ছিল। তখন কাশ্মীরে নীতুকে টেলিগ্রাম করলাম, যে আমি ওর কথাই ভাবছি।’

অন্যদিকে নীতু কাপুরও পরবর্তীকালে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘ঋষির সঙ্গে প্রথম আলাপ কখনোই সুখকর ছিল না। ওর সব কিছুতেই কথা বলার অভ্যাসে লোকজন বিরক্ত হয়ে যেত। এমনকি আমার মেকআপ এবং পোশাক নিয়ে কথা বলতো। আমি ভীষণই বিরক্ত হয়েছিলাম। আমি ভাবলাম, এই ছোকরা সকলকে বিরক্ত করে দেয়। আমি খুব রেগেও গিয়েছিলাম। তখন অবশ্য আমার বয়স খুবই কম ছিল।’

যদিও এই নীতুই পরবর্তীকালে ধীরে ধীরে রাজ কাপুরের ছোট ছেলের প্রেমে পড়ে যান। নীতু জানিয়েছিলেন, তিনি যখন ঋষির সঙ্গে প্রথম ডেটে গিয়েছিলেন, তখন তার মা সঙ্গে এক তুতো ভাইকে পাঠিয়েছিলেন। নীতুর কথায়, পরে একদিন ডেটে গিয়ে ঋষি তাকে হঠাৎ প্রশ্ন করে বসেন, ‘বিয়ে নিয়ে কী ভাবছো?’ উত্তরে নীতু বলেছিলেন, ‘বিয়ের জন্য ছেলে খুঁজছি।’ এমন জবাবে অবাক হয়ে ঋষি বলেছিলেন, সে-ই নাকি ছেলে। ব্যস, তারপর ঋষি-নীতুর বিয়েটা হয়েই গেল।

সালটা ১৯৮০ সালের ২৩ জানুয়ারি, মুম্বাইয়ের চেম্বুরে আর কে স্টুডিওতে বসেছিল ঋষি-নীতুর বিয়ের আসর। সম্প্রতি, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে তাদের সেই বিয়ের কার্ড। সেসময় কাপুর পরিবারের মেয়েদের এবং বউদের অভিনয় করার অনুমতি ছিল না। তবে নীতুর কথায়, ঋষি তাকে অভিনয় করতে কখনও বাধা দেননি। তার কথায়, ‘টানা ১৫ বছর কাজ করে আমি ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিলাম। তাই অভিনয় থেকে সরে আসি নিজের ইচ্ছাতেই। সেসময় আমি এক্কেবারে ছিমছাম জীবনই চেয়েছিলাম।’

ঢাকাটাইমস/৬মে/এএইচ